ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হাসিনা মোদি ও মমতার আলোচনায় উঠতে পারে তিস্তা প্রসঙ্গ

প্রকাশিত: ১১:১২, ২৫ অক্টোবর ২০১৯

হাসিনা মোদি ও মমতার  আলোচনায় উঠতে পারে তিস্তা প্রসঙ্গ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ক্রিকেট কূটনীতি। আগামী মাসে ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট উপলক্ষে সৌরভ গাঙ্গুলীর আমন্ত্রণে কলকাতায় যাওয়ার কথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। আসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। কূটনৈতিক সূত্র জানায়, টেস্ট দেখা উপলক্ষে শেখ হাসিনা, নরেন্দ্র মোদি ও মমতা ব্যানার্জীর আলোচনায় আসতে পারে তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়, সীমান্তের নিরাপত্তা বজায় রাখার মতো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বিষয়। খবর আনন্দবাজারের। হাসিনা ও মোদি ফের ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গত এক মাসে দুবার সাক্ষাত হয়েছে তাদের মধ্যে। প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন চলাকালে, আর দ্বিতীয়বার চলতি মাসের গোড়ায় হাসিনার ভারত সফরে। দ্বিতীয় বৈঠকটির পরে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, তিস্তা পানিচুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ভারত নীতিগতভাবে সম্মত। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট অন্য অংশীদারদের সঙ্গে কথা বলবে কেন্দ্র। তিস্তা ছাড়াও দু’দেশের মধ্যে বয়ে যাওয়া আরও সাতটি নদী সম্পর্কে তথ্য যৌথ নদী কমিশনের কাছে দেয়ার কথা দু’দেশেরই। শীঘ্রই ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক হবে বলেও ঐকমত্য হয়েছে। সূত্র জানায়, মোদির সামনে শেখ হাসিনা ফের মমতা ব্যানার্জীকে তিস্তাচুক্তির বিষয়ে অনুরোধ করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক ভারত সফরের ঠিক আগে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গকে ৫০০ টন ইলিশ পাঠানোর অনুমতি দিয়েছিলেন। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সৌজন্যবার্তা কৌশলগতভাবেই দেন হাসিনা। তিস্তা চুক্তির বাস্তবায়ন ঝুলে থাকাও দেশের রাজনীতিতে তার জন্য অস্বস্তিকর বলে দাবি করে সূত্র। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির কাকমারি চরের কাছে বিজিবির গুলিতে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের এক সদস্য নিহত হয়েছে। এ নিয়ে যাতে উত্তেজনা না ছড়ায় সে কারণে ঢাকা ও নয়াদিল্লী কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে কোন মন্তব্য করেনি। সূত্র জানায়, এনআরসি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঢাকাকে যতই আশ্বস্ত করা হোক না কেন, দেশটির রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশে এই উদ্বেগ ভারতবিরোধী আবেগে পরিণত হচ্ছে।
×