ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নিজস্ব জায়গা নেই, পাঠদান নেই তবুও কলেজ এমপিও

প্রকাশিত: ০৯:২৯, ২৭ অক্টোবর ২০১৯

 নিজস্ব জায়গা নেই, পাঠদান নেই তবুও  কলেজ এমপিও

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ২৬ অক্টোবর ॥ এনজিও নির্মিত প্রাইমারী স্কুল দখল করে ভাঙ্গুড়া উপজেলার শুধু সাইনবোর্ড ঝুলানো অষ্টমনিষা টেকনিক্যাল এ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ এমপিওভুক্ত করায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। নিজস্ব জায়গা ছাড়া, নিয়মিত ক্লাস চালু না করাসহ যে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আদালতে জায়গা দখলের মামলা চলছে সে কলেজ কিভাবে এমপিওভুক্ত হলো সে প্রশ্ন উঠছে। জানা গেছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতরের অর্থায়নে পাবনার বেঙ্গলস্টার এরিয়া ওয়ার্ক সোসাইটি নামে একটি এনজিও ১৯৯৯ সালে ভাঙ্গুড়া উপজেলায় তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জায়গা খোঁজ করে। তখন অষ্টমনিষা ইউনিয়নের অষ্টমনিষা গ্রামে একটি বিদ্যালয়ের জন্য মানিকজান নামে এক ব্যক্তি ৩৩ শতক জমি ওই এনজিওর মাধ্যমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতরকে দান করেন। সেসময় সরকারী অর্থায়নে ওই জায়গায় বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ ও আসবাবপত্র বানানো হয়। ২০০৪ সালে এনজিও অর্থাভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়টির পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এ সুযোগে ওই জায়গা ও আসবাবপত্রসহ বিদ্যালয়ের আধাপাকা টিনশেড ঘর দখল করে ২০০৪ সালে অষ্টমনিষা টেকনিক্যাল এ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ স্থাপন করে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কলেজে কর্মরত কয়েক শিক্ষক। স্কুলের পাশে তারা আরও ২৫ শতক জমি ক্রয় করেন। যদিও এমপিও নীতিমালা অনুসারে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের জায়গার আয়তন ন্যূনতম এক একর হওয়া বাধ্যতামূলক। সে সময় পাশের চাটমোহর উপজেলার আটলঙ্কা ডিগ্রী কলেজের গণিত বিষয়ের প্রভাষক ও অষ্টমনিষা গ্রামের বাসিন্দা শাহিনুর রহমান অষ্টমনিষা টেকনিক্যাল এ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেন। এরপর থেকে শাহিনুর রহমান দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে আসছেন। তবে দীর্ঘদিন এমপিওভুক্ত না হওয়ায় অন্য শিক্ষকরা কলেজ ছেড়ে চলে যান। আটলঙ্কা ডিগ্রী কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষক হওয়ায় অধ্যক্ষ শাহিনুর মাসে ২-১ দিন অষ্টমনিষা কলেজে আসতেন। তিনি নিয়মিত না আসায় অন্য শিক্ষকরাও কলেজে আসতেন না। এতে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্যক্রম আছে শুধু কাগজ কলমে। এ অবস্থায় ১৫ বছর আগে বিএম কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হলেও আজও প্রতিষ্ঠানটির নেই নিজস্ব জায়গা, ভবন ও পাঠদানের জন্য উপযুক্ত কোন শ্রেণীকক্ষ। স্থানীয়দের অভিযোগ কলেজটিতে কখনই নিয়মিত ক্লাস হতো না। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ঝরে পড়া শিক্ষার্থীকে ভর্তি করে শুধু পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানো হয়।
×