ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাধীনতাবিরোধীরাই গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে

প্রকাশিত: ১১:০৭, ২৪ অক্টোবর ২০১৯

স্বাধীনতাবিরোধীরাই গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে

গাফফার খান চৌধুরী ॥ সঠিক মনিটরিংয়ের অভাবে গুজব ছড়ানোর সঙ্গে জড়িতদের অধিকাংশই আইনের আওতায় আসেনি। গুজব ছড়ানোর দায়ে এখন পর্যন্ত ১০৩ জন গ্রেফতার হয়েছে। অথচ নেপথ্য কারিগররা আড়ালেই থেকে গেছে। মনিটরিংয়ের অভাবে একের পর এক গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। ঢাকায় বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর সর্বশেষ ভোলায় গুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়। পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে চার জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। অথচ গুজব ছড়ানোর সঙ্গে জড়িতরা দেশে থেকেই তৎপরতা চালাচ্ছে। বাংলাদেশ সম্পর্কে দেশে-বিদেশে নেতিবাচক ধারণার জন্ম দিতেই গুজব ছড়ানো হচ্ছে। গুজব ছড়ানোকেই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার একমাত্র হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে স্বাধীনতাবিরোধী ও তাদের সহযোগীরা। গুজব ছড়ানোর দায়ে এখন পর্যন্ত ১১২টি ফেসবুক এ্যাকাউন্ট শনাক্ত করা হয়েছে। এসব এ্যাকাউন্ট অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, লিবিয়া ও সৌদি আরব থেকে ৬০ জন সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী ব্যক্তি পরিচালনা করছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছরের মধ্যে ২০১২ সালে উত্তম বড়ূয়া নামের এক ব্যক্তির ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে কক্সবাজারের রামুতে সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনাটি ঘটেছিল। বৌদ্ধ মন্দির গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। সরকার বৌদ্ধ মন্দির পুনর্নির্মাণ করে দেয়। এ ঘটনায় ১৮টি মামলা হয়। যার মধ্যে উত্তম কুমারকেও একটি মামলায় আসামি করা হয়। আজও উত্তম কুমারের হদিস মেলেনি। মামলাগুলোর তদন্ত অনেকটাই হিমাগারে চলে গেছে। সেটি ছিল স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবিরের সুপরিকল্পিত হামলা। এরপর রংপুর সদরে টিটু রায় নামের একজনের ফেসবুকেও একই কায়দায় গুজব ছড়িয়ে ঠাকুরপাড়ায় হামলা চালানো হয়। হামলায় হিন্দুদের ৩০টি বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়। ২৫টি বাড়ি লুটপাট ও ভাংচুর করা হয়। হামলাকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজন মারা যান। এ দুটি ঘটনার নেপথ্য কারিগররা আজও গ্রেফতার হয়নি। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ আছে। সেই ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর এবং হবিগঞ্জের মাধবপুরের হিন্দুদের অনেক বাড়ি এবং মন্দির ভাংচুর করা হয়। নাসিরনগর সদর থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের বাসিন্দা রস রাজের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়? রস রাজের ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ওঠার সূত্র ধরেই হামলার ঘটনা ঘটে। সূত্রটি বলছে, এমন ঘটনার পর ইউটিউব বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে নানা কারণে খুলে দেয়া হয়েছে। তবে এসব ঘটনার পর সরকারের তরফ থেকে ফেসবুক ও টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। তবে তার কোন প্রতিফলন ঘটেনি। কিছু পর্নো ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে ফেসবুক ফিল্টারিং করার কোন সিস্টেম আজও চালু করতে পারেনি। এমনকি ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে না। এর সুযোগ নিয়ে গুজব ছড়িয়ে দেশে একের পর এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে। এমনকি এখন পর্যন্ত যত ঘটনা ঘটেছে এবং এসব ঘটনার সঙ্গে যারা সরাসরি জড়িত তাদের অধিকাংশই আইনের আওতায় আসেনি। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, শুধু সঠিক মনিটরিঙের অভাবের সুযোগ নিয়ে গত বছরের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী দিয়া খানম মীম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র আব্দুল করিম রাজিব নিহত হওয়ার পর গুজব ছড়ায় স্বাধীনতাবিরোধী চক্রটি। এমন ঘটনার পর আন্দোলনে নামায় নারী শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করে লাশ ধানম-ির আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে রাখা হয়েছে বলে গুজব ছড়ানো হয়েছিল। তারই জেরে সারাদেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে টানা আট দিন দেশ একপ্রকার অচল করে রেখেছিল। একইভাবে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ছাত্র নিহতের গুজবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাস ভবন পুরো ভেঙ্গে-গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে এ দুটি ঘটনায় জড়িতদের কেউ কেউ গ্রেফতার হলেও নেপথ্য কারিগররা আজও গ্রেফতার হয়নি। এ দুটি ঘটনায় গ্রেফতারদের অধিকাংশই ছিল ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মী। তারা পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়িয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। তারপরও গুজব ছড়ানো থেমে নেই। চলতি বছর পদ্মা সেতুতে শিশুদের মাথা লাগার গুজব ছড়ানো হয়। মাথা যোগাড় করতে সারাদেশে ছেলেধরা নেমেছে বলে গুজব রটায় গোষ্ঠীটি। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের গত ২০ জুলাই সকাল সাড়ে আটটার দিকে ছেলের ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন উত্তরপূর্ব বাড্ডা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনীর শিকার হয়ে মৃত্যু হয় রেনু বেগম (৩৮) নামের এক নারীর। ওই ঘটনায় ১৪ জন গ্রেফতার হয়। পরে তাদের অধিকাংশই জামিনে ছাড়া পেয়ে গেছে। গ্রেফতাররা ছিল জামায়াত-শিবিরের রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী। যাদের মধ্যে তিনজন আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে। পদ্মা সেতুতে মাথা লাগার গুজব ছড়ানোর সঙ্গে জড়িতদের গ্রুপগুলোতে দশ লাখের বেশি সদস্য আছে। সেসব গ্রুপে যারা গুজবের পোস্টটি শেয়ার করেছিল তাদের শনাক্ত করার কাজ চললেও শেষ পর্যন্ত তা থেমে যায়। পরে দেখা গেছে, শেয়ার করা ওইসব ছবির অধিকাংশই মিয়ানমারের রাখাইনে নির্যাতনের সময়কার ছবি। এ ছাড়া পদ্মা নদী ও সেতুর নির্মাণ কাজের ছবি ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে ফটোশপের মাধ্যমে মানুষের কাটা মাথার ছবি টেবিলের ওপর বসানোর প্রমাণ মেলে। ইতোপূর্বে ফটোশপের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর একেকটি স্প্যান বিশাল বিশাল দানব পানির নিচ থেকে উঠে গিলে খাচ্ছে বলে ইউটিউবসহ ফেসবুকে ছড়ানো হয়েছিল। এমন ঘটনার পর পুলিশ মহাপরিদর্শক সারাদেশের পুলিশের প্রতিটি ইউনিটকে কড়া নির্দেশনা দেন। নির্দেশনা মোতাবেক গুজব বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে সারাদেশে মাইকিং করা, বাজার, ধর্মীয় ও সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গুজব বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে সভা-সমাবেশ করা, গুজব ছড়ানোর মাস্টারমাইন্ডদের গ্রেফতার করা, দুবাই থেকে প্রথম গুজবের পোস্ট দেয়া সরকারবিরোধী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির সুনির্দিষ্ট অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেফতার করা, প্রতিটি ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এ্যাসেম্বলি ক্লাসের আগে গুজব বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে অভিভাবক ও শিক্ষকদের তরফ থেকে বক্তব্য দেয়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও তার আশপাশের এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা, শুক্রবার জুমার খুতবার আগে গুজব সংক্রান্ত ইমাম কর্তৃক বয়ান দেয়া, স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে গুজব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে উঠান বৈঠক করা, গুজবে কান না দিতে সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণ, দর্শনীয় জায়গায় লিফলেট লাগানো, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশনা দেন। পদ্মা সেতুতে মাথা লাগার গুজবের পর পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গুজব ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে গ্রেফতারদের অধিকাংশই সরকারবিরোধী ভিন্ন রাজনৈতিক মতবাদে বিশ্বাসী। একটি স্বার্থান্বেষী মহল পুরো ঘটনার সঙ্গে জড়িত। দেশের উন্নয়ন ব্যাহত করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতেই গোষ্ঠীটি এমন অপতৎপরতা শুরু করেছে। দুবাই থেকে সরকারবিরোধী এক ব্যক্তি গুজবের প্রথম পোস্টটি দিয়েছিলেন। তাকে শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গুজবের অপতৎপরতার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা অব্যাহত। সূত্র বলছে, এমন নির্দেশনা মোতাবেক কাজ চলছে এবং নিয়মিত মনিটরিং ব্যবস্থা থাকলে ভোলার ঘটনা নাও ঘটতে পারত। মনিটরিঙের অভাবের সুযোগ নিয়ে স্বাধীনতাবিরোধীরা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, যা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। গুজবের বিষয়ে সারাদেশে নজরদারি বাড়ানোসহ কৌশলী পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক ও র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম। তিনি বলছেন, গুজবের শেকড় খুঁজে বের করার চেষ্টা অব্যাহত আছে। পুরো প্রক্রিয়াটির নেপথ্য কারিগরদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে। র‌্যাবের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইস্যুতে শুধু র‌্যাবের হাতেই গুজব ছড়ানোর দায়ে ৩৬ জন গ্রেফতার হয়েছিল। যাদের অধিকাংশই জামায়াত-শিবিরের রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী। এদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গসংগঠন ছাত্র শিবিরের সদস্য সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এখাতে জামায়াত রীতিমত অর্থায়ন করে যাচ্ছে। গ্রেফতারদের কাছ থেকে এমন তথ্য মিলেছে। চক্রটি এতটাই ভয়ঙ্কর যে, তারা সেনাবাহিনী সম্পর্কেও গুজব ছড়িয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বলছেন, প্রযুক্তির অনেক সুবিধাজনক দিক আছে। আবার অসুবিধাও আছে। প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরী। বিশেষ করে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হরহামেশাই গুজব ছড়ানো হচ্ছে। যারা গুজব ছড়াচ্ছে তারা দেশ ও জাতির শত্রু। কারণ তারা দেশ ও জাতিকে ধ্বংস করতেই পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়ায়। তাদের গ্রেফতার করতে ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত থাকবে। ইতোমধ্যেই পুলিশের প্রতিটি ইউনিটে সাইবার সিকিউরিটি বিভাগ চালু হয়েছে। সেসব বিভাগ সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে জোরালো ভূমিকা রাখছে। যে কারণে বর্তমানে গুজব ছড়ানোর মাত্রা অনেকটাই কমে গেছে। প্রকৃত মোবাইল ফোন নিশ্চিত করতে এবং মোবাইলে ব্যবহৃত সিম সঠিক ব্যক্তি ব্যবহার করছেন কিনা তা নিশ্চিত করতে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে তারা সর্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। কারণ শুধু সঠিক ব্যক্তি সঠিক মোবাইল ফোন ও সিমকার্ড ব্যবহার করলে, অপরাধ অনেকাংশে কমে যাবে। বেনামী সিমকার্ড, চোরাই মোবাইল ফোন ও ভুয়া ফেসবুক এ্যাকাউন্টের ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব হলে প্রযুক্তিগত অপরাধ দিন দিন কমে আসতে বাধ্য। গুজবের বিষয়ে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগ বলছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্র ও সরকারকেন্দ্রিক নানা অপপ্রচার, প্রপাগান্ডা ও গুজব ছড়ানো ঠেকাতে তারা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। যারা গুজব ছড়াচ্ছে তাদের অধিকাংশই স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। গুজব ছড়ানোর দায়ে এখন পর্যন্ত ১১২টি ফেসবুক এ্যাকাউন্ট শনাক্ত করা হয়েছে। এসব এ্যাকাউন্ট অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, লিবিয়া ও সৌদি আবর থেকে ৬০ জন সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী ব্যক্তি পরিচালনা করছে। সর্বশেষ ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় বিপ্লব চন্দ্র বৈদ্যের ফেসবুক মেজেঞ্জার থেকে মহানবীকে (সা.) কটূক্তি করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ও জনতার মধ্যে সংঘর্ষে চার জনের মৃত্যু ঘটনার আগ পর্যন্ত শুধু চলতি বছর সারাদেশে গুজব সংক্রান্ত ৩১টি মামলা দায়ের হয়েছে। গুজব ছড়ানোর দায়ে গ্রেফতার হয়েছে ১০৩ জন। গ্রেফতারদের মধ্যে ৭০ জনের বেশি জামায়াত-শিবিরের রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী।
×