ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

লি টাককে নিষ্ক্রিয় করার ছক কিংসদের

প্রকাশিত: ১১:৪৮, ২৬ অক্টোবর ২০১৯

 লি টাককে নিষ্ক্রিয় করার ছক কিংসদের

স্পোর্টস রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে ॥ টেরেঙ্গানু এফসির বিরুদ্ধে আজ ‘মরো নয়তো বাঁচো’ ম্যাচে মাঠে নামছে বসুন্ধরা কিংস। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবলে এই ম্যাচের ফলাফলের ওপরই নির্ভর করছে ‘বি’ গ্রুপের দলগুলোর ভাগ্য। কঠিন এই পরীক্ষায় মাঠে নামার আগে কোচ অস্কার ব্রুজেনকে হারিয়ে বেশ খানিকটা বিপদে পড়েছে কিংসরা। তাই বলে পরিকল্পনা থেমে নেই। কিভাবে মালয়েশিয়ান ক্লাবটিকে হারিয়ে সেমিফাইনালে যাওয়া যায় সেটা নিয়েই ছক কষছেন দলটির সহকারী কোচ মাহবুব হোসেন রক্সি। টেরেঙ্গানুর সবচেয়ে বড় অস্ত্র অধিনায়ক লি টাক। ব্রিটিশ এই মিডফিল্ডার ২০১৫-১৬ মৌসুমে ঢাকা আবাহনীর হয়ে চোখ ধাঁধানো পারফর্মেন্স প্রদর্শন করেন। এক মৌসুম খেলেই চলে যাওয়া লি এবার টেরেঙ্গানুর হয়ে খেলছেন শেখ কামাল কাপে। আজকের ম্যাচের মধ্য দিয়ে আবারও বাংলাদেশী কোন ক্লাবের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে যাচ্ছেন। টুর্নামেন্টের শুরুতে তাকে নিয়ে হৈচৈ হলেও দলের দুই ম্যাচে তেমন কিছুই করতে পারেননি। তবে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জ্বলে ওঠার ক্ষমতা আছে লি টাকের। এ কারণেই তাকে নিয়ে বেশ সতর্ক বসুন্ধরা কিংস। দলটির সহকারী কোচ মাহবুব হোসেন রক্সি শুক্রবার চট্টগ্রামের বন্দর মাঠে বলেন, ‘ওরা ভাল দল, ভাল খেলে। মালয়েশিয়ান ফুটবলে শীর্ষের দিকেই আছে। আমরা লি টাককে দেখেছি। দলের মূল খেলোয়াড়। আমাদের এখানেও খেলে গেছে। ওর গত দুই ম্যাচের খেলা আমরা দেখেছি। ওকে কিভাবে রুখতে হবে সেই পরিকল্পনা আমাদের করা আছে’। ম্যাচের পকিল্পনা নিয়ে জাতীয় দলের সাবেক এই ফুটলার বলেন, ‘জয় ছাড়া আর কোন পথ নেই। জেতার জন্য যা যা করার সবকিছুই করব।’ প্রথম ম্যাচের চেয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে খেলার স্টাইলে বদল ছিল বসুন্ধরার। তৃতীয় ম্যাচে আবারও নতুন কোন পরিকল্পনা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রতিপক্ষ চিন্তা করেই আসলে পরিকল্পনা করা হয়। তবে হ্যাঁ, কিছুটা তো অদলবদলের ব্যাপার আছে। আমরা তিন ম্যাচে হয়তো তিন চারজন খেলোয়াড়কে খেলাচ্ছি। আমাদের দলে জাতীয় দলের ফুটবলার বেশি। তাদের সঙ্গে আমাদের বসুন্ধরার খেলার একটা কম্বিশেন দরকার।’ এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কোচকে না পাওয়া প্রসঙ্গে রক্সি বলেন, ‘কোচ যা করছেন টিমের জন্যই করছেন। টিমের রেজাল্টাই কোচের রেজাল্ট। টিম খারাপ করলে দায়টা কোচের ওপরই আসে। ওই ম্যাচে (চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে) যা ঘটেছে তা এ রকম। আমাদের মূল খেলোয়াড়কে বারবার পেছন থেকে ট্যাকল করা হচ্ছিল। ওরা চাচ্ছিল আমাদের প্রধান খেলোয়াড়দের ট্যাকল করে ওদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে। সেটাই ওরা চাচ্ছিল বারবার। এই বিষয়গুলো কোচের সামনেই হয়েছে। যে কারণে কোচ রেফারিকে ডেকে প্রতিবাদ করেছেন। তাকে বলেছেন তুমি কার্ড দেখাচ্ছ না কেন। ওকে বারবার মারছে লালকার্ড দেখাচ্ছ না কেন। এটা বলার পর উল্টো কোচকেই লালকার্ড দেখিয়েছে।’ টেরেঙ্গানু এ্যাটাকিং ফুটবল খেলে। বসুন্ধরাও তাই। ম্যাচটি তাই জমজমাট হতে পারে। এ প্রসঙ্গে বসুন্ধরার জাতীয় দলের মিডফিল্ডার রবিউল হাসান বলেন, ‘আসলে আবার না জানি প্লাসে প্লাসে মাইনাস না হয়ে যায়। আমরা এ্যাটাকিং পছন্দ করি। ফর্মেশনটাও এ্যাটাকিং। অস্কার ব্রুজেন এভাবেই খেলাতে চায় দলটাকে। শুরুতে আমাদের একটু সমস্যা হচ্ছিল কম্বিনেশন দাঁড় করাতে। আশা করছি এই ম্যাচে (আজ) আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’ কম্বিনেশনে চেঞ্জ আসবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তা তো কোচের ব্যাপার। উনি যা ভাল বুঝবেন তাই করবেন। উনি ভুল করলেও রাইট। মেনে নিতে হবে। প্রথম ম্যাচের একাদশে আমরা যারা খেলেছি, কোচের চাওয়া পূরণ করতে পারিনি বলেই তো বদল করতে হয়েছে। কোচ এতগুলো খেলোয়াড় নিয়েছেন। আরও ১১ জন বাড়তি খেলোয়াড় আছেন। বসুন্ধরায় যারা আছেন তারা সবাই খেলার যোগ্যতা রাখেন। কোচ সবাইকেই ঝালিয়ে নিচ্ছেন’।
×