ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নড়াইলে শিশু রমজান হত্যার রহস্য উদঘাটন

প্রকাশিত: ০১:১৬, ২০ অক্টোবর ২০১৯

নড়াইলে শিশু রমজান হত্যার রহস্য উদঘাটন

নিজস্ব সংবাদদাতা, নড়াইল ॥ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার সিংগা গ্রামে প্রথম শ্রেণির ছাত্র রমজান শেখ(৭) হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। খালাতো বোন মিমকে “মিম না ডিম” বলে ব্যঙ্গ করায় রমজানকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। মূল আসামি মিম আক্তার (১৩) সন্ধ্যার পরে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদা এর আমলি আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যাকান্ডের বর্ণনা দিয়েছেন। শনিবার রাত সাড়ে ১১ টায় চরআড়িয়ারা গুচ্ছ গ্রামে অভিযান চালিয়ে হত্যার সময় শিশু রমজানের সাথে থাকা বই ও স্যান্ডেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত আটক হয়েছেন পুতুল, মিম, ইলিয়াস শেখ, ইউসুফ শেখ, লাকী বেগম, হাবিবুর রহমানসহ ৬জনকে আটক করেছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই মিলটন কুমার দেবদাস জানান, ঘাতক মিম নিহত রমজানের খালাতো বোন ঘাতক মিম। মিম আক্তার চরআড়িয়ারা গুচ্ছ গ্রাম এর মোঃ রাকায়েত শেখ ও লাকী বেগমের মেয়ে। রাকায়েত শেখ লাকী বেগমের আগের স্বামী। রমজান তার খালাতো বোন মিম আক্তারকে “মিম না বলে ডিম” বলে ডাকতো। এতে ক্ষিপ্ত ছিল মিম। গত বুধবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পরে মিম আক্তার রমজানকে ঘরের মধ্যে মারপিট করে। দৌঁড়ে রমজান উঠানে পড়ে গেলে মিম রমজানের গলা টিপে ধরে। এসময় রমজানের মৃত্যুহয়। পরে পরিবারের সহযোগিতায় মিম লাশ গুম করবার চেষ্টা করে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত আটক হয়েছেন মামমি পুতুল, মিম, বাবা ইলিয়াস শেখ, মামা ইউসুফ শেখ, খালা লাকী বেগম, খালু হাবিবুর রহমানসহ ৬জন। উল্লেখ্য, রমজান সিংগা-মশাঘুনি আর্দশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ত। গত বুধবার সকালে স্কুলে গিয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। বুধবার সন্ধ্যার আগে তার লাশ পাওয়া যায় শিশুটির পিতা ও নানার বাড়ি পাশ্ববর্তী বাগানে। তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। এঘটনায় শুক্রবার রমজানের নানা বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে লোহাগড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
×