ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম ও এসপি জাহাঙ্গীরের কী হবে?

প্রকাশিত: ১১:০৪, ২৫ অক্টোবর ২০১৯

সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম ও এসপি জাহাঙ্গীরের কী হবে?

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বহুল আলোচিত ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন এখন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী জীবন কাটাচ্ছেন, জামিনের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন। আর আরেক আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা ফেনীর সাবেক পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার পুলিশ সদর দফতরে চাকরি করছেন। ঘটনার পর থেকে এই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে নিয়ে নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ ছিল। পরে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের তদন্ত প্রতিবেদনেও সেটি উঠে আসে। নুসরাতকে কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার ১৬ জনকে মৃত্যুদ- দেন আদালত। এই দুই পুলিশ কর্মকর্তার কি হবে? এ নিয়ে জনমনে প্রশ্নে উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, গত ৬ এপ্রিল পরীক্ষা দিতে গেলে নুসরাতকে কৌশলে একটি ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়া হয়। ৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাতের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে। এ হত্যার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত শেষে পুলিশ সদর দফতরের তদন্ত দল ফেনীর পুলিশ সুপার ও সোনাগাজী থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনসহ চার পুলিশ কর্মকর্তার গাফিলতির প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছিল। পরে গত ১৫ এপ্রিল এ ঘটনায় ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। এই মামলার পর ওসি মোয়াজ্জেম ২০ দিন পালিয়ে থাকার পর ১৬ জুন হাইকোর্ট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে শাহবাগ থানা পুলিশ। এদিকে বৃহস্পতিবার নুসরাত হত্যা মামলার রায়ের পর ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার কথা উঠে আসে। নুসরাতকে হত্যার ঘটনায় ১৬ জনকে মৃত্যুদ- দেয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, নুসরাতকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ভিডিওতে ধারণ এবং তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাতেও সর্বোচ্চ শাস্তি আশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত সাক্ষীরা যা সাক্ষ্য দিয়েছেন তার বিবেচনায় দেখা যায়, রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। মামলায় এ পর্যন্ত ৮ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য বাকি আছে। তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলে মামলাটি শেষ পর্যায়ে চলে আসবে। নজরুল ইসলাম জানান, নুসরাতের ভিডিও ওসি মোয়াজ্জেমের নিজের মোবাইলে ধারণ করে ট্রান্সফারের বিষয়টা ‘এ্যাডমিটেড ফ্যাক্টস’। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ জানান, নুসরাতের ভিডিও ধারণ করেন আসামি মোয়াজ্জেম ঠিকই, তবে এটা তার মোবাইল থেকে সম্প্রচার বা প্রকাশ করা হয়নি। এটা সিআইডির ফরেনসিক রিপোর্টেও এসেছে। মাদ্রাসার অধ্যক্ষের মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ভিডিও ধারণ করেছেন তিনি। মামলাটি হয়রানি করার জন্য করা হয়েছে দাবি করে তিনি জানান, আমরা আশা করছি আসামি মোয়াজ্জেম মামলা থেকে খালাস পাবেন। সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলার বাদী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন জানান, নুসরাত হত্যা মামলায় সংশ্লিষ্ট থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে অভিযুক্ত করা হলে মামলার রায়টি পূর্ণতা পেত। বৃহস্পতিবার নুসরাত হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পর সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ভবনে তিনি এ মন্তব্য করেন। ব্যারিস্টার সুমন জানান, নুসরাত হত্যা মামলায় ১৬ জনের ফাঁসির রায় হয়েছে। আমি বলতে চাই, প্রাথমিকভাবে এটা ‘কমপ্লিট জাজমেন্ট’। তবে সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে যদি এ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হতো। আমি মনে করি, তাহলে এটা পূর্ণতা পেত। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম জেলে আছেন, তার বিচার শেষ পর্যায়ে। মোয়াজ্জেমের সাজা যদি কনফার্ম করা হয়, ন্যায়বিচারের মাধ্যমে যদি নিশ্চিত করা যায়, তাহলে নুসরাত জাহান রাফির আত্মাপরিপূর্ণভাবে শান্তি পাবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, নুসরাতকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে তার মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের নামে নুসরাতের বক্তব্য ভিডিও করেন ওসি মোয়াজ্জেম। পরে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি ছড়িয়েও দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ১৫ এপ্রিল ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। এরপর বিচারক মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। ২৭ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রীমা সুলতানা মামলার ১২৩ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন জমা দেন ট্রাইব্যুনালে। এরপর বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে গত ১৬ জুন দুপুরে রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতার করে শাহবাগ থানা পুলিশ। মামলাটিতে এ পর্যন্ত বাদী, নুসরাতের মা ও ভাইসহ ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষী বাকি আছে। আগামী ৩০ অক্টোবর তার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। এদিকে পুলিশ সদর দফতরের তদন্ত দল নুসরাত পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় গাফিলতির প্রমাণ পাওয়ার পর বহুল আলোচিত ফেনীর পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকারকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয় গত ১২ মে। পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, জাহাঙ্গীর আলম সরকারকে ফেনীর পুলিশ সুপারের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে চাঁদপুরের পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে। পরে এসপি জাহাঙ্গীর আলম সরকারকে সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়। এদিকে নুসরাত হত্যার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত শেষে পুলিশ সদর দফতরের তদন্ত দল ফেনীর পুলিশ সুপার ও সোনাগাজী থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনসহ চার পুলিশ কর্মকর্তার গাফিলতির প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, পুলিশ সদর দফতরের তদন্ত দল সুপারিশের ভিত্তিতে এর আগে ১০ মে অভিযুক্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউসুফকে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় এবং এসআই মোঃ ইকবাল আহাম্মদকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় সংযুক্ত করা হয়েছে। সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। পুলিশ সদর দফতর জানায়, নুসরাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে পুলিশ সদর দফতরের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী অভিযুক্ত সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে এসপিসহ অভিযুক্ত চার পুলিশ সদস্যকেই অন্যত্র সংযুক্ত করা হয়েছে। সদর দফতর সূত্র আরও জানায়, সাময়িক বরখাস্ত করে তাদের দূরবর্তী বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত করা হয়েছে। সংযুক্তি কোন বদলি নয়। এটি শাস্তি প্রক্রিয়ার একটি অংশ। সংযুক্তিকালে তাদের কোন দায়িত্ব দেয়া হয় না। সদর দফরের গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সে সময় মোয়াজ্জেম হোসেন আপাতত বেতন-ভাতা ও পদ অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। শুধু নিয়ম অনুযায়ী খোরাকি ভাতা পাবেন। নুসরাত হত্যার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত শেষে পুলিশ সদর দফতরের তদন্ত দল ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনসহ চারজনের গাফিলতির প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছিল। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের মামলা তুলে না নেয়ায় গত ৬ এপ্রিল নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় গত ৮ এপ্রিল নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৪/৫ জনকে আসামি করা হয় সেখানে। কিন্তু অনেকেই এ ঘটনায় সোনাগাজীর পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতি এবং আসামি ধরতে গড়িমসির অভিযোগ করেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। ঘটনার দিন নুসরাতের গায়ে আগুন দেয়ার সময় পরীক্ষা কেন্দ্রে পুলিশ ছিল। তারপরও এ রকম ঘটনা কীভাবে ঘটল। দোষীরা কীভাবে পালিয়ে গেল। ওই ঘটনার তিনদিন পরও আসামি গ্রেফতারে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই পরিস্থিতিতে ১০ এপ্রিল মোয়াজ্জেম হোসেনকে সোনাগাজী থানার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে বদলি করা হয়। মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয় পিবিআইয়ের হাতে। ওইদিন রাতেই ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত। তার ভাইয়ের দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলাটি রূপান্তরিত হয় হত্যা মামলায়। তখন অভিযোগ ওঠে, ঘটনা ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য সোনাগাজী থানার ওসি মোয়াজ্জেম নুসরাতের মৃত্যুর বিষয়টি ‘আত্মহত্যা’ বলার চেষ্টা করেন। নুসরাতের গায়ে আগুন দেয়ার ওই ঘটনা সারাদেশে ক্ষোভের সৃষ্টি করলেও পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর ঘটনার তদন্তে যাথাযথ গুরুত্ব দেননি বলেও অভিযোগ ওঠে। এই প্রেক্ষাপটে অবহেলার পাশাপাশি সার্বিক বিষয় খতিয়ে দেখতে ১৩ এপ্রিল পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি এসএম রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয় সদর দফতর। ওই তদন্ত দলের সদস্যরা ১৭ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল এবং ২২ ও ২৩ এপ্রিল দুই দফর ফেনী গিয়ে তদন্ত করেন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাত চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, দুই শিক্ষার্থী এবং ৪/৫ জন সাংবাদিকদেরও বক্তব্য শোনেন তারা। এদিকে নুসরাতের মৃত্যুর পরদিন ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, থানায় ওসির সামনে অধ্যক্ষ সিরাজের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলে ধরতে গিয়ে অঝোরে কাঁদছেন তরুণী নুসরাত। নিজের মুখ তিনি দুই হাতে ঢেকে রেখেছিলেন। সে সময় ওসি মোয়াজ্জেম ‘মুখ থেকে হাত সরাও, কান্না থামাও’ বলার পাশাপাশি এও বলেন, এমন কিছু হয়নি যে এখনও তোমাকে কাঁদতে হবে। ওই ভিডিও ধারণ এবং তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ায় মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন সৈয়দ সায়েদুল হক নামের এক আইনজীবী। ওই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য পুলিশকে ২৭ মে পর্যন্ত সময় দিয়েছে বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল।
×