ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জাল সনদে ১৮ বছর ধরে চাকরি!

প্রকাশিত: ০৮:০৬, ১ নভেম্বর ২০১৯

  জাল সনদে ১৮  বছর ধরে চাকরি!

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ৩১ অক্টোবর ॥ আত্রাই ও মান্দা উপজেলার সীমান্তবর্তী সন্যাসবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের এমএলএসএস মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে জাল সনদে ১৮ বছর ধরে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর, চেয়ারম্যান মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করা হয়েছে। জানা গেছে, এলাকাবাসীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আত্রাই ও মান্দা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় ১৯৯৬ সালের ১৫ জানুয়ারি সন্যাসবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। একই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ২০০০ সালের ১০ জুলাই এ প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক, কয়েকজন সহকারী শিক্ষকসহ এমএলএসএস পদে মোজাম্মেল হক নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ২০০১ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়। এরপর থেকে পিয়ন মোজাম্মেল হক নিয়মিতভাবে সরকারী বেতন-ভাতার অংশ উত্তোলন করে আসছেন। অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক আত্রাই উপজেলার সন্যাসবাড়ী গ্রামের মৃত ডোমেন প্রামাণিকের ছেলে। জানা যায়, নিয়োগপ্রাপ্তির সময় বিদ্যালয়ের এমএলএসএস মোজাম্মেল হক চকশিমলা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণী পাসের সনদ ব্যবহার করেন। কিন্তু ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিনি কোনদিন লেখাপড়া করেননি। প্রতিষ্ঠান প্রধানের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা সনদটি দিয়ে তিনি চাকরি করছেন। ঘটনায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে গত ৬ অক্টোবর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেন। পিয়ন মোজাম্মেলের অপসারণ দাবিতে এলাকায় পোস্টারিং করেছেন স্থানীয়রা। সন্যাসবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান জানান, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়ে পিয়ন মোজাম্মেল হকের সনদটি যাচাইয়ের জন্য চকশিমলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে পত্র দিয়েছিলাম। পিয়ন মোজাম্মেল হক চকশিমলা বিদ্যালয়ের ছাত্র নয় উল্লেখ করে প্রধান শিক্ষক মনির উদ্দিন আমার বরাবর একটি প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন। এতেই প্রমাণিত হয় নিয়োগের সময় পিয়ন মোজাম্মেল হক যে সনদ ব্যবহার করেছিলেন সেটি ছিল জাল। তবে, এ প্রসঙ্গে পিয়ন মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের সঙ্গে কোন কথা বলতে রাজি হননি। আত্রাই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×