ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনে জিতলেও আসন কমেছে ট্র্রুডোর পার্টির

দ্বিতীয় মেয়াদে জাস্টিন ট্রুডো

প্রকাশিত: ০৯:১৫, ২৩ অক্টোবর ২০১৯

দ্বিতীয় মেয়াদে জাস্টিন ট্রুডো

জাস্টিন ট্রুডো টানা দ্বিতীয় মেয়াদে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। সোমবারের সাধারণ নির্বাচনের ফল থেকে এটি স্পষ্ট যে লিবারেল পার্টিই ক্ষমতায় থাকছে। একজন উদারপন্থী রাজনীতিক হিসেবে ট্রুডোর পরিচিতি রয়েছে । দেশটির ৪৩তম সাধারণ নির্বাচনে ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টি ১৫৬ আসন পেয়ে এগিয়ে থাকায় ওই আভাস দিয়েছে দেশটির জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিবিসি। বিবিসি ও সিএনএন। কানাডার ৪৩তম সাধারণ নির্বাচনে ১৫৬ আসন পেয়ে এগিয়ে গেছে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টি। এ পরিপ্রেক্ষিতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন ট্রুডো। যদিও এককভাবে সরকার গঠন করতে পারছেন না তিনি। প্রয়োজন একটি দলের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। সোমবার দেশটিতে সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়। ৩৩৮ আসনের মধ্যে এই নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে প্রয়োজন ১৭২ আসনের। কিন্তু ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি পেয়েছে ১৫৬টি। এ হিসেবে এবারই প্রথম দলটি সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালো। এছাড়া তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এ্যান্ড্রু শির কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ১২১টি আসন। এবারের নির্বাচনে অংশ নেয় মোট ছয়টি দল। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রধানমন্ত্রী ও লিবারেল পার্টির নেতা জাস্টিন ট্রুডো এবং কনজারভেটিভ পার্টির নেতা এ্যান্ড্রু শির মধ্যে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুডোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি একে কষ্টার্জিত বিজয় বলে অভিহিত করেন। ট্রুডো যেহেতু এককভাবে সরকার গঠন করতে পারছেন না তাই তাকেএকটি দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েই সরকার গঠন করতে হবে। ক্ষমতায় ফিরলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিতে ব্যর্থ হলে পার্লামেন্টের ওপর নিয়ন্ত্রণ কমে যাবে ট্রুুডোর। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন আইন পাস করতে অন্য দলগুলোর শরণাপন্ন হতে হবে তাকে। দেশটির ৩৩৮ আসনের এই নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে প্রয়োজন ১৭২ আসনের। ভোট গণণার পর জানা যায়, ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি পেয়েছে ১৫৬টি আসন। মোট ১০টি প্রদেশ নিয়ে গঠিত কানাডা আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। প্রায় চার কোটি মানুষের দেশটিতে এবারের নির্বাচনে অংশ নেয়া ছয়টি রাজনৈতিক দল হচ্ছে- লিবারেল, কনজারভেটিভ, নিউ ডেমোক্র্যাটিক, ব্লক কুবেকাওয়া, গ্রিন ও পিপলস পার্টি অব কানাডা। এর আগে গত পাঁচ সপ্তাহের নির্বাচনী প্রচার শেষে সোমবার কানাডার হাউস অব কমন্সের ৩৩৮ আসনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এবারের নির্বাচনে মোট ছয়টি দল অংশ নিলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা হয় প্রধানমন্ত্রী ও লিবারেল পার্টির নেতা ট্রুডো এবং কনজারভেটিভ পার্টির নেতা এ্যান্ড্রু শির মধ্যে। ওই নির্বাচনী প্রচারে নিজের উদার অভিবাসন নীতি নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েন ট্রুডো। জলবায়ু ইস্যুতেও তার বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতার অভিযোগ উঠে। তবে ৩০ জনেরও বেশি কানাডিয়ান শিক্ষাবিদের স্বতন্ত্র পর্যালোচনায় উঠে এসেছে, ২০১৫ সালের নির্বাচনে জেতার পর ট্রুডো নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির ৯২ শতাংশই পূর্ণাঙ্গ কিংবা আংশিকভাবে বাস্তবায়ন করেছেন। যা গত ৩৫ বছরে অন্য যে কোন কানাডিয়ান সরকারের চেয়ে সবচেয়ে ভাল।৪৭ বছর বয়সী জাস্টিন পিয়ারে জেমস ট্রুডো একজন কানাডিয়ান রাজনীতিবিদ। তিনি কানাডার লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে ২০১৫ সালে দেশটির ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন। জো ক্লার্কের পর তিনি দেশটির কম বয়সী দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার পিতা পিয়েরে ট্রুডোও ছিলেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী। পরিবর্তনের অঙ্গীকার করে চার বছর আগে বিশাল জয়ের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় তিনি আসেন। এর পরে ট্রুডো তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে সেলফি তুলেছেন, ভোগ ম্যাগাজিনে তাকে নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন করা হযেছে। ট্রাম্প যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হলেন, তখন রোলিং স্টোন ম্যাগাজিনে প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয় যে, মুক্ত বিশ্বের নতুন নেতা হতে পারেন ট্রুডো।
×