ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জয়পুরহাটে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ০৯:৪১, ২৩ অক্টোবর ২০১৯

জয়পুরহাটে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, জয়পুরহাট, ২২ অক্টোবর ॥ আক্কেলপুর উপজেলার দেওড়া আশ্রয়ণ কেন্দ্রের গৃহবধূ তিন সন্তানের জননী আরতি রানী মহন্ত (৩৫) কে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সাত অসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাতজনকে মৃত্যুদ- দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক ড. এবিএম মাহমুদুল হক। একইসঙ্গে দুজনের পাঁচ লাখ এবং পাঁচ জনের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি ওই রায় দেন। দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- আক্কেলপুর উপজেলার মারমা গ্রামের সোহেল তালুকদার (২৭), দেওড়া সোনারপাড়া গ্রামের আফজাল হোসেন (৫০), দেওড়া গুচ্ছগ্রামের রাহিন (২৪), দেওড়া সাখিদার পাড়ার ফেরদৌস আলী সাখিদার (৪৪), দেওড়া সোনারপাড়ার মজিবর রহমান (৪৪), জগতি গ্রামের রুহুল আমীন (৩৭) ও দেওড়া গুচ্ছগ্রামের আজিজার রহমান (৫২)। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৮ অক্টোবর রাতে দেওড়া আশ্রয়ন কেন্দ্রের উজ্জ্বল মহন্তের স্ত্রী আরতী রানীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসামিরা গণধর্ষণ করে এবং তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। আরতিকে রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় উজ্জ্বল মহন্ত তার বড় ছেলেকে নিয়ে ব্যবসার কাজে চট্টগ্রাম অপর পুত্র নানার বাড়িতে যাওয়ায় ৫ম শ্রেণীতে পড়ুয়া কন্যা অর্চনাকে নিয়ে বাড়িতে ছিলেন। এ ঘটনায় ১০ অক্টোবর আরতী রানীর স্বামী উজ্জ্বল মহন্ত বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে আক্কেলপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় দীর্ঘ শুনানির পর জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক সব আসামির মৃতুদ-ের আদেশ প্রদান করেন। একইসঙ্গে আসামি সোহেল ও ফেরদৌসকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও অন্যদের ১ লাখ টাকা করে জরিমানারও আদেশ দেন। চাঁদপুরে স্বামীর যাবজ্জীবন নিজস্ব সংবাদদাতা চাঁদপুর থেকে জানান, চাঁদপুুর শহরের রহমতপুর আবাসিক এলাকায় স্ত্রী সালমা বেগমকে (৩৮) শ্বাসরোধ করে হত্যার অপরাধে স্বামী গফুর মিজিকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় জেলা ও দায়রা জজ মোঃ জুলফিকার আলী খাঁন এই রায় দেন। হত্যার শিকার সালমা চাঁদপুর শহরের উত্তর শ্রীরামদী মাদ্রাসা রোডের মৃত খালেক বেপারির মেয়ে এবং গফুর মিজি ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ভাটিয়ালপুর এলাকার চির্কা চাঁদপুর গ্রামের মৃত রহমান মিজির ছেলে। সে পেশায় একজন শ্রমিক ছিলেন। জানা যায়, ২০১৫ সালের ২০ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে সালমার ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম (১৯) বোনের বাসায় আসেন। পরদিন ২১ অক্টোবর ভোর ৬টায় সালমার ছোট ভাই সাইফুল ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার বোনের মরদেহ মেঝেতে পড়ে আছে এবং গলাতে ফাঁসের চিহ্ন রয়েছে।
×