ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার এখন ‘ব্যাড লাক’ পরিস্থিতির মুখে ॥ মওদুদ

প্রকাশিত: ১০:২৬, ২৬ অক্টোবর ২০১৯

 সরকার এখন  ‘ব্যাড লাক’  পরিস্থিতির  মুখে ॥ মওদুদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ২০১৯ সাল বর্তমান সরকারের জন্য ‘ব্যাড লাক’ বছর বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাগপার সাবেক সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা প্রধানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘প্রধান স্মৃতি পরিষদ’ আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলের মুখপাত্র ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খুবই শোচনীয়। মওদুদ বলেন, বর্তমান সরকার সত্যিকার অর্থে সংবিধানসম্মত নির্বাচিত সরকার নয়। গতবছর ২৯ ডিসেম্বর একটা সিভিলিয়ান ক্যু’র মাধ্যমে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে। সে জন্যই ভোটবিহীন সরকার এখন ব্যাড লাক পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। গত ১০ বছরে দেশে যে নির্যাতন, নিপীড়ন, অত্যাচার, দুর্নীতি, দুঃশাসন ও কুশাসন চলেছে তার চূড়ান্ত বহির্প্রকাশ ঘটেছে ২০১৯ সালে। সরকার প্রথম শুরু করল মাদক ও ইয়াবাবিরোধী অভিযান। সেই অভিযানে অনেক মানুষকে ক্রসফায়ারে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে, এখনও হচ্ছে। কিন্তু একজন গডফাদারকেও তারা ধরতে পারেনি। কারণ, এরা সবাই আওয়ামী লীগের লোক। সুতরাং বুঝতে হবে এ অভিযান হচ্ছে আইওয়াশ। মওদুদ বলেন, মাদক ও ইয়াবাবিরোধী অভিযানের পর শুরু হলো ছাত্রলীগ নেতা শোভন ও রাব্বানীর কাহিনী। এরপর শুরু হলো ক্যাসিনো কা-। গত ১০ বছর যুবলীগ ও ছাত্রলীগ দেশের মানুষকে অত্যাচার, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজিতে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। কিন্তু এতদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও সরকার কোন পদক্ষেপ নেয়নি। যে কারণে খালেদ, শামীম ও সম্রাটরা বেপরোয়া হয়ে উঠে। এখন ধরা পড়েছে বলে তাদের নিয়ে আলোচনা। কিন্তু ক্যাসিনো থেকে সরকারের মন্ত্রীরা এবং প্রশাসনের যারা শেয়ার পেতেন, তাদের এমন একটা ভাব যে তারা কিছুই জানতেন না। দুর্নীতি দমন কমিশনকে উদ্দেশ করে মওদুদ বলেন, সরকার তো করবে না, আপনাদের একটু যদি সাহস থাকে তাহলে আপনারা সকল এমপি ও মন্ত্রীদের সম্পদের হিসাব চান। আসল জিনিস তখন বের হয়ে আসবে। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু মোজাফফর মোঃ আনছারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাগপা সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জামালউদ্দিন প্রমুখ। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, প্রতিবাদের দিন শেষ হয়ে গেছে। এখন প্রতিরোধের পালা। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে। কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, আজকে শুদ্ধি অভিযানের নামে যাদের ধরা হয়েছে সেগুলো তো মশা। গ্রামে এখন দেখা যায়, অনেকগুলো টিনের ঘরের মাঝখানে বড় বড় বিল্ডিং তোলা হয়েছে। কাউকে জিজ্ঞেস করলে বলবে এগুলো হয় ছাত্রলীগ, নয় যুবলীগ, নতুবা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়ি।
×