ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের অভিযোগ

শরণার্থীদের জোর করে সিরিয়ায় ফেরত পাঠাচ্ছে তুরস্ক

প্রকাশিত: ০৮:৫৫, ২৬ অক্টোবর ২০১৯

 শরণার্থীদের জোর করে সিরিয়ায়  ফেরত পাঠাচ্ছে তুরস্ক

সহিংসতার হুমকি দেয়া অথবা কৌশলে ‘স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়ার’ চুক্তিতে স্বাক্ষরের পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে ফেরত যেতে বাধ্য হচ্ছে তুরস্কে আশ্রয় নেয়া শত শত সিরীয় শরণার্থী। শুক্রবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই অভিযোগ উঠে এসেছে। ওই প্রতিবেদনে তুরস্কের কর্তৃপক্ষ শরণার্থীদের ফিরতে বাধ্য করার অন্তত ২০টি ঘটনা নথিবদ্ধ করা হয়েছে। খবর ইয়াহু নিউজের। সিরিয়ায় আট বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের কারণে দেশটির প্রায় ৩৬ লাখ শরণার্থী তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছে। তুরস্কে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের সাহায্য করতে ২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ৫২০ কোটি ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে আঙ্কারা। তবে এসব শরণার্থী ক্রমেই তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে। সম্প্রতি সিরিয়ায় অভিযান চালানোর আগে এরদোগান জানান সীমান্ত এলাকায় ‘সেফ জোন’ প্রতিষ্ঠা করে ২০ লাখ সিরীয় শরণার্থীর পুনর্বাসন করতে চান তিনি। তুরস্কের কর্মকর্তারা বলছেন, ৩ লাখ ১৫ হাজার সিরীয় শরণার্থী স্বেচ্ছায় সিরিয়ায় চলে গেছে। তবে জোর করে শরণার্থীদের ফেরত পাঠানো অবৈধ। কারণ এতে তারা মানবাধিকার হরণের শিকার হওয়ার সত্যিকার ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন বলছে, তারা জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিরিয়ায় ফেরত যাওয়া শরণার্থীদের সাক্ষাতকার নিয়েছে। এসব সাক্ষাতকারে শরণার্থীরা জানিয়েছে ‘সেফ জোন’ প্রতিষ্ঠার আগেই তুর্কি কর্তৃপক্ষ শরণার্থীদের হাতকড়া পরিয়ে বাসে তুলে সিরিয়ায় ফেরত পাঠিয়েছে।
×