ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কেরানীগঞ্জে থামছে না জুয়া ॥ বাড়ছে পারিবারিক অশান্তি

প্রকাশিত: ০৮:২১, ২৬ অক্টোবর ২০১৯

 কেরানীগঞ্জে থামছে না জুয়া ॥ বাড়ছে পারিবারিক অশান্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ, ২৫ অক্টোবর ॥ জুয়া ছোট শব্দ হলেও মানুষকে নিঃস্ব করার অসীম ক্ষমতা রয়েছে। কেরানীগঞ্জে প্রতিনিয়ত বসছে জুয়ার আসর। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চলছে জুয়ার রমরমা বাণিজ্য। জুয়া খেলায় আসক্ত হয়ে প্রতিনিয়ত পারিবারিক অশান্তিসহ সামাজিক সমস্যা বাড়ছে। কেরানীগঞ্জে ভুক্তভোগীরা সর্বস্বান্ত হলেও জুয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে আয়োজক চক্র। কেরানীগঞ্জ উপজেলায় প্রায় সব ক’টি ইউনিয়নে দেখা যায় বিকেল বা রাত হলেই বিভিন্ন স্থানে বসছে লাখ লাখ টাকার জুয়ার আসর। দেশজুড়ে ক্যাসিনো ও শুদ্ধি অভিযান চললেও থেমে নেই কেরানীগঞ্জের জুয়ার আসর। তাসের মাধ্যমে ওয়ান-টেন, ওয়ান-এইট, তিন তাস, নয় তাস, হাজারী, কাটা-কাটি, বন্ড প্লাস, ডায়েস, রামিসহ নানা নামে চলছে জুয়া। এছাড়া ক্রিকেট, কেরাম বোর্ড এমনকি মোবাইল এ্যাপসের মাধ্যমেও চলে জুয়া। কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় চায়ের দোকান থেকে শুরু করে ক্লাব, হোটেল, বাসা-বাড়িসহ টং দোকান ও মুদি দোকানে চলছে এসব জুয়ার আসর। ক্রিকেট খেলায় জুয়ার জন্য সক্রিয় রয়েছে একশ্রেণীর মধ্যস্থকারী দালাল। যারা বিভিন্ন লোকের সঙ্গে বাজি ধরিয়ে দেয় এবং হার-জিতকে কেন্দ্র করে টাকা আদান-প্রদান করে। জুয়া খেলার জন্য স্থান তৈরি করে দিচ্ছে কিছু অর্থ লোভী মানুষ। ঘণ্টা অনুযায়ী ও জুয়া খেলার টাকার পরিমাণের উপর পারসেন্টটিস হিসাবে জুয়াড়িদের কাছ থেকে আয়োজরা টাকা আদায় করে। আর এর বিনিময়ে জুয়া খেলার জন্য বিকাশ, নগদ টাকা ধার, বন্ধক, মোবাইল, ঘড়ি, স্বর্ণ, মাদকসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে আয়োজকরা। এতে করে সর্বস্বান্ত হচ্ছে আসক্তরা আর লাভবান হচ্ছে আয়োজকরা। জানা যায়, জুয়ার বোর্ডে ২০ হাজার টাকার পণ্য ২ হাজার টাকায় পাওয়া যায়। অভিযোগ পাওয়া গেছে, ম্যানেজ পন্থা অবলম্বন করে ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে দিনের পর দিন চলছে এসব অপকর্ম। আইন অনুযায়ী জুয়া দ-নীয় অপরাধ। সম্প্রতি র‌্যাবের একটি বিশেষ অভিযানে আগানগর এলাকা থেকে ৮ জুয়াড়িকে জুয়া খেলার সময় আটক হয়।
×