ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রাইটের টাকা ব্যবহারের পরও বিডি থাইয়ের নো ডিভিডেন্ড ঘোষণা

প্রকাশিত: ০৯:১০, ২৯ অক্টোবর ২০১৯

 রাইটের টাকা ব্যবহারের পরও বিডি  থাইয়ের নো ডিভিডেন্ড ঘোষণা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বিডি থাই এ্যালুমিনিয়াম ব্যবসায় সম্প্রসারণের লক্ষ্যে রাইট শেয়ারের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছে। যে অর্থ দুই দফায় সময় বাড়িয়েও পুরোপুরি ব্যবহার সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ রবিবার ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ব্যবসায় অর্জিত মুনাফা থেকে শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মাধ্যমে আগের দুই অর্থবছরের ন্যায় এবারও অযৌক্তিকভাবে মুনাফার শতভাগ কোম্পানিতে রেখে দেয়া হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের শেষার্ধে (৬ মাসে) শেয়ার প্রতি ১.০৩ টাকা মুনাফা দেখিয়ে কোম্পানিটির পক্ষে রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ২০১৬ সালে ৫২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা সংগ্রহ করা হয়। যা ব্যবহারের জন্য ১৫ মাস বা ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা ছিল। কিন্তু কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ওই সময়ের মধ্যে অর্থ ব্যবহারে ব্যর্থ হয়। যাতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন সাপেক্ষ ১ বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। তবে এবারও সেই অর্থ ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি। যাতে আবারও ৬ মাসের সময় বাড়ানো হয়েছে। এ হিসাবে গত ৩০ জুনের মধ্যে রাইটের অর্থ ব্যবহার করার বাধ্যবাধকতা ছিল। তবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ চলতি বছরের ৩১ মার্চের পরে রাইটের ফান্ড ব্যবহারের তথ্যই প্রকাশ করেনি। বিডি থাই এ্যালুমিনিয়ামের জমি উন্নয়ন, ভবনের কাজ, মেশিনারিজ আমদানি ও দেশে ক্রয়, পণ্যে বৈচিত্র্যতা আনার জন্য বিনিয়োগ, চলতি মূলধন, ঋণ পরিশোধ, সিকিউরিটি অর্থ হিসেবে ডিপোজিটের জন্য রাইটের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা হয়। তবে চলতি বছরের ৩১ মার্চ শেষে ৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বা ৮.৯৫ শতাংশ ফান্ড অব্যবহৃত রয়েছে। এছাড়া রাইটের অর্থ ব্যাংকে জমাবাবদ সুদজনিত ৬৪ লাখ টাকা রয়েছে। এ হিসাবে মোট ৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা অব্যবহৃত রয়েছে। কোম্পানিটি ১টি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে ১টি রাইট শেয়ার ইস্যু করে। এক্ষেত্রে প্রতিটি শেয়ার শুধুমাত্র অভিহিত মূল্যে ইস্যু করা হয়। আর এই শেয়ার ইস্যুর লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টাকা জমা দেয়ার সুযোগ ছিল। কোম্পানিটির ২০১৮-১৯ অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ০.৫৬ টাকা হিসেবে মোট ৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। এর মধ্যে থেকে শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ দেয়া হবে না। যার পুরোটাই কোম্পানিতে থেকে যাবে। এর আগে ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে শুধুমাত্র বোনাস শেয়ার প্রদানের মাধ্যমে অর্জিত মুনাফার সবটুকু কোম্পানিতে রেখে দেয়া হয়। ওই দুই অর্থবছরে যথাক্রমে ৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ও ১১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা মুনাফা হয়েছিল। ১২৪ কোটি ৫ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের বিডি থাইয়ে ১৫২ কোটি ৭২ লাখ টাকার রিজার্ভ রয়েছে। উল্লেখ্য, সোমবার লেনদেন শেষে বিডি থাইয়ের শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৮.৪০ টাকায়।
×