ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

১৯ বছরেও এমপিও না হওয়ায় হতাশ শিক্ষক-কর্মচারীরা

প্রকাশিত: ০৮:৫৬, ২৭ অক্টোবর ২০১৯

 ১৯ বছরেও এমপিও না  হওয়ায় হতাশ শিক্ষক-কর্মচারীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর, ২৬ অক্টোবর ॥ ১৯ বছর ধরে বিনা বেতনে শিক্ষার্র্থীদের পাঠদান করে আসছেন গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের আলীপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা। সর্বশেষ এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকায় নিজেদের মাদ্রাসার নাম না দেখবেন এমনটাই আশা ছিল এই বিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মচারীগণের। কিন্তু সর্বশেষ তালিকায় মাদ্রাসার নাম না থাকায় এখন হতাশ তারা। পাঠদানে হারিয়েছেন আগ্রহ। জেলার বিভিন্ন উপজেলার বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়নি। ওপর মহলের অনেক আশ্বাস থাকা সত্ত্বেও এমপিওভুক্তির তালিকায় স্থান পায়নি সেসব প্রতিষ্ঠান। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন যাবত আলীপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীগণ বিনা বেতনে সকল নীতিমালা অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে আসছে এবং প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবছরই সন্তোষজনক ফল করে আসছে। এই প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীরা এখন হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন বলে জানান তিনি। জানা যায়, ১৯৬৭ সালে উপজেলা সদর হতে ২৪ কি.মি. পশ্চিমে আহম্মেদপুর-বড়াইগ্রাম সড়ক সংলগ্ন আলীপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় এ বিদ্যালয়টি। তৎকালীন সময়ের মরহুম আলহাজ আব্দুল কাদের মুন্সি ও তার ছোট ভাই মরহুম ইব্রাহীম আধাম এলাকার অবহেলিত মানুষদের শিক্ষার কথা চিন্তা করে সমাজকে সুশিক্ষিত করে দেশের উন্নয়নে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে নিজেদের এক একর জমির ওপর মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করে। প্রতিষ্ঠার কিছুদিনের মধ্যেই এবতেদায়ী হওয়ার পর ওয়ান থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান শুরু হয়। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলতে চলতে ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে স্থানীয় এমপি অধ্যাপক মোঃ আব্দুল কুদ্দুসের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম পুনরায় চালু হয়। বর্তমানে ওই মাদ্রাসায় সরকারী বিধি মোতাবেক ১৭ শিক্ষক-শিক্ষিকা ২৭০ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করছেন। পাশাপাশি প্রতিবছর মাদ্রাসাটির ফল সন্তোষজনক। আলীপুর দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সুপার মোঃ আশরাফুল আলম জানান, দীর্ঘ ১৯ বছর যাবত ১৭ শিক্ষক-শিক্ষিকা বিনা বেতনে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে আসছে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের আশা ছিল সর্বশেষ এমপিওভুক্তি প্রতিষ্ঠানের তালিকায় এই মাদ্রাসাটির নাম থাকবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় অদূর ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে কিনা, সে বিষয়ে আশঙ্কার কথা জানান তিনি।
×