ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

মুক্তবাকের ‘বিদায় দে মা ঘুরে আসি’ প্রযোজনা জাতীয় গণগ্রন্থাগারে

প্রকাশিত: ১০:১৮, ১ নভেম্বর ২০১৯

  মুক্তবাকের ‘বিদায় দে মা ঘুরে আসি’ প্রযোজনা জাতীয় গণগ্রন্থাগারে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ইতিহাসের নানা বাঁক ঘুরে একটি পতাকা, একটি ভূখন্ড আর সার্বভৌমত্ব রচনায় অগণন মানুষের রক্ত-ঋণ দেশের মানুষকে দাঁড় করিয়ে দেয় নয় মাসজুড়ে চলতে থাকা এক মহাকাব্যের সামনে। অমিত সাহস, শৌর্য, দক্ষতা আর বুকভরা দেশপ্রেম নিয়ে হাজার রুমি, বদি, গাজী, হাফিজ, বাসার, আলতাফ মাহমুদ, জুয়েল সবাইকে ঘিরে দাঁড়ায়- বাংলাদেশ নামের অনিন্দ্য-সুন্দর ভূখন্ড। আর এর ইতিহাস নতুন করে জানতে, চিনতে, বুঝতে ও ভাবতে শেখায়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হতে শেখায়। বারবার ফিরে আসতে শেখায় ইতিহাসের কাছে, একাত্তরের কাছে। মনে ও মননে স্বপ্ন এবং বাস্তবতার মিশেলে এই পঞ্চান্ন হাজার বর্গমাইলের সবুজ আর রক্তে রঞ্জিত দেশটির গৌরবগাথা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মা জাহানারা ইমামের ‘৭১-এর দিনগুলি’ উপন্যাসের কিশোর ভাষ্য ‘বিদায় দে মা ঘুরে আসি’ অনন্য সাধারণ এক আলেখ্য। মুক্তবাক এ আবৃত্তি প্রযোজনা পরিবেশিত হয় জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। শহীদ জননী জাহানারা ইমাম রচিত ‘৭১-এর দিনগুলি’র কিশোর ভাষ্য’র নানা পর্যায়ে দেশাত্মবোধক গান সংযোজন করে নান্দনিক এই প্রযোজনার গ্রন্থনা করেছেন ও নির্দেশনা দিয়েছেন আবৃত্তিশিল্পী এবং প্রশিক্ষক ইকবাল খোরশেদ। এই আলেখ্য এমনই আকর্ষণীয়, মর্মস্পর্শী আর বেদনা ও গৌরবগাথার, যা বারবার দেশের মানুষদের আলোড়িত করে। বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধীদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর কাজ প্রায় সম্পন্ন করেছেন। দেশের প্রতিটি মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়েছে। শহীদ জননী জাহানারা ইমাম জনতার আদালত গঠন করেছিলেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার জন্যে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার জন্য এই প্রযোজনাটি খুবই প্রাসঙ্গিক। জাহানারা ইমামের হৃদয়গ্রাহী বর্ণনায় মুক্তবাকের আবৃত্তিশিল্পীরা তাদের কণ্ঠে তুলে এনেছেন একাত্তর সালের সেই উত্তাল দিনগুলো। মিলনায়তনে বসে দর্শকশ্রোতা যেন চোখের সামনে দেখছিলেন ঢাকা শহরের গেরিলা যুদ্ধ, মেলাঘরের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প, শহীদ রুমির এলিফ্যান্ট রোডের বাড়ি আর ১৬ ডিসেম্বরে বিজয়ের মুহূর্তে মুক্তিযোদ্ধাদের উল্লাসধ্বনি। মুক্তবাকের এই প্রযোজনায় অংশগ্রহণ করেছে আশরাফ আলী সরকার লিখন, রুবিনা শাহনাজ, রহমত আরা বেগম লিপি, রায়হান, হায়দার রঞ্জন, অদিতি অমৃতারাজ, ইরাম মাহফুজা, সৈয়দা তাসনিম আরা, সাদিয়া আফরিন, জান্নাতুল ফেরদৌস রোজা, আলমগীর হোসেন উজ্জ্বল, অমিয়া অমানিতা। আলোক পরিকল্পনায় ছিলেন অম্লান বিশ্বাস। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন অদিতি অমৃতারাজ। বাঁশিতে অংশ নিয়েছেন মৃত্যুঞ্জয় কুমার দাস। স্থাপত্য ইতিহাসের প্রদর্শনী শুরু ॥ স্থাপত্য পেশাজীবীদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন উপলক্ষে বাংলাদেশের স্থাপত্য ইতিহাসের প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউসহ পাঁচটি স্থানে পক্ষকালব্যাপী ‘বিল্ড বাংলাদেশ’ স্থাপত্য প্রদর্শনী শুরু হয়েছে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট এবং এশিয়ার স্থপতিদের সংগঠন আর্কএশিয়ার যৌথ আয়োজনে ২১ দেশের স্থপতিদের সম্মেলন উপলক্ষে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজকরা জানান, এবারের আয়োজন বাংলাদেশের স্থাপত্য শিল্পসহ আর্কএশিয়ার ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন গুরুত্ব পাবে। দেশের ঐতিহাসিক স্থাপত্যগুলোকে প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি বিদেশী স্থপতিদের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরার উপলক্ষ হবে এ প্রদর্শনী। মানিক মিয়া এভিনিউসহ গুলশানের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি উদ্যান, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, ধানম-ির বেঙ্গল শিল্পালয় এবং আর্মি গলফ ক্লাবে বিভিন্ন ক্যানভাসের প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
×