ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

খোলাবাজারে ডলারের কৃত্রিম সঙ্কট

প্রকাশিত: ০৯:১২, ২৯ অক্টোবর ২০১৯

  খোলাবাজারে ডলারের  কৃত্রিম সঙ্কট

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বেসরকারী খাতে বড় ধরনের আমদানি দায় পরিশোধ এবং দুর্নীতিবিরোধী সাম্প্রতিক অভিযানকে কেন্দ্র করে ডলারের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি হয়েছে। খোলাবাজারে ডলার বিক্রি হচ্ছে ৮৭ টাকারও বেশি দরে। তবে ব্যাংকাররা বলছেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের সঙ্কট নেই। যে কারণে গত এক মাসে কোন ডলার বিক্রি করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। পদ্মা সেতুর কিংবা অন্যান্য মেগা প্রকল্পের যন্ত্রাংশ আমদানি। এসবের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার জোগান আছে ব্যাংকিং চ্যানেলে। তারপরও খোলা বাজারে হঠাৎ করেই দেখা দিয়েছে ডলার সঙ্কট। ব্যাংকাররা বলছেন, বেসরকারী খাতে আমদানি দায় পরিশোধে কিছু চাহিদা বাড়লেও তা তীব্র নয়। অগ্রণী ব্যাংকের এমডি শামস-উল ইসলাম বলেন, আমরা এ পর্যন্ত পদ্মা সেতুকে ১ বিলিয়ন দিয়েছি। কিন্তু এর মধ্যে ১ ডলারও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আনিনি। তবে এলএনজি আনার পরে কিছুটা চাপ রয়েছে। সদ্যবিদায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ব্যাংগুলোর কাছে ২৩৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত তিন মাসের পরিসংখ্যান বলেছে, ডলারের চাহিদা গতবছরের মতো তীব্র নয়। গত জুলাই মাসে বিক্রি করে ৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার, আগস্টে বিক্রি করে ২ কোটি ৩০ লাখ ডলার। সেপ্টেম্বরে কোন ডলার বিক্রি করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। এবিবি ব্যাংকের সভাপতি সৈয়দ মাহবুবর রহমান বলেন, ‘মুদ্রার প্রচলন কম থাকায় ডিমান্ড বেশি হতেই পারে।’ হঠাৎ করে খোলা বাজারে ডলারের সঙ্কট বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যাংকাররা বলছেন, সাম্প্রতিক দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের ফলে একটি গোষ্ঠীর মধ্যে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে গেছে। আবার অনেকেই টাকা পরিবর্তন করে ডলার রাখাকে নিরাপদ মনে করছেন। এর প্রভাবেই দুই মাসের ব্যবধানে খোলা বাজারে টাকার বিপরীতে ডলারের দর বেড়েছে প্রায় ১ টাকা ৭০ পয়সা। ব্যাংকিং চ্যানেলে সংকট না থাকায় ও রেমিটেন্সে প্রণোদনা চালু হওয়ায় ডলারের দাম স্থিতিশীল হয়ে আসবে বলেও মনে করছেন ব্যাংকার এবিবি ব্যাংকের সভাপতি সৈয়দ মাহবুবর রহমান।
×