ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়ার্কার্স পার্টি এখনও চৌদ্দ দলে ॥ মেনন

প্রকাশিত: ১০:১০, ২৬ অক্টোবর ২০১৯

ওয়ার্কার্স পার্টি  এখনও চৌদ্দ  দলে ॥ মেনন

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি এখনও চৌদ্দ দলে আছে। আর আছে বলেই চিঠি দিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে এবং সেই চিঠির জবাব দেয়া হবে। শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি এলাকায় সিটি সেন্টারের হলরুমে জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্মেলনের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জাবাবে তিনি এসব কথা বলেন। রাশেদ খান মেনন দাবি করেন, ওয়ার্কার্স পার্টির বরিশাল জেলার সম্মেলনে তার দেয়া যে বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকশিত হয়েছে সেটি ছিল খ-িত বক্তব্য। তার পুরো বক্তব্য প্রচার না করে আংশিক প্রচার করায় বিভ্রান্তি ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে আমার বক্তব্যের সব যদি উঠে আসত তাহলে এই প্রশ্নই উঠত না। চৌদ্দ দলের চিঠি দিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়ার প্রসঙ্গে মেনন বলেন, চৌদ্দ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমার বক্তব্যের ব্যাপারে ব্যাখ্যা চেয়ে যে চিঠি দেয়া হয়েছে আমি তার সন্তোষজনক জবাব দেব। তিনি বলেন, আমি কি জবাব দেব তা ইতোমধ্যে দোহারের সম্মেলনে এবং ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে বলেছি। কোন কথাই গোপন করে চলিনি। চৌদ্দ দলের চিঠির জবাব কিভাবে দেয়া হবে সেটি পার্টির নেতাদের সঙ্গে বসে আলাপ আলোচনা করে দেয়া হবে। এর আগে রাশেদ খান মেনন জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্মেলন উপলক্ষে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। জেলা ওয়ার্কর্স পার্টির সভাপতি হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাঈনুদ্দিন আহমেদ, জেলা ওয়ার্কর্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিমাংসু সাহাসহ অনেকে। উদ্বোধনী বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন বলেন, দেশের দুই শতাংশ মানুষের কাছে দেশের সম্পদ রয়েছে। দেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে এখনও চার কোটি লোক দারিদ্র্য সীমানার নিচে বসবাস করছে। তিনি বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ এগিয়ে যাওয়ার পেছনে চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে দেশের শ্রমজীবী মানুষ ও কৃষক। কিন্তু সেই কৃষক ধানের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত। তিনি বলেন, দেশের খুন রাহাজানি, ধর্ষণ চরম আকার ধারণ করেছে। তার প্রমাণ মিলে মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত হত্যার বিচারের রায়ের মাধ্যমে। মাদ্রাসায় আজ ছাত্রী নিরাপদ নয়। তিনি বলেন, নুসরাত হত্যার পর যদি প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ না করতেন তবে তাকে মিডিয়ার মধ্যমে চরিত্রহীন আখ্যা দিয়ে ধামাচাপা দেয়া হতো। যেমনটি হয়েছে বড়গুনার মিন্নির ওপর। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়েছেন মিন্নি। কিন্তু খারাপ ভিডিও ভাইরাল করে তাকে ওই হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে।
×