ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্মিথদের ঘরে ফেরার আনন্দ

প্রকাশিত: ০৯:২৩, ২৭ অক্টোবর ২০১৯

 স্মিথদের ঘরে ফেরার আনন্দ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ্যাডিলেড ওভালে প্রথম টি২০ দিয়ে আজ শুরু হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কা দ্বৈরথ। আগামী বছর ঘরের মাটিতে টি২০ বিশ্বকাপ সামনে রেখে দল গুছিয়ে নিতে চায় স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। এ্যারন ফিঞ্চের নেতৃত্বে একঝাঁক প্রতিভাবান ক্রিকেটার নিয়ে গড়া অসিশিবির। অন্যদিকে দ্বিতীয় সারির দল নিয়েও সদ্য টি২০’র এক নম্বর দল পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে বিধ্বস্ত করে আসা শ্রীলঙ্কাও আত্মবিশ্বাসী। সফরকারীদের নেতৃত্বে আছেন তুখোড় লাসিথ মালিঙ্গা। তবে সবকিছু ছাপিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে আলোচনায় স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। বিশ্বকাপে ওয়ানডেতে এবং এ্যাশেজে টেস্টে ফিরলেও বহুল আলোচিত সেই বল টেম্পারিংয়ের পর এই সিরিজ দিয়ে ফের ঘরের মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছেন তুখোড় দুই তারকা। একইসঙ্গে তিন বছরেরও বেশি সময় পর টি২০ খেলার অপেক্ষায় অধীর সাবেক অধিনায়ক স্মিথ যেন একটু বেশিই রোমাঞ্চিত। খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে নয়টায়। জন্মভূমি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দর্শকদের সামনে মাঠে নামতে মুখিয়ে আছেন স্মিথ, ‘অনেকদিন হয়ে গেছে। টি২০তে আমার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছিল ২০১৬ বিশ্বকাপে, ভারতের বিপক্ষে, যে ম্যাচটা বিরাট কোহলি আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল। এ্যাডিলেডে মাঠে নামা এবং অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আবারও টি২০ খেলাটা চমৎকার একটা ব্যাপার হবে....আমি বেশ নির্ভার, বেশ অনেকগুলো বল খেলেছি এবং সত্যিই ভাল অনুভব করছি। এ নিয়ে রোমাঞ্চিত এবং আশাকরি একটা সফল গ্রীষ্মকালীন মৌসুম কাটাতে পারব।’ শ্রীলঙ্কার পর পাকিস্তানের সঙ্গেও সমান তিন ম্যাচের টি২০ খেলবে এ্যারন ফিঞ্চের দল। অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া ২০২০ টি২০ বিশ্বকাপ সামনে রেখে দলের সামনে এটা আদর্শ প্রস্তুতির মঞ্চ বলে মনে করেন স্মিথ, ‘টানা ছয়টা টি২০ খেলব আমরা, বিশ্বকাপের আগে খেলব প্রায় বিশটার মতো ম্যাচ, যেটা আমি মনে করি, খুব ভাল। খেলোয়াড়দের এক সঙ্গে কাজ করার এবং একতাবদ্ধ হওয়ার জন্য দারুণ সুযোগ।’ গত বছর মার্চে অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিংয়ে জড়িয়ে পড়েন সে সময়ের অধিনায়ক স্মিথ ও সহ-অধিনায়ক ওয়ার্নার। এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বিপিএল আইপিএল এবং বিশ্বকাপেও ওয়ার্নার ছিলেন দুর্বার। কিন্তু এ্যাশেজে (টেস্ট) হতাশ করেন ৩২ বছর বয়সী বাঁহাতি ওপেনার। এ্যাশেজের ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে বাঁহাতি এই ওপেনার তাকাচ্ছেন সামনে, ‘আমি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে এবং নিজের সেরাটা দিতে পছন্দ করি। অবশ্যই ইংল্যান্ড (এ্যাশেজ সিরিজ) এখন অতীত। এখানে মাঠে নামা এবং যত বেশি সম্ভব রান করতে পারাটাই আমার মূল লক্ষ্য। নেতিবাচক ভাবনা যে কারও মনের জন্যই বেশ খারাপ একটা প্রভাবক। তাই আপনাকে সবসময় ইতিবাচক থাকতে হবে এবং সমালোচনায় প্রভাবিত হওয়া যাবে না।’ আর দল হিসেবে বিশ্বকাপ মাথায় রেখে টি২০ সিরিজ শুরু করছে অস্ট্রেলিয়া। টেস্ট ও ওয়ানডেতে দুর্দান্ত দলটির টি২০ ইতিহাস ভাল নয়। ২০১০ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জেতা হয়নি। অন্যদিকে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে শ্রীলঙ্কার শীর্ষ দশ ক্রিকেটার পাকিস্তানে যায়নি। তাই এই সিরিজ দিয়ে আবারও জাতীয় দলের জার্সিতে খেলতে যাচ্ছেন লাসিথ মালিঙ্গা, কুশল পেরেরা, নিরোশান দিকওয়েলাসহ আরও অনেকে। নেতৃত্বে ফিরছেন মালিঙ্গা। তাই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজটি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন তিনিও, ‘যদি আমরা এই সিরিজে ভাল পারফর্মেন্স করতে পারি, তবে আগামী বিশ্বকাপের প্রস্তুতি অনেকাংশেই সম্পন্ন হবে। আবার খেলোয়াড়রা যদি ভাল করতে পারে, তবে আগামী বিশ্বকাপের দলে তাদের সুযোগের ভাল সম্ভাবনা থাকবে। আইসিসি টি২০ র‌্যাঙ্কিংয়ে অস্ট্রেলিয়া পঞ্চম ও শ্রীলঙ্কা সপ্তম স্থানে। ২০০৭ থেকে এ পর্যন্ত মুখোমুখি ১৩ দেখায় ৮ জয়ে এগিয়ে লঙ্কানরা, অসিদের জয় ৫টিতে।
×