ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভিকারুননিসার নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৯:২৬, ২৭ অক্টোবর ২০১৯

ভিকারুননিসার নির্বাচনে  অনিয়মের  অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল এ্যান্ড কলেজের গবর্নিং বডির নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন বাতিলের দাবি তুলেছেন পরাজিত প্রার্থীরা। একই সঙ্গে প্রার্থীরা ভুয়া ভোট প্রদান, ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকাসহ নানা অভিযোগ তুলে এডহক কমিটির সভাপতি (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ নাজমুল হক খানের পদত্যাগ দাবি করেছেন। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরাজিত প্রার্থীরা এসব দাবি করেছেন। এর আগে শুক্রবার বিকেলে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচনের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ফারজানা জামান। গবর্নিং বডির নির্বাচনে ছয়জন অভিভাবক প্রতিনিধিকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ী প্রার্থীদের মধ্যে সাধারণ অভিভাবক প্রতিনিধি হিসেবে বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শাখায় গোলাম বেনজীর, মাধ্যমিক শাখায় সিদ্দীকি নাসিরুদ্দীন ও ওহেদুজ্জামান, কলেজ শাখা থেকে এবিএম মনিরুজ্জামান ও মুরশীদা আক্তার এবং অভিভাবকদের মধ্যে সংরক্ষিত মহিলা আসনে এ্যাডভোকেট রিনা পারভিন বিজয়ী হয়েছেন। শিক্ষকদের মধ্য থেকে তিনজন সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিকে বাদরুল আলম, মাধ্যমিকে ফাতেমা জহুরা হক ও জান্নাতুল ফেরদৌস। এসব পদে মোট ৩৩ প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তবে রাতেই ভুয়া ভোট প্রদান, ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকাসহ নির্বাচনকে ঘিরে নানা ধরনের অভিযোগ তুলেছিলেন পরাজিত একাধিক প্রার্থী। নির্বাচন বাতিলে আদালতে মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন। এরপর শনিবার সংবাদ সম্মেলন করেন পরাজিত প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ সুজন, মীর মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন টিপু, জেসমিন আক্তার, এ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ ও নাছিমা আক্তারসহ কয়েকজন। তাদের অভিযোগ ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা দিয়ে গবর্নিং বডির নির্বাচন আয়োজন করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে তা সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া হলেও তা করা হয়নি। এ কারণে দুই হাজার ১০০ অভিভাবক ডাবল ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়েছেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনী। তারা জানিয়েছেন, কলেজ থেকে সকল ভোটারের সঙ্গে যোগাযোগ না করায় অনেকে ভোটার স্লিপ পাননি। অনেকে আবার ভোটার স্লিপ না আনায় তাদের ভোট প্রদানের সুযোগ দেয়া হয়নি। অথচ তাদের নামে ভুয়া ভোট দেয়া হয়েছে। একজন প্রার্থীর কাছে এমন একাধিক ভুয়া স্লিপ পাওয়া গেছে। এসব বিষয়ে প্রশাসনের সুস্পষ্ট জবাব চাইলে তারা দিতে পারেনি। অভিযোগকারীরা লিখিতভাবে কলেজ অধ্যক্ষকে অভিযোগ জানিয়েছেন। এছাড়া নির্বাচন বাতিল দাবিতে তারা মামলাও করবেন বলেও জানা গেছে। তবে এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফওজিয়া। তিনি বলেছেন, নির্বাচনে পরাজয় হলে তারা বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের কথা বলে তা বাতিল করার দাবি জানান। এসব অভিযোগের কোন প্রমাণ নেই। অহেতুক নির্বাচন বিতর্কিত করতে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। কোন প্রার্থী ডাবল ভোট দেননি। যেগুলো ডাবল হয়েছিল তা সংশোধন করা হয়েছে। আমরা একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার চেষ্টা করে তা সফল হয়েছি। সকলকে নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে আহ্বান জানান তিনি।
×