ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রিফকেসের ভেতর খন্ডিত লাশের রহস্য উদ্ঘাটন ॥ গ্রেফতার ৪

প্রকাশিত: ০৯:৪৩, ৩১ অক্টোবর ২০১৯

 ব্রিফকেসের ভেতর  খন্ডিত লাশের  রহস্য উদ্ঘাটন ॥ গ্রেফতার ৪

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ রাস্তার ওপর ব্রিফকেসে পাওয়া অজ্ঞাতনামা খন্ডিত লাশ উদ্ধার মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। ময়মনসিংহ পুলিশ লাইন্স দরবার হলে বুধবার সকালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেছেন পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ব্রিফকেসে পাওয়া খন্ডিত লাশটি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার হুগলা গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের পুত্র গার্মেন্টস কর্মী বকুল(২৮)এর। মেয়ে সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে এই হত্যাকা-ের ঘটনায় নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার হুগলা গ্রামের বাবুল মিয়ার পুত্র ফারুক মিয়া ও হৃদয় মিয়া, কন্যা সাবিনা আক্তার, ফারুকের স্ত্রী কুড়িগ্রাম জেলার কৃষ্ণপুর মিয়াপাড়া গ্রামের মোজাফর আলীর কন্যা মৌসুমী আক্তারকে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার বানিয়াচালা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গত ২৮ অক্টোবর গ্রেফতার হওয়া চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। আসামিরা বাঘেরবাজার বানিয়াচালার লিটন ডালির ভাড়া করা বাসায় বকুলকে ডেকে নিয়ে হত্যার পর হাত, পা ও মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ময়মনসিংহ ও কুড়িগ্রামে ফেলে রাখে। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরও জানান, নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার হুগলা গ্রামের সাবিনা আক্তার ও একই গ্রামের বকুলের পরিবারের মধ্যে পূর্ব বিরোধ ছিল। বকুল প্রায়ই সাবিনাকে উত্ত্যক্ত করত। এমনকি বিয়ের পর কুড়িগ্রামে গিয়েও সাবিনাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল বকুল। এসবের জের ধরে সাবিনার মাধ্যমে তার দুই ভাই ফারুক ও হৃদয় বকুলকে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার বাঘেরবাজার বানিয়াচালার ভাড়া করা বাসায় ডেকে নিয়ে আসে এবং পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বকুলকে হত্যার পর লাশ টুকরো করে ময়মনসিংহ ও কুড়িগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ফেলে পুলিশকে বিভ্রান্ত্র করার চেষ্টা করে। গত ২১ অক্টোবর ময়মনসিংহ নগরীর পাটগুদাম ব্রহ্মপুত্র ব্রিজ মোড়ের আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের সামনের রাস্তায় পড়ে থাকা ব্রিফকেস থেকে মস্তক ও হাত-পা বিহীন একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
×