ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিআরটিএ নির্বিকার ॥ বাস মিনিবাস অটোরিক্সা ট্যাক্সি দেদার পকেট কাটছে যাত্রীদের

প্রকাশিত: ০৯:৩৮, ২৯ অক্টোবর ২০১৯

  বিআরটিএ নির্বিকার ॥ বাস মিনিবাস অটোরিক্সা ট্যাক্সি দেদার পকেট কাটছে যাত্রীদের

রাজন ভট্টাচার্য ॥ বাসাবো থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দুই কিলোমিটারের বেশি সড়কে মিডলাইন পরিবহনের ভাড়া ১৫ টাকা। এই দূরত্বে যাত্রীদের কাছ থেকে সমপরিমাণ টাকা আদায় করছে বাহন পরিবহন নামে আরেকটি বাস কোম্পানি। মালিবাগ রেলগেট থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত লাভলী পরিবহনের ভাড়া ২০টাকা। এই দূরত্বে লাব্বাইক পরিবহন নিচ্ছে সমান টাকা। নগরজুড়ে এরকম শত শত বাস কোম্পানি সিটিং সার্ভিসের নামে অরাজকতা চালিয়ে যাচ্ছে বছরের পর বছর। এসব দেখার যেন কেউ নেই। সিটিং বাস সার্ভিসের নীতিমালা করার নামে বছরের পর বছর সময় লাগছে। কিন্তু অবৈধ এই সিটিং সার্ভিস বন্ধে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেই। এদিকে এসি বাসের মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া নিয়েও যাত্রীদের অভিযোগ বিস্তর। এসি বাস সার্ভিসের নীতিমালা না থাকায় ইচ্ছেমতো পরিবহন কোম্পানিগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করে যাচ্ছে। তেমনি রাজধানীর অটোরিক্সার ক্ষেত্রে ভাড়া নৈরাজ্য চলছেই। নিবন্ধিত ২১ হাজার অটোরিক্সার মধ্যে এখন একটিও পাওয়া যাবে না যা মিটারে চলে। সিটিং-লোকাল সব বাসের বিরুদ্ধেই বাড়তি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ। মালিক সমিতি বলছে ৫০ ভাগের বেশি বাস এখন সিটিং হয়ে চলছে। ট্যাক্সি ক্যাব সোনার হরিণ। ভাগ্যক্রমে পাওয়া গেলেও ভাড়া শুনে চোখ কপালে ওঠার মতো। এসব বিষয়ে নির্বিকার বিআরটিএ। প্রশ্ন হলো এই ভাড়া অরাজকতার শেষ কোথায়। তাছাড়া এই অবস্থা কি চলতেই থাকবে। এদিকে গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য রোধ ও যাত্রীসেবা নিশ্চিতে মাঠে নামছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের বিশেষ তদারকি সেল। অধিদফতরের ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগীয় কার্যালয়ের প্রধানদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির নির্দেশে সারাদেশের বাসস্ট্যান্ডে বিশেষভাবে তদারকি করা হবে। এ সময় কোন অনিয়ম পেলেই পরিবহন মালিক, চালক ও হেলপারসহ সংশ্লিষ্টদের ভোক্তা আইনের আওতায় শাস্তি দেয়া হবে। পরিবহন মালিকরা বলছেন, সবার পরামর্শ নিয়ে সিটিং সার্ভিস নীতিমালার খসড়া করেছে বিআরটিএ। ভাড়াও ঠিক হয়েছে। কিন্তু নীতিমালা চূড়ান্ত করা হচ্ছে না। এই সুযোগ নিচ্ছে এক শ্রেণীর পরিবহন মালিক। ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, আমরা কোন নৈরাজ্য চাই না। যাত্রীদের কোন উপায় নেই। তাই যে বাস সামনে আসে সেটাতেই ওঠেন। কিন্তু বেশি ভাড়ার কারণে কষ্ট হওয়া স্বাভাবিক। তিনি বলেন, মালিক সমিতির পক্ষ থেকে সব সময় নির্দেশ দেয়া হয় বেশি ভাড়া যেন কোন অবস্থাতেই আদায় না করা হয়। ৩০২ রুটে যত বাস বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীতে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ১৪ লাখ ৯৩ হাজার ২৩৩। ৩০২ রুটে চলছে যানবাহন। এরমধ্যে অটোরিক্সার সংখ্যা ২১ হাজার ৪৩৪, বাস ৩৫ হাজার ৩৬৮। মিনিবাস ১০ হাজার ৬৮৫। মালিক সমিতি বলছে, নিবন্ধিত বাস ও মিনিবাসের সংখ্যা বেশি হলেও অনেক বাস দিনের পর দিন নষ্ট হয়ে আছে। কিংবা রুট বন্ধ হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে এখন রাজধানীতে ১১ হাজারের বেশি বাস-মিনিবাস চলাচল করে না। অটোরিক্সা চলছে সর্বোচ্চ সাত হাজার। সরকার নির্ধারিত ভাড়া ঢাকা মহানগরীতে বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া সাত টাকা ও প্রতি কিলোমিটার ১ দশমিক ৭০ টাকা এবং মিনিবাসে সর্বনিম্ন পাঁচ টাকা ও কিলোমিটার প্রতি ভাড়া ১ টাকা ৬০ পয়সা করা হয়। এর বেশি ভাড়া নেয়ার সুযোগ নেই। বিআরটিএ সূত্র বলছে, ‘১৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে চলাচলকারী বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়। সে সময় বাসের ভাড়া প্রতি কিলোতে ১ টাকা ৭০ পয়সা ও মিনিবাসের ভাড়া ১ টাকা ৬০ পয়সা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। সিএনজিচালিত অটোরিক্সা মালিক ও চালকদের চাপাচাপিতে সরকার ’১৫ সালের নবেম্বরে অটোরিক্সার ভাড়া নতুন করে নির্ধারণ করে। এতে অটোরিক্সার ভাড়া প্রায় ৬০ ভাগ বৃদ্ধি পায়। বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, সরকার নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়া ৪০ টাকা। বিরতিকালের জন্য প্রতি মিনিটে আগের ১ টাকা ৪০ পয়সার স্থলে ২ টাকা, একই সঙ্গে মালিকদের জমার পরিমাণ বাড়িয়ে ৬শ’ থেকে ৯শ’ টাকা করা হয়। ভাড়া বৃদ্ধির সময় যে কোন দূরত্বে যাত্রী পরিবহনে বাধ্যতামূলক সর্বনিম্ন ভাড়া ৪০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। তবুও অটোরিক্সা মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ৯ দফা দাবি তুলে এ মাসেই ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছিল। সমাধান কি প্রশ্ন হলো সিটিং বা লোকাল বাসের নামে কেন তাহলে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। অটোরিক্সার নির্ধারিত ভাড়া কেন কার্যকর হচ্ছে না। এসি বাস সার্ভিসের বাড়তি ভাড়ারই বা কি হবে? তিন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কথা হয় বিআরটিএ পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানীর সঙ্গে। তিনি বলেন, বৈধতা না থাকায় সিটিং সার্ভিসের নামে বাড়তি ভাড়া নেয়া ঠিক নয়। অটোরিক্সার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তিনি বলেন, সিটিং সার্ভিস নীতিমালার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। যারা অন্যায়ভাবে বাড়তি ভাড়া আদায় করে তাদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অটোরিক্সা মালিক সমিতির নেতা বরকতউল্লাহ ভুলু বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ছে। কিন্তু অটোরিক্সার ভাড়া ও জমা বাড়ছে না। তিনি বলেন, চালকরা রাস্তায় গিয়ে যদি অরাজকতা চালায় তা দেখার দায়িত্ব বিআরটিএর। আশা করি তারা দেখভাল করলে সমস্যা কেটে যাবে। অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা হানিফ খোকন বলেন, সবকিছু নিয়ম নীতির মধ্যে চলা উচিত। মালিকরা বাড়তি টাকা জমা নিচ্ছে তা তো কেউ বলে না। ফলে চালকদের কোন উপায় নেই। সে চলার প্রয়োজনে বাড়তি ভাড়া নেয়। প্রশ্ন হলো রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিআরটিএ) কাজ কি? চোখের সামনে বছরের পর বছর যাত্রীদের পকেট কেটে শত শত কোটি টাকা বাস, অটোরিক্সাওয়ালারা নিয়ে যাচ্ছে, অথচ তারা এসব বন্ধে কার্যকর কিছুই করছে না। সবচেয়ে কষ্টের বিষয় হলো, যাত্রা শুরুর পর থেকে সামান্য কয়েকটি অটোরিক্সাকে পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি বিআরটিএ। বিভিন্ন রুটে বাস ভাড়ার চিত্র মতিঝিল থেকে রামপুরা হয়ে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত চলাচলকারী গ্রীন ঢাকা পরিবহনের বাসের ভাড়া ১০০ টাকা, কিলোমিটার প্রতি ৪ টাকা ৭৬ পয়সা। এই বাসের সর্বনিম্ন ভাড়া ৬০ টাকা, অর্থাৎ বাসে উঠলেই আপনাকে এই টাকা দিতে হবে তা আপনি যে দূরত্বেই যান না কেন। মতিঝিল থেকে ফার্মগেট হয়ে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত ২২ দশমিক ৫ কিলোমিটার পথে বিআরটিসির শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের ভাড়া ৬০ টাকা। প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ২ টাকা ৬৭ পয়সা। এই বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ৩০ টাকা, শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বনিম্ন ২০ টাকা ভাড়া রাখা হয়। খিলক্ষেত থেকে মগবাজার হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত যেসব যানবাহন চলাচল করে সেগুলোর মধ্যে সিটিং সার্ভিসের প্রতিটিতেই মগবাজার-মতিঝিলের ভাড়া এক। অর্থাৎ খিলক্ষেত থেকে সাতরাস্তা পার হলেই ৪০ টাকা দিতে হয়। সর্বনি¤œ ভাড়া ২০ টাকা। মতিঝিল থেকে গুলিস্তান, রামপুরা হয়ে উত্তরার দিয়াবাড়ি খালপাড় পর্যন্ত বিআরটিসির আরেকটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস সেবা রয়েছে। এই রুটের ভাড়া ৭০ টাকা, কিলোমিটার প্রতি ভাড়া দুই টাকা ৯৭ পয়সা। এতে সর্বনিম্ন ভাড়া রাখা হয় ৩০ টাকা। মিরপুর ডিওএইচএস থেকে ইসিবি চত্বর, ঢাকা সেনানিবাস হয়ে কাওরানবাজার পর্যন্ত চলাচলকারী ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের ভাড়া ৫৫ টাকা। ১৩ কিলোমিটার দূরত্বের এই রুটে প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া আসে ৪ টাকা ২৩ পয়সা। এই যানবাহনের ১০, ১৫, ২০ টাকারও টিকেট আছে। কাকলী থেকে নতুন বাজার আর গুলশান শূটিং ক্লাব থেকে গুলশান ২ নম্বরে চলাচলকারী ঢাকা চাকা পরিবহনের বাস ভাড়া ১৫ টাকা। আড়াই কিলোমিটার দূরত্বের এ পথে কিলোমিটার প্রতি ভাড়া দিতে হয় ৬ টাকা। নতুন বাজার থেকে কাকলী পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার দূরত্বের ভাড়াও ১৫ টাকা, কিলোমিটার প্রতি ৬ টাকা। এই পথে সম্প্রতি গুলশান চাকা নামে আরেকটি পরিবহন সেবা যুক্ত হয়েছে। এর ভাড়াও ১৫ টাকা। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, গণপরিবহনের ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রীসেবা নিশ্চিতে বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। এর আগেও অধিদফতরের পক্ষ থেকে এমন কার্যক্রম চালু ছিল। সে সময় প্রথম অবস্থায় রাজধানী ও পরে সারাদেশে তদারকি চলে। তবে এবার নতুন করে সেল গঠন করা হয়েছে। সেলের সদস্যরা কঠোর তদারকি করবেন। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এ সেল মাঠে নামবে। সপ্তাহের ৬ দিন রাজধানীসহ প্রতিটি জেলার বাসস্ট্যান্ডে ঝটিকা অভিযান চালাবে। তিনি বলেন, সদস্যরা অধিদফতরের পরিচয় না দিয়ে যাত্রী হিসেবে গণপরিবহনে উঠবেন। এ সময় ভাড়া ও যাত্রীসেবা নিয়ে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা কোন ধরনের নৈরাজ্য করলেই মালিক থেকে শুরু করে চালক উঠবেন হেলপারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ভোক্তা আইনে মামলা করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। আর শাস্তির ক্ষেত্রে প্রাথমিক অনিয়মে জরিমানা ও বড় ধরনের অনিয়মে জেলে পাঠানো হবে। সরেজমিন দেখা গেছে, রাজধানীর এয়ারপোর্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পরিবহন লিমিটেড ফার্মগেট থেকে শাহবাগ পর্যন্ত ভাড়া আদায় করছে ১০ টাকা। কিন্তু বিআরটিএর হিসাব অনুযায়ী, ফার্মগেট থেকে শাহবাগ পর্যন্ত ২ দশমিক ৪ কিলোমিটার দূরত্বের হিসাবে বাসের ভাড়া চার টাকা ও মিনিবাসের ভাড়া চার টাকারও কম হওয়ার কথা। সর্বনি¤œ ভাড়া হিসেবে এ দূরত্বে বাসে সাত ও মিনিবাসে পাঁচ টাকা হওয়ার কথা। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা ১০ টাকা ভাড়া নিচ্ছেন। এছাড়া মহাখালী থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত সরকার নির্ধারিত ভাড়া ৮ টাকা। এই রুটে বিভিন্ন পরিবহন ভাড়া আদায় করছে ২০ টাকা। রাজধানীর নর্দা বাসস্ট্যান্ড থেকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের দূরত্ব ৫ কিলোমিটার না হলেও এর জন্য বাস যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে ২৫ টাকা। অপরদিকে আজমেরী গ্লোরি, স্কাইলাইন, প্রভাতী-বনশ্রী, বলাকা বাসে বনানী থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত ২০ টাকা ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। অথচ নাবিস্কো, সাতরাস্তা বা মহাখালী থেকে উঠলেও একই ভাড়া নেয়া হচ্ছে। বিআরটিএর হিসাব অনুযায়ী, গুলিস্তান থেকে বনানী পর্যন্ত ভাড়া সর্বোচ্চ ১৯ টাকা ও নাবিস্কো থেকে ১৪ টাকা হওয়ার কথা। কিন্তু বাস এ নিয়ম মানছে না। কনজ্যুমারস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান ড. গোলাম রহমান বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের এ পরিকল্পনা অনেকটার প্রশংসনীয়। এই তদারকি যদি জোরদার ও সুষ্ঠুভাবে করা যায়, তাহলে জনসাধারণ স্বস্তি পাবে। নৌসড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, বাস অটোরিক্সাসহ গণপরিবহনের কাছে যাত্রীরা একেবারেই জিম্মি। এর কারণ হলো বিআরটিএ তাদের প্রয়োজনীয় কাজটি করছে না। তাদের অবহেলা আর ‘আপোস আপোস’ খেলায় যাত্রীদের পকেট কাটা হচ্ছে। এই অবস্থার এখনই পরিবর্তন জরুরী।
×