ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অভিযোগকারীকেই চাঁদাবাজ খুনী বলল সড়ক পরিবহন সমিতি

প্রকাশিত: ১২:২৮, ২৮ অক্টোবর ২০১৯

অভিযোগকারীকেই চাঁদাবাজ খুনী বলল সড়ক পরিবহন সমিতি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সড়ক পরিবহন খাতে নতুনভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারার অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতি। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগকে অপপ্রচার উল্লেখ করে উল্টো অভিযোগকারীকেই চাঁদাবাজ খুনী বলে উল্লেখ করছেন তারা। রবিবার সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গা বলেন, সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আনতে সড়ক পরিবহন সমিতি কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু এ খাত বিশৃঙ্খল করতে ইসমাইল হোসেন বাচ্চু নামে একজনকে কাজে লাগাচ্ছে। তিনি বলেন, ইসমাইল হোসেন বাচ্চু ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনালের পরিবহন শ্রমিক নেতা। টার্মিনালে মালিক শ্রমিক নির্যাতন ও একজন পরিবহন মালিকসহ তিনটি হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়। টার্মিনাল দখল করা এবং চাঁদাবাজির রাজত্ব কায়েম করতে বাচ্চু গংরা চেষ্টা চালাচ্ছে। এজন্যই সমিতির নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। সড়ক পরিবহন সমিতির সাবেক নেতা ইসমাইল হোসেন বাচ্চু গত ১ অক্টোবর ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য লীগ’ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে দাবি করা হয়, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ প্রতিদিন ঢাকার পরিবহন খাত থেকে প্রায় এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করেন। রবিবার সমিতির সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগ মিথ্যা। ঢাকায় এত টাকা চাঁদাবাজি করার সুযোগ নেই। সমিতির নামে চাঁদা তোলার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আমরা সমিতির কার্যক্রম চালানোর জন্য মালিকের কাছ থেকে একটা নির্ধারিত অঙ্কের টাকা চাঁদা নেই। প্রতিটি জেলা কমিটির কাছ থেকে প্রতি মাসে দুই হাজার টাকা এবং ট্রাকের জন্য এক হাজার টাকা আদায় করা হয়। ঢাকা এবং শহরে দৈনিক ভিত্তিতে চাঁদা নেয়া হয়। যদি ঢাকা থেকেই ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা হয়, তাহলে সারাদেশে কত হবে? মাসে কত হবে এবং বছরে কত হবে? এতেই পরিষ্কার, তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব তথ্য দিচ্ছে। শহরগুলো থেকে কত টাকা চাঁদা নেয়া হয়- সাংবাদিকদের এ প্রশ্ন এড়িয়ে যান খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। তবে ঢাকায় যেসব গাড়ি বিভিন্ন কোম্পানির আওতায় চলে সেগুলোতে মালিক সমিতির ক্ষমতা ‘সীমিত’ বলে জানান তিনি। এনায়েত উল্লাহ বলেন, অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধ করতে তিনি দীর্ঘদিন ‘কাজ করে যাচ্ছেন’। তবে সংগঠন চালাতে ‘যুক্তিসঙ্গত’ কিছু টাকা আদায় করার প্রয়োজন আছে। সংগঠন চালাতে যে খরচটা লাগে, সেটা যুক্তিসঙ্গতভাবে সাপ্তাহিক হোক, মাসিক হোক যেটা যার যার অফিসে নেয়া হোক। এটা করা হলে রাস্তাঘাটে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করা যাবে না। এ বিষয়টা নিয়ে আমরা শ্রমিক ফেডারেশনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের বিভিন্ন জেলায় ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির পক্ষে ঢাকার আদালতে আরেকটি মামলা করা হয়েছে।
×