ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইরাকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ, একদিনে নিহত ৪০

প্রকাশিত: ০৮:৪২, ২৭ অক্টোবর ২০১৯

 ইরাকে সরকারবিরোধী  বিক্ষোভ, একদিনে  নিহত ৪০

ইরাকের রাজধানী বাগদাদে ফের নতুন করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। শুধু বাগদাদ নয় দেশের অন্যান্য শহরেও এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় একদিনে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অন্তত ৪০-এ। বিদেশী সূত্রে ৪০ জন নিহতের কথা বললেও দেশটির সরকারী সূত্র তা ৩০ বলে জানিয়েছে। গার্ডিয়ান। ব্যাপক দুর্নীতি, গণহারে বেকারত্ব এবং নাগরিক সেবা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে দেশটির মানুষ বিশেষ করে তরুণরা রাজপথে প্রথম দফায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করে। তারা এসব সমস্যার সমাধান চায়। কিন্তু সরকারী নিরাপত্তা বাহিনীর বিক্ষোভ, দমনাভিযানে দেড় শতাধিক মানুষ নিহত হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক প্রতিরোধে শত শত মানুষ নিহত হওয়ার পর বিক্ষোভ কিছুদিনের জন্য স্থগিত করার ঘোষণা আসে। তবে এও জানানো হয়, বিক্ষোভ ফের শুরু হবে। তারই প্রেক্ষিতে শুক্রবার বাগদাদের গ্রিন জোন থেকে বিক্ষোভ ফের শুরু হলে তা এখন গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভ শুরু হওয়া মাত্রই পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে রবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। ইরাকী অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এই বিক্ষোভে বাগদাদসহ দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ বসরা, মায়াসান, দিকার এবং মুসান্নায় ৩০ জন নিহত হয়েছে। ইরাকের মানবাধিকার কমিশনার ও একজন পর্যবেক্ষক শুক্রবার শুরু হওয়া দ্বিতীয় দফার এই বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহতের সংখ্যা ৩০ বলে জানিয়েছে। শুক্রবারের বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দুই হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল থেকে মধ্য বাগদাদের তাহরীর স্কোয়ারে জমায়েতে হতে শুরু করেন শত শত মানুষ। কংক্রিটের দেয়াল ঠেলে তাদের কেউ কেউ গ্রীন জোনে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। ওই অংশে ইরাকের পার্লামেন্ট এবং মার্কিন দূতাবাসসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশের দূতাবাস রয়েছে। ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের কিছুদিন পরে তৈরি হয়েছিল এই গ্রীন জোন। অনেকে একে শহরের মধ্যে আর একটা শহর হিসেবে দেখেন, যেখানকার বাসিন্দারা বাগদাদের অন্য যেকোন অংশের তুলনায় অনেক বেশি সুরক্ষা ও সুযোগ-সুবিধা পান।
×