ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নারী নেতৃত্বে মহাকাশে স্পেসওয়াক

প্রকাশিত: ০৭:৫১, ১ নভেম্বর ২০১৯

 নারী নেতৃত্বে মহাকাশে স্পেসওয়াক

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) বাইরে এই প্রথম একযোগে পদচারণা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার দুই নারী মহাকাশচারী। নাম ক্রিস্টিনা কখ এবং জেসিকা মীর। বিকল হয়ে পড়া একটি পাওয়ার কন্ট্রোল ইউনিট বদলানোর কাজে মহাকাশ স্টেশনের কোয়েস্ট এয়ারলকের (স্পেসওয়াকের সময় ব্যবহৃত দরজা) বাইরে বেরোন তারা। কোন পুরুষ মহাকাশচারী ছাড়া নারীদের আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের বাইরে আগে কখনও এভাবে কাজ করতে দেখা যায়নি। ক্রিস্টিনা কখ এর আগেও মহাকাশে চারবার স্পেসওয়াক করেছেন। তবে তার সঙ্গে যাওয়া জেসিকা মীরের এটিই প্রথম স্পেসওয়াক। ক্রিস্টিনা ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এবং জেসিকা মেরিন বায়োলজিতে ডক্টরেড। ১১:৩৮ জিএমটিতে তারা স্পেসওয়াকে বের হন। কাজ শেষে বিকল যন্ত্রটি নিয়ে তারা আবার এয়ারলকে ফিরবেন। পরে সেটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য স্পেসএক্স ড্রাগন ক্যাপ্সুলে করে পাঠিয়ে দেয়া হবে পৃথিবীতে। আরেক সহকর্মী এ্যান ম্যাকক্লেইনকে নিয়ে ক্রিস্টিনা কখের এ কাজটি করার কথা ছিল গত মার্চেই। কিন্তু ম্যাকক্লেইনের সঠিক স্পেসস্যুট না থাকার কারণে তা আর হয়ে ওঠেনি। মহাকাশে নারীদের অবদানকে গুরুত্ব দিতে নাসার কাজ করে যাওয়ার এই সময়ে দুই নারীর এ উদ্যোগ এক মাইলফলক। ক্রিস্টিনা বলেন, আগে সব সময় নারীদের এমন উল্লেখযোগ্য ভূমিকায় দেখা যেত না। এখন মহাকাশে একজন নারী হিসেবে অবদান রাখতে পেরে চমৎকার লাগছে। প্রত্যেকেই এখন ভূমিকা রাখতে পারছে। এতে সাফল্যের সুযোগটাও বাড়ার পথ তৈরি হচ্ছে। ওদিকে, জেসিকা বলেন, ‘আজ আমরা টিমের অংশ হিসেবে কাজ করতে পারছি। এতদূর আসতে পেরেছি দেখে ভাল লাগছে।’ প্রথম নারী হিসেবে মহাকাশে পদচারণা করেছিলেন রুশ সভেতলানা সাভিতস্কায়া। তিনি ১৯৮৪ সালের ২৫ জুলাই ইউএসএসআর এর স্পেশ স্টেশনের বাইরে ৩ ঘণ্টা পদচারণা করেছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন মহাকাশচারী ভ্লাদিমির ঝানিবেকভ। আর ইতিহাসে স্পেসওয়াক করা প্রথম মানুষ হচ্ছেন, সোভিয়েত নভোচারী এ্যালেক্সাই লিওনোভ। এ মাসের শুরুর দিকে ৮৫ বছর বয়সে মারা যান তিনি।
×