ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আমতলীতে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ডাকাতি ॥ আহত ৪০

প্রকাশিত: ১২:১৩, ২২ অক্টোবর ২০১৯

আমতলীতে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ডাকাতি ॥ আহত ৪০

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ২১ অক্টোবর ॥ পটুয়াখালী-আমতলী মহাসড়কের আমড়াগাছিয়া খানকায়ে ছালেহিয়া কমপ্লেক্সের দক্ষিণ পাশে গাছের গুঁড়ি, সিমেন্টের স্লাব ফেলে সড়ক আটকে বিআরটিসি পরিবহন, ট্রাক, পিকআপ, নসিমন ও মোটরসাইকেলে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্র দিয়ে লোকজনকে পিটিয়ে তাদের সর্বস্ব নিয়ে গেছে। ডাকাতের হামলায় মহিলাসহ ৪০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে নসিমন চালক জাকির হোসেনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বিআরটিসি পরিবহনের সুপার ভাইজার শিপন শরীফ ও ট্রাকচালক হাফিজুর রহমান মোল্লাসহ অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘটনা ঘটেছে রবিবার রাত দুটার দিকে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মহাসড়কের আমড়াগাছিয়া খানকায়ে ছালেহিয়া কমপ্লেক্সের দক্ষিণ পাশে রবিবার রাত দুটার দিকে মুখে কালি মাখানো শর্টপ্যান্ট পরিহিত ১০/১২ জনের একটি ডাকাত দল গাছের গুঁড়ি ও সিমেন্টের ব্লক ফেলে সড়ক আটকে দেয়। পরে গোপালগঞ্জ থেকে খড়ি নিয়ে আসা একটি ট্রাক অবরোধ করে। ওই ট্রাকে থাকা চালক মোঃ হাফিজুর রহমান মোল্লাকে বেধড়ক মারধর করে। এরপরে যশোর থেকে ছেড়ে আসা বিআরটিসি পরিবহনে তিনটি ট্রাক, তিনটি পিকআপ, দুটি নসিমন ও দুটি মোটরসাইকেলের যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারকে বেধড়ক মারধর করে টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। পৌনে এক ঘণ্টাব্যাপী তা-ব চালিয়ে ডাকাতদল নিরাপদে চলে যায়। ডাকাতের হামলায় ৪০ জন আহত হয়েছে। পরে গাড়ির লোকজন সড়ক থেকে গাছের গুঁড়ি ও সিমেন্টের স্লাব তুলে গাড়ি নিয়ে গন্তব্যে চলে যায়। খবর পেয়ে ওই রাতেই টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। ডাকাতের মারধরে আহত নসিমন চালক জাকির হোসেনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। রূপগঞ্জ নিজস্ব সংবাদদাতা রূপগঞ্জ থেকে জানান, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদল পরিবারের সদস্যদেও অস্ত্রেও মুখে জিম্মি করে প্রায় ৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ টাকা লুটে নিয়েছে। সোমবার ভোরে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কেন্দুয়ারটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বাড়ির মালিক ইশবাল হোসেন জানান, তিনি একজন ইট বালু ও রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী। রাত ৩টার দিকে কেন্দুয়ারটেক এলাকার তার বসতবাড়ির জানালার গ্রিল কেটে সাত-আটজনের একদল মুখোশধারী ডাকাত ঘরে প্রবেশ করে। পরে ঘরে থাকা বাড়ির মালিক ইশবাল হোসেন, তার স্ত্রী আমেনা বেগম রুনা ছেলে সালাউদ্দিন রিয়াজ ও সম্রাটের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বেঁধে ফেলে। পওে জোরপূর্বক আলমারির চাবি কেড়ে নিয়ে আলমারিতে থাকা ২৫ ভরি স্বর্ণ ও ৩০ হাজার টাকা লুটে নেয়। এরপর ডাকাত দল ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ঢুকে ভাড়াটিয়া বাচ্চু সরকার ও স্বপ্না রানীর ঘরে প্রবেশ করে। একই কায়দায় ওই দুই পরিবারের সকলকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের কাছ থেকেও তিন ভরি স্বর্ণ ও নগদ দুই লাখ টাকা লুটে নেয় ডাকাত দল। বাড়ির সকলকে বেঁধে ফেলে রেখে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।
×