ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ক্রেমলিনে বেনচিচ, লুক্সেমবার্গে ওস্টাপেঙ্কো

প্রকাশিত: ১২:০৮, ২২ অক্টোবর ২০১৯

ক্রেমলিনে বেনচিচ, লুক্সেমবার্গে ওস্টাপেঙ্কো

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টেনিস কোর্টে দারুণ এক সপ্তাহ পার করলেন বেলিন্ডা বেনচিচ এবং জেলেনা ওস্টাপেঙ্কো। দীর্ঘদিন পর শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন তারা। ক্রেমলিন কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বেলিন্ডা বেনচিচ। দুর্দান্ত খেলেই এই টুর্নামেন্টের শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছেন তিনি। ফাইনাল জয়ের পথে রাশিয়ার এ্যানাস্তাসিয়া পাভলিউচেঙ্কোভাকে পরাজিত করেন তিনি। অন্যদিকে লুক্সেমবার্গ ওপেনে জুলিয়া জর্জেসকে হারিয়ে দীর্ঘ দুই বছরেরও বেশি সময় পর কোন শিরোপার দেখা পেয়েছেন জেলেনা ওস্টাপেঙ্কো। ক্রেমলিন কাপের ফাইনালে সুইজারল্যান্ডের বেলিন্ডা বেনচিচ ৩-৬, ৬-১ এবং ৬-১ গেমে পরাজিত করেন এনাস্তাসিয়া পাভলিউচেঙ্কোভাকে। এই জয়ের পর দারুণ খুশি বেলিন্ডা বেনচিচ। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমার অনুভূতিটা অবিশ্বাস্য। বলে বুঝানো কঠিন। এখনও কল্পনা করতে পারছি না আমি।’ ক্রেমলিনের আগে বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের ১০ নম্বরে অবস্থান করছিলেন বেনচিচ। এর ফলে শীর্ষ আটে পৌঁছে মৌসুমের শেষ বড় টুর্নামেন্ট ডব্লিউটিএ ফাইনালসে খেলতে হলে তাকে এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলতে হবে। সুইস তারকারও এটা ছিল মূল লক্ষ্য। আর সেমিফাইনালে জিতেই অষ্টম খেলোয়াড় হিসেবে শেনঝেনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ডব্লিউটিএ ফাইনালসে জায়গা করে নেন তিনি। সেই টিকেট কেটেই উচ্ছ্বাসের জোয়ারে ভাসছিলেন বেলিন্ডা বেনচিচ। ফাইনাল ম্যাচের আগে তাই কোন ধরনের চাপ ছিল না তার। ফাইনাল জয়ের পর সেটা নিজেও স্বীকার করে নিয়েছেন বেনচিচ। এ প্রসঙ্গে টুর্নামেন্টের তৃতীয় বাছাই বলেন, ‘ফাইনালের আগে আমার কোন ধরনের চাপ ছিল না। কেননা, গতকালই আমরা দারুণ খুশি হয়েছিলাম। শেনঝেনের টিকেট কাটার উৎসবও করেছি আমরা।’ এই টুর্নামেন্টে অবশ্য খেলার কথা ছিল না সুইস তারকার। শেষ মুহূর্তে ওয়াইল্ডকার্ড পেয়ে খেলতে নামেন ক্রেমলিন কাপে। টুর্নামেন্টে নেমেই অবশ্য বাজিমাত করেন তিনি। বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ বিশে থাকা সাবেক তিন খেলোয়াড়কে পরাজিত করেই শিরোপা জয়ের স্বাদ পান তিনি। তারা হলেনÑ এ্যানাস্তাসিয়া পাভলিউচেঙ্কোভা, ক্রিস্টিনা মাদেনোভিচ ও ক্রিস্টেন ফ্লিপকেন্স। এদিকে লুক্সেমবার্গ ওপেনের শিরোপা জিতেছেন জেলেনা ওস্টাপেঙ্কো। একইদিনে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের ফাইনালে তিনি সরাসরি সেটে পরাজিত করেন জুলিয়া জরজেসকে। ৬-৪ এবং ৬-১ গেমে। এর ফলে দুই বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথম কোন টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হলেন ফ্রেঞ্চ ওপেনের সাবেক চ্যাম্পিয়ন। সেইসঙ্গে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডব্লিউটিএ শিরোপা নিজের শোকেসে তুলেন তিনি। এর ফলে দারুণ খুশি লাটভিয়ার এই তারকা খেলোয়াড়। ম্যাচের শেষে ওস্টাপেঙ্কো বলেন, ‘অবশ্যই এটা দারুণ ব্যাপার। বিশেষ করে শিরোপা জিতে মৌসুম শেষ করতে পারাটা সবসময়ই দুর্দান্ত। এই সপ্তাহটা ব্যাপক উপভোগ করেছি। আমি মনে করি ফাইনালেও খুব ভাল খেলেছি। সত্যি বলতে, শেষটা এভাবেই চেয়েছিলাম।’
×