ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রতিপক্ষ ভারতের গোকুলাম কেরালা

ফাইনালে চোখ চট্টগ্রাম আবাহনীর

প্রকাশিত: ১০:৫৭, ২৮ অক্টোবর ২০১৯

 ফাইনালে চোখ চট্টগ্রাম আবাহনীর

জাহিদুল আলম জয়, চট্টগ্রাম থেকে ॥ শিরোপা পুনরুদ্ধার করতে আর মাত্র দু’টি জয় প্রয়োজন চট্টগ্রাম আবাহনীর। প্রথমে জিততে হবে সেমিফাইনাল, এরপর ফাইনাল। এ লক্ষ্যে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবলের প্রথম সেমিফাইনালে মাঠে নামছে ২০১৫ প্রথম আসরের চ্যাম্পিনরা। ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করার ম্যাচে বন্দরনগরীর জায়ান্টদের প্রতিপক্ষ ভারতের ডুরাল্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন গোকুলাম কেরালা। চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে শেষ চারের হাইভোল্টেজ এই ম্যাচটি শুরু হবে আজ সন্ধ্যা ৭টায়। ম্যাচটিতে জয় ছাড়া কিছুই ভাবছে না চট্টগ্রাম আবাহনী। তবে জামাল, ইয়াসিন, আরিফুলরা সমীহ করছেন প্রতিপক্ষ কেরালাকে। সেমির মহারণে মাঠে নামার আগে রবিবার সন্ধ্যায় এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন স্বাগতিক দলের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া। প্রতিপক্ষকে সমীহ করে বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই সুপারস্টার বলেন, ‘ওরা বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নদের (বসুন্ধরা কিংস) ৩-১ গোলে হারিয়েছে। এখনও অপরাজিত আছে। সেই দলের বিরুদ্ধে খেলতে হলে সতর্ক থাকা ছাড়া উপায় নেই। তবে আমরা ওদের (গোকুলাম কেরালা) ভিডিও এ্যানালাইসিস করেছি। কোন পজিশনে ওরা ভাল খেলে, তাদের দুর্বলতা কোথায় তা বের করেছি। আমরা প্রস্তুত সেমিফাইনালের জন্য।’ সাইফ স্পোর্টিং থেকে অতিথি হিসেবে খেলতে আসা জামাল বলেন, ‘ওদের বিদেশী কালেকশন অনেক ভাল। গ্রুপপর্বে পাঁচ গোল দিয়েছে। তবে আমার আত্মবিশ্বাস আছে জয়ের ব্যাপারে। কারণ আমাদের টিমও ভাল। আমরা আট গোল করেছি গ্রুপপর্বে। ওরা সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করে মিডফিল্ডে। সেখানটায় আটকাতে হবে।’ অন্যান্য মাচে দর্শক খরা থাকলেও চট্টগ্রাম আবাহনীর মাঠে গ্যালারি প্রায় ভরপুর হয়ে যায়। এটাকে বাড়তি সুবিধা মনে করেন জাতীয় দলের অধিনায়ক বলেন, ‘দর্শকরা আমাদের প্রাণ। তারা আসলে দলের দ্বাদশ খেলোয়াড়। দ্বিতীয় ম্যাচে আমরা দুই গোল খেয়েছি ইয়ং এলিফ্যান্টের কাছে। তারপরও দর্শকরা আমাদের সমর্থন করেছে। এটা আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়।’ ফাইনালে যেতে আত্মবিশ্বাসী জামাল বলেন, ‘আশা করছি আমরা ফাইনালে যেতে পারব। এখন এটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। গোকুলামের গার্সিয়া ও কিসেকা খুব ভাল খেলোয়াড়। এই দু’জনকে আলাদা মার্কিংয়ে রাখব। তারা ভারত না মালয়েশিয়ান টিম, সেটা আমার কাছে মুখ্য নয়।’ অধিনায়কের মতো কোচ মারুফুল হকও গোকুলামকে সমীহ করছেন। টুর্নামেন্টে একমাত্র বাংলাদেশী কোচ বলেন, ‘গোকুলাম কেরালা ভাল দল। পরিকল্পনা ও কৌশলগত দিক দিয়ে অনেক শক্তিশালী। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেলার চেষ্টা করে। আমরা ওদের খেলা পর্যালোচনা করেছি। কিভাবে আটকাতে হবে সেটাও বের করেছি। আশা করছি সফল হতে পারব। আগেই বলেছি আমাদের লক্ষ্য শিরোপা পুনরুদ্ধার করা। তবে এই মুহূর্তে সব ভাবনা সেমিফাইনাল ম্যাচ নিয়ে’। চট্টগ্রাম আবাহনী কোচ আরও বলেন, ‘ওদের তিনটা বিভাগেই ভালমানের খেলোয়াড় আছে। খেলাটা তারা তাদের ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তার মানে এই নয় যে, তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের হারানো যাবে না।’ নিজের দল নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার দল (চট্টগ্রাম আবাহনী) শুরুর দুই ম্যাচে ভাল করেছে। সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় তৃতীয় ম্যাচে আমাদের পরিকল্পনা অন্যরকম ছিল। যদি পরিকল্পনা আগের মতোই থাকত, তাহলে ম্যাচে আমরা আরও উন্নতি করতে পারতাম। আমি আশাবাদী গোকুলামকে হারাতে’। অগ্নিপরীক্ষায় মাঠে নামার আগে গতকাল বন্দর মাঠে শেষবার নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছেন আবাহনীর ফুটবলাররা।
×