ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কর্মী নিয়োগ সম্ভব হবে

সিশেলসের সঙ্গে শ্রম সহযোগিতা চুক্তি সই হচ্ছে

প্রকাশিত: ১১:১৩, ২০ অক্টোবর ২০১৯

সিশেলসের সঙ্গে শ্রম সহযোগিতা চুক্তি সই হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পূর্ব আফ্রিকার পর্যটনসমৃদ্ধ দ্বীপরাষ্ট্র সিশেলসের সঙ্গে শ্রম সহযোগিতা চুক্তি (এএলসি) স্বাক্ষর হচ্ছে। এই চুক্তি হলে দ্বীপটিতে বাংলাদেশের বেশ কিছু কর্মী নিয়োগ হওয়ার সম্ভবনা তৈরি হবে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ছয়দিনের সফরে ওই দ্বীপরাষ্ট্রে রয়েছেন। তার আগে তিনি গত শুক্রবার দুবাইয়ে স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে বারোটায় আবুধাবি ডায়লগের পঞ্চম মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনায় প্রবাসী কর্মীদের কর্ম অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি সনদ বা ‘রিকগনিশন অব প্রায়র লার্নিং’ প্রদানের জন্য দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানান। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান শনিবার জানিয়েছেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ শনিবার দুপুরের দিকে সিশেলস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে সিশেলসের কর্মসংস্থানমন্ত্রী মিসেস মারিয়াম টেলিম্যাক ও অন্য সরকারী কর্মকর্তারা তাকে অভ্যর্থনা জানান। মন্ত্রী রবিবার বিকেলে সিশেলের বাংলাদেশ কমিউনিটির সঙ্গে মতবিনিময় করার পর রাতে সিশেলসের উপ-রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। এরপর তিনি সিশেলসের কর্মসংস্থান, ইমিগ্রেশন ও সিভিল স্ট্যাটাস মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি টেকনিক্যাল বৈঠক করবেন। বাংলাদেশ-সিশেলস শ্রম সহযোগিতা চুক্তি (এএলসি) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন। প্রতিনিধিদলে মন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ডেলিগেশনে অন্যদের মধ্যে ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমরান আহমেদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন এবং দুবাইয়ে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ইকবাল হোসেন খান। জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ কর্মী কাজ করছেন। এদের অনেক অদক্ষ বা স্বল্পদক্ষ কর্মী হিসেবে কাজে নিয়োজিত হলেও দীর্ঘদিনের কাজের মাধ্যমে বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষতা ও নৈপুণ্য অর্জন করেছেন। গন্তব্য দেশসমূহ তাদের এই কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি প্রদান করলে পরবর্তী সময়ে তারা পুনরায় নিজ দেশে বা বিদেশে কাজের সুযোগ পাবেন। বিভিন্ন সেক্টরে বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের যে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় তার পারস্পরিক স্বীকৃতি বা মিউচুয়াল রিকগনিশন প্রদানের ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার প্রস্তাবকে জোরদার করার আহ্বান জানান।
×