ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সঙ্কটে ব্যাংকবহির্র্ভূত আর্থিক খাত

প্রকাশিত: ০৯:৩২, ২১ অক্টোবর ২০১৯

 সঙ্কটে ব্যাংকবহির্র্ভূত আর্থিক খাত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সঙ্কটে রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত জুন শেষে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ স্থিতি ৬৭ হাজার কোটি টাকা। গত মার্চ শেষে এসব প্রতিষ্ঠানের ঋণ স্থিতি ছিল ৬৮ হাজার ১০০ কোটি টাকা। সে হিসেবে ঋণ কমেছে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। তবে আগের তিন প্রান্তিকে সামান্য হলেও ঋণ বেড়েছে। সব মিলিয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণে প্রবৃদ্ধি রয়েছে ৪ দশমিক ১০ শতাংশ। ২০১৮ সালের জুন শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ স্থিতি ছিল ৬৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানতের উল্লেখযোগ্য অংশ আসে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা রেখে সাধারণ আমানতকারীদের মতো অনেক ব্যাংক তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছে। পিপলস লিজিং ছাড়াও বিআইএফসি, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, এফএএস ফাইন্যান্সসহ কয়েকটি কোম্পানিতে জমানো টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে বিপাকে আছে বিভিন্ন ব্যাংক। সাধারণ গ্রাহকের পাশাপাশি এসব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েও কোন সুরাহা পায়নি। এ পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলো নতুন করে আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা রাখতে চাইছে না। অনেক ব্যাংক মেয়াদ না বাড়িয়ে জমানো টাকা তুলে নিচ্ছে। এতে চাপে পড়েছে পুরো আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আর্থিক খাতের বেসরকারী ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ৭ শতাংশ। কিন্তু সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছে এই প্রবৃদ্ধি। গত দশ বছরের মধ্যে এর আগে সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি ছিল ২০১৬-১৭ অর্থবছরে। সে বছর প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পিপলসি লিজিং এ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস এর অবলুপ্তির ঘোষণায় পর থেকেই শঙ্কায় আর্থিক খাতের বিনিয়োগকারীরা। পাশাপাশি পিপলস লিজিংয়ের অবসায়নের খবরে অন্যান্য লিজিং কোম্পানিগুলোর সব শেয়ারেরও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করে।
×