ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ‘মাইক পেন্স মিথ্যাবাদী’ ॥ চীন

প্রকাশিত: ০৮:৪২, ২৭ অক্টোবর ২০১৯

 মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ‘মাইক পেন্স  মিথ্যাবাদী’ ॥ চীন

চীনের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের প্রতি এক কঠোর তিরস্কার ছুড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মাইক পেন্স একজন মিথ্যাবাদী। বেজিং আমেরিকান ব্যবসায়ীদের মত প্রকাশে বাধা দিচ্ছে এবং হংকংয়ে বিক্ষোভকারীদের অধিকারে প্রতিবন্ধক সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করার পর মাইক পেন্সের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনলেন চীনের কর্মকর্তা। সিএনবিসি। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বেজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তার মন্তব্য ঔদ্ধত্য। সংস্কারাচ্ছন্ন, মারাত্মক পক্ষপাতদুষ্ট ও মিথ্যায় পূর্ণ। তিনি বলেন, চীনের সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত করার এ চেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও সম্পদ অসাম্যের মতো সমস্যাগুলো থেকে মনোযোগ ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার একটি উদ্যোগ। পেন্স বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে উইলসন সেন্টারে চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, দেশটি হংকংয়ে কোম্পানি, থিঙ্ক ট্যাংকগুলোকে ও বিদ্বজ্জন, সরকারী কর্মকর্তাদের বাকরুদ্ধ করার মধ্য দিয়ে কর্পোরেট আমেরিকাকে দমনের চেষ্টা করছে। তিনি বিশেষ করে নাইক কোম্পানির উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এক ন্যাশনাল বাস্কেটবল এ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল ম্যানেজার টুইটিংয়ে হংকং বিক্ষোভকারীদের প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করার পর চীন সরকার পণ্যগুলো উঠিয়ে নেয়। তিনি বলেন, এনবিও চীনের ওপর আলোচনার জন্য এবং কর্তৃত্ববাদী প্রশাসনের সহায়ক হিসেবে কাজ করার জন্য উদ্যোগ নেয়ার সময় এর খেলোয়াড়ও মালিকরাও তাদের বাক স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেন। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধের চরম পর্যায়ের সময় এ বিরোধ শুরু হয়। ট্রাম্প আশাবাদী যে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছা সম্ভব হলে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধের একটি সমাধান হবে। পেন্স বৃহস্পতিবার বলেছেন, চীন হংকংয়ে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা অব্যাহত রাখলে দেশটির সঙ্গে কোন চুক্তিতে পৌঁছা কষ্টকর হবে। পেন্স কমিউনিস্ট পার্টির শাসনের প্রতি আক্রমণ অব্যাহত রেখে বলেন, চীন জাতিগত সংখ্যালঘুদের লক্ষ্য করে ধর্মের ওপর দমননীতি চালিয়ে যাচ্ছে এবং একটি নজরদারি রাষ্ট্র হিসেবে এর অস্তিত্ব বজায় রেখেছে। হুয়া বলেন, আমেরিকানদের তাদের নিজস্ব সমস্যা নিরূপণের জন্য দর্পণে তাদের নিজেদের চেহারা দেখা উচিত এবং অন্য দেশের বিষয়ে অভিযোগ তোলার আগে তাদের দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা উচিত। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু করে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো থেকে প্রত্যাহার পর্যন্ত যেভাবে তৎপর রয়েছে তাতে করে বোঝা যায় যে, দেশটি এর মধ্যেই এর নৈতিকতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে।
×