ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তেঁতুলিয়ায় ইলিশ শিকার ॥ আট পুলিশ ক্লোজড

প্রকাশিত: ০৯:৩৯, ২৩ অক্টোবর ২০১৯

তেঁতুলিয়ায় ইলিশ শিকার ॥ আট পুলিশ ক্লোজড

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ও নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল ॥ নিষেধাজ্ঞা চলাকালে পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ শিকারের সময় পুসদস্যদের আটকের ঘটনায় এবার পাঁচজনকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। তাদের বমহানগরের বন্দর (সাহেবের হাট) থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে একই ঘটনায় আরও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘটনার তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষণ) আকরাম হোসেন জানান, বিষয়তদন্তাধীন থাকায় এখনও এ বিষয়ে বিস্তাকিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত শেষে পুরো বিষয়টি জানানো যাবে। থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যাহারকৃতরা হলেনÑ বমহানগরের বন্দর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) তারিকুল ইসলাম, ইরফান হোসেন ও সোহেল রানা এবং কনস্টেবল জাকির হোসেন ও ইব্রাহিম। এর আগে একই ঘটনায় সোমবার বমহানগরের বন্দর থানার তিন পুলিশ সদস্য উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান, কনস্টেবল মোহম্মদ আলী ও জুলফিকারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। জানা গেছে, রবিবার পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় তেঁতুলিয়া নদীর ধুলিয়া পয়েন্টে মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে বরিশাল মহানগর পুলিশের বন্দর থানার কনস্টেবল জুলফিকার আলী ও মোহাম্মদ আলীকে আটক করে স্থানীয় প্রশাসন। ওই অভিযানে আরও চার জেলেকে আটক করা হয় এবং জব্দ করা হয় মা ইলিশ। পটুয়াাখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ জানান, রবিবার বিকেলে বাউফল উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এবং নৌ পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে একটি দল অভিযানে নামে। এ সময় তেঁতুলিয়া নদীর ধুলিয়া পয়েন্টে ইলিশ শিকার করার সময় একটি ট্রলার আটক করা হয়। ওই ট্রলার থেকে বরিশাল বন্দর থানার জুলফিকার ও মোহাম্মদ আলী নামে দুই পুলিশ সদস্য এবং চার জেলেকে আটক করা হয়েছে। অভিযানের সময় দুটি স্পিডবোটসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। সূত্রমতে, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে অন্যান্য জড়িতদের শনাক্ত করে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় দুইদিনে চার পুলিশ অফিসার ও চার কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়াও পুরো ঘটনার তদন্তে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। বাগেরহাটে ১৪ ভারতীয় জেলে আটক স্টাফ রিপোর্টার বাগেরহাট থেকে জানান, বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে মাছ ধরার অপরাধে আবারও ১৪ ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে নৌবাহিনী। মঙ্গলবার ভোরে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে একটি ট্রলারসহ ১৪ জেলেকে আটক করা হয়। বিকেলে আটক জেলেদের মংলা থানায় হস্তান্তর করেছে নৌবাহিনী। এ নিয়ে অক্টোবরের তিন সপ্তাহে মোট ৬৩ ভারতীয় জেলেকে আটক করল নৌবাহিনী। এর মধ্যে ১ অক্টোবর ১৫ জন, ৪ অক্টোবর ২৩ জন ও ১৪ অক্টোবর ১১ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করা হয়। আটককৃত জেলেদের বিরুদ্ধে ১৮৯৩ সালের সামুদ্রিক মৎস্য অধ্যাদেশের ২২ ধারায় মংলা থানায় মামলা করেছেন নৌবাহিনীর পেটি অফিসার মোঃ জাহিদুল ইসলাম। পেটি অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, নৌবাহিনীর নিয়মিত টহলের সময় বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে ৯-১০ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশী সীমানা থেকে একটি ট্রলারসহ ১৪ জেলেকে আটক করেছি। আটক জেলেদের বিরুদ্ধে মংলা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মেঘনায় ২৫ হাজার মিটার জাল জব্দ নিজস্ব সংবাদদাতা হাতিয়া নোয়াখালী থেকে জানান, সোমবার রাতে নৌ-পুলিশ মা ইলিশ সংরক্ষণে মেঘনায় অভিযান চালায়। চট্টগ্রাম অঞ্চলের নৌ-পুলিশের (ভারপ্রাপ্ত) পুলিশ সুপার গোলাম মর্তুজা, পুলিশ পরিদর্শক একরাম উল্ল্যা, এসআই আব্দুর রহমান ঢালী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হাতিয়ার ইসলাম চরে অভিযান চালায় এ সময় তারা ১৮ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, ৫ হাজার মিটার সুতা জাল, ২ হাজার মিটার চরঘেরা জাল ও ৪০ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করেছে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জেলেরা চরের উপরে উঠে পালিয়ে যায়। জব্দকৃত জালগুলো হাতিয়া চেয়ারম্যান ঘাটে এনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। মাছগুলো স্থানীয় দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়। (ভারপ্রাপ্ত) পুলিশ সুপার গোলাম মর্তুজা বলেন, নিষিদ্ধ সময়ে মা ইলিশ সংরক্ষণে নৌ-পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম। সুগন্ধায় ২০ হাজার মিটার জাল জব্দ নিজস্ব সংবাদদাতা ঝালকাঠি থেকে জানান, ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৩ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। এ সময় নদী থেকে ১২টি মাছ ধরার নৌকা জব্দ করা হয়। জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, সুগন্ধা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে শতাধিক জেলে ভোরে মাছ ধরার সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ বশির গাজী অভিযান চালিয়ে কারেন্ট জাল ও ইলিশ জব্দ করে। এ সময় জাল ও নৌকা ফেলে পালিয়ে যায় জেলেরা। এছাড়াও বিষখালী নদী থেকে জাল ও ইলিশ জব্দ করে মৎস্য বিভাগ। ফরিদপুরে ৯ জেলের দ- নিজস্ব সংবাদদাতা ফরিদপুর থেকে জানান, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলায় পদ্মা নদীতে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ মাছ শিকার করায় নয় জেলেকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত চরভদ্রাসন উপজেলা ও সদরপুর উপজেলার আশপাশে পদ্মা নদীতে পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী হাকিম হাসান মোঃ হাফিজুর রহমান। পরে চরভদ্রাসনের গোপালপুর ঘাটে এসে আদালত পরিচালনা করে জেলেদের কারাদ- দেয়া হয়। আদালত ওই নয় জেলের মধ্যে ছয়জনকে ২০ দিন করে এবং তিন জেলেকে ১০ দিন করে বিনাশ্রম কারাদ- দেয়।
×