ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘ইউথ বাংলা কালচারাল ফোরাম’ গঠিত

প্রকাশিত: ০৮:০৭, ২৬ অক্টোবর ২০১৯

 ‘ইউথ বাংলা কালচারাল ফোরাম’ গঠিত

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ বিশুদ্ধ সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছিল অনেকদিন ধরেই। সেই শূন্যস্থান পূরণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্নকে মাথায় রেখে বাংলা সংস্কৃতি চর্চাকে সর্বস্তরে ও বিশ্বের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে দিতে সম্প্রতি বাংলাদেশে তরুণদের নিয়ে গঠিত হয়েছে ‘ইউথ বাংলা কালচারাল ফোরাম’। এটি একটি অলাভজনক সংগঠন, যা দেশে ও প্রবাসে বাঙালী এবং বাংলাদেশের নানা সাংস্কৃতিক পার্বণ ও অনুষ্ঠান উদযাপনের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনটি ইতোমধ্যে এর সদস্য ও পরামর্শদাতা হিসেবে দেশে ও বিদেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী শিল্পী সদস্যদের স্বাগত জানিয়েছেন। সংগঠনের লোগো উন্মোচন করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক এডভাইজরি প্যানেলের বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশ অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ। এই সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে প্রসারিত করার লক্ষ্যে ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফোরামের একটি শাখা সংযুক্ত আরব আমিরাতেও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দুবাইয়ের নারী উদ্যোক্তা ও সমাজসেবক কাজী গুলশান আরার (অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী) আহ্বানে ও নেতৃত্বে আরব আমিরাতে বসবাসকারী বিশিষ্ট বাংলাদেশী নাগরিক যারা সাংস্কৃতিক কর্মকা-ের সঙ্গে দীর্ঘদিন জড়িত তাদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে। আমিরাতে প্রবাসী প্রবীণ রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী ইয়াসমিন কালাম এবং শেখ ফরিদ আহমেদ (সিআইপি) উপদেষ্টা হিসেবে এই সংগঠনের দায়িত্ব নিয়েছেন। আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের অংশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থিত কমিটির সদস্যরা গত ১৮ অক্টোবর আজমান প্যালেস হোটেলে একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মিসেস আলমা আকবরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সংগঠনের কর্মীদের সামর্থ্যরে আভাস হিসেবে এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করার প্রয়াসে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি জীবনানন্দের কবিতা ও সাহিত্য নিয়ে ‘বনলতার জীবনানন্দ’ শিরোনামে একটি ব্যঞ্জনামূলক আলেখ্যা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । এই সৃজনশীল আয়োজনে বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট কবি জীবনানন্দ দাশের শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবে আবৃত্তি, গান এবং নৃত্যের অনবদ্য উপস্থাপনা ছিল।
×