ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যমুনার চরে সরকারী স্কুল চলে প্রক্সি শিক্ষক দিয়ে

প্রকাশিত: ০৯:৪০, ২৩ অক্টোবর ২০১৯

যমুনার চরে সরকারী স্কুল চলে প্রক্সি শিক্ষক দিয়ে

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর, ২২ অক্টোবর ॥ ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নের যমুনা নদীর চরের চরনন্দনেরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান প্রক্সি শিক্ষক দিয়ে চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান চরমভাবে বিঘিœত হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নের যমুনা নদীতে জেগে ওঠা চরের চরনন্দনেরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনজন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক ও ২১০ ছাত্রছাত্রী রয়েছে। শিক্ষকদের মধ্যে বিপুল নামে একজন পিটিআইয়ে প্রশিক্ষণে রয়েছেন। প্রধান শিক্ষক আবু সাইদ মোহাম্মদ শেরে বাংলাসহ আশরাফী আক্তার নামে আরও একজন শিক্ষিকা পাঠদান করার কথা থাকলেও তারাও কেউ বিদ্যালয়ে যান না। নানা অজুহাতে বছরের পর বছর প্রক্সি শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালাচ্ছেন তারা। বিদ্যালয়ের সচেতন অভিভাবক ও স্থানীয়দের অভিযোগ, তারা শিক্ষিকা আশরাফী আক্তারকে কোনদিন বিদ্যালয়ে আসতে দেখেননি। প্রধান শিক্ষকও আসেন মাঝে মধ্যে। প্রধান শিক্ষক আবু সাইদের বদলে ক্লাস নেন ছবশের আলী আর শিক্ষিকা আশরাফী আক্তারের বদলে এক বছর ধরে প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রক্সি ক্লাস নিচ্ছেন আব্দুল হান্নান নামে এক ব্যক্তি। সম্প্রতি বিদ্যালয়টিতে সরেজমিনে গিয়ে কোন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় অভিভাবক জোসনা বেগমসহ অনেকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, শিক্ষকরা নিয়মিত স্কুলে আসেন না। প্রক্সি শিক্ষরা ক্লাস নেন। তারা সকাল ১০টায় নৌকায় যান। আবার তড়িঘড়ি ছুটি দিয়ে ১২টার নৌকায় বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অভিভাবকরা সরকারী চাকরিবিধি লংঘনকারী ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে নতুন শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদানসহ বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন। বিদ্যালয়ের এই নাজুক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রেজাউল সরকার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করলেও দীর্ঘদিনেও অনুপস্থিত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে রহস্যজনক কারণে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। অভিযোগ প্রসঙ্গে ইসলামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জনকণ্ঠকে বলেন, অনুপস্থিত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×