ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আবরারের রুমমেট মিজানকে পাঁচ দিনের রিমান্ড করেছেন আদালত

প্রকাশিত: ০৩:১৭, ২৩ অক্টোবর ২০১৯

আবরারের রুমমেট মিজানকে পাঁচ দিনের রিমান্ড করেছেন আদালত

অনলাইন ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় তার রুমমেট মিজানুর রহমান মিজানকে পাঁচ দিনের রিমান্ড করেছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাকিম বাকী বিল্লাহ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে মিজানকে আদালতে হাজির করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এ আদেশ দেন। আদালতে শুনানিতে মিজানের কোনও আইনজীবী ছিলেন না। বিচারক তাকে জিজ্ঞাস করেন, ‘আপনার আইনজীবী আছে?, আপনি কি আবরারের রুমমেট?’ আইনজীবী নেই জানিয়ে মিজান আদালতকে জানায়, ‘জি, আবরার আমার রুমমেট।’ আদালতের প্রশ্ন , ‘আপনি কোন বিভাগের? ’ মিজানের জবাব, ‘পানিসম্পদ বিভাগের।’ গত ১১ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিজানকে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। একইসঙ্গে আবেদনে তিনি বলেন,‘পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে রিমান্ডের আবেদন করবেন। এরপর বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’ উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে। রাত তিনটার দিকে শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ। পুলিশ জানিয়েছে, তাকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় একাধিক ভিডিও ফুটেজও পাওয়া গেছে। আবরারকে হত্যার ঘটনায় তার বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। হত্যায় সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে পুলিশ এখন অব্দি ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আবরার ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে। তার বাবা বরকত উল্লাহ একজন এনজিওকর্মী, মা রোকেয়া বেগম কিন্ডার গার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে আবরার বড়। তার ছোট ভাই ঢাকা কলেজের ছাত্র।
×