স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে চায় পূর্ব ভারতের পাঁচকোটি মানুষ। বর্তমানে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো ব্যবহার করে কলকাতা বন্দর, যা ১২শ’ কিলোমিটার দূরে। চট্টগ্রাম বন্দর হলে তাদের এ দূরত্ব অর্ধেক হয়ে যাবে। এতে করে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশে কর্মসংস্থান বাড়বে। দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন চট্টগ্রাম। বাংলাদেশ এ চট্টগ্রামের দিকে তাকিয়ে আছে।
রবিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিএমসিসিআই) আয়োজিত মাসব্যাপী বাংলাদেশ ট্রেড এ্যান্ড এক্সপোর্ট ফেয়ার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী কথাগুলো বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর বিস্ময়। এটি সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারের গতিশীল নেতৃত্বের কারণে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা এদেশের স্বাধীনতা চায়নি। তারা জয়বাংলার স্লোগান স্তব্ধ করে দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্ন ধারণ করে উদয়াস্ত পরিশ্রম করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিদেশীরা এখন জানতে চায় বাংলাদেশের উন্নতির চাবিকাঠি কী?
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী রফতানি খাতে দেশের অগ্রগতি প্রসঙ্গে বলেন, ২০২১ সাল হবে আমাদের মাইলস্টোন। ৬০ বিলিয়ন ডলার রফতানির টার্গেট নিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি। বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রা স্তব্ধ করা যাবে না।
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মিসর থেকে পেঁয়াজ এলে একসপ্তাহের মধ্যে দর কমে যাবে। তাহলে আমরা ৮০ টাকার মধ্যে পেঁয়াজ পাব। তবে এ কষ্ট পুরোপুরি দূর হতে আরও মাসখানেক সময় লাগবে। কারণ এখন আমাদের নিজেদের পেঁয়াজ নেই। বাংলাদেশে পেঁয়াজের মৌসুম আসতে আর বেশি দেরি নেই। তবে তিনি পেঁয়াজের সঙ্কট চিরতরে কাটাতে দেশে উৎপাদন বৃদ্ধির বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমি কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে চাষ বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি বলেন, চাল এবং আলু আমাদের উদ্ধৃত্ত। পেঁয়াজসহ কয়েকটি পণ্যের সঙ্কট দেখা দেয়।