ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইয়ং এলিফ্যান্টের জ্বলজ্বলে জয়

প্রকাশিত: ১১:৪৮, ২৬ অক্টোবর ২০১৯

  ইয়ং এলিফ্যান্টের জ্বলজ্বলে জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে ॥ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রদের নিয়ে গড়া দল নিয়ে চমক দেখাল লাওসের ইয়ং এলিফ্যান্ট। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবলে ‘এ’ গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে খেলা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে তারা। শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত নিজেদের শেষ গ্রুপ ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ক্লাবকে ২-১ গোলে হারিয়েছে এলিফ্যান্ট। দলটির জয়ে জোড়া গোল করেন অধিনায়ক বোনপাচান বোনকং। টিসির হয়ে সান্ত¡নার একটি গোল করেন ডিফেন্ডার মোহাম্মেদ সামির। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নরা গ্রুপের তিনটি ম্যাচেই হেরে কোন পয়েন্ট না পেয়ে দেশের বিমান ধরছে। সেমিতে খেলতে হলে জয়ের বিকল্প নেই। এমন সমীকরণে শুরু থেকেই টিসির দুর্গে চড়াও হয়ে একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে ইয়ং এলিফ্যান্ট। গোল পেতেও বিলম্ব হয়নি। ১৮ মিনিটে সংঘবদ্ধ আক্রমণে ডি বক্সের ভেতর থেকে প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন এলিফ্যান্ট অধিনায়ক বোনপাচান বোনকং (১-০)। ৩২ মিনিটে অল্পের জন্য গোল পায়নি ইয়াংয়ের তরুণরা। দারুণ সম্মিলিত আক্রমণে আফিজাই থানাকান্টি পাস দেন মিডফিল্ডার সমলিথকে। তার আলতো টোকায় সামনে বাড়ানো বলে ডি বক্সের ভেতর থেকে প্লেসিং শট নেন প্রথম গোলদাতা বোনপাচান। কিন্তু তার প্রচেষ্টা দ্বিতীয় পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। ৪২ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিল এলিফ্যান্ট। এ সময় আনুমানিক ৩৫ গজ দূর থেকে ডিফেন্ডার আফিজাইয়ের বুলেটগতির ফ্রিকিক টিসি গোলরক্ষক অসাধারণ দক্ষতায় ফিস্ট করে কর্নারের বিনিময়ে প্রতিহত করেন। এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় কোচ সালভারাজের দল। বিরতির পর ৪৭ মিনিটে গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডারের নৈপুণ্যে রক্ষা পায় এলিফ্যান্ট। নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে একক প্রচেষ্টায় ইয়ংয়ের সীমানায় ঢুকে পড়েন টিসির ফরোয়ার্ড ইব্রাহিম সাফরাজ। তার শট প্রথমে রুখে দেন গোলরক্ষক। ফিরতি বলে টিসির বিমল ঘারটিমাগারের হেড গোলে প্রবেশের মুহূর্তে হেড করে ফিরিয়ে দেন এলিফ্যান্টের ডিফেন্ডার। দুই মিনিট পর পাল্টা আক্রমণে সমজে কিওহানামের পাস থেকে ইয়ং অধিনায়কের নেয়া শট সাইডপোস্ট ঘেঁষে বাইরে যায়। তবে ৫৯ মিনিটে আর হতাশ হতে হয়নি বোনপাচান বোনকংকে। প্রায় একইরকম প্রচেষ্টায় ডি বক্সের মাথা থেকে কোনাকুনি শটে দর্শনীয় গোল করেন (২-০)। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে গোল করে ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় টিসি। মাঝ মাঠ থেকে একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে এগিয়ে যান বদলি ফরোয়ার্ড ইসমাইল ইসা। এরপর বাড়িয়ে দেন বামপ্রান্তে। চলতি বলে বাঁ পায়ের জোরালো শটে ইয়ংয়ের জাল কাঁপান ডিফেন্ডার মোহাম্মেদ সামির (২-১)। পরের মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হয় টিসির। এবারও ইসমাইলের বাড়ানো বলে সামিরের শট সাইডপোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি আক্রমণে ইয়ং অধিনায়ক হ্যাটট্রিক প্রায় করেই ফেলেছিলেন। তার শট সাইডপোস্টের পাশ দিয়ে বাইরে যায়। ৮৬ মিনিটে আবারও হতাশ হতে হয় বোনপাচানকে। এবারও তার শট দ্বিতীয় পোস্ট ঘেঁষে গোললাইন পেরিয়ে যায়। ব্যবধান আর বাড়াতে না পারলেও শেষ পর্যন্ত স্বস্তির জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে এলিফ্যান্ট।
×