ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শেরপুরে ধর্ষণ মামলার আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ গ্রেফতার ৮

প্রকাশিত: ০৯:৩৯, ১৯ অক্টোবর ২০১৯

শেরপুরে ধর্ষণ মামলার আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ গ্রেফতার ৮

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ শেরপুরের নকলায় ধর্ষণ মামলার এক সহযোগী আসামিকে গ্রেফতার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে পুলিশ। এমন অভিযোগের ঘটনায় শুক্রবার রাতে ৪ নারীসহ ৮জন গ্রেফতার হয়েছে। শনিবার বিকেলে ৭ দিনের পুলিশ রিমা-ের আবেদনসহ গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলাম খান সোমবার রিমা- শুনানীর তারিখ ধার্য করে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে নকলা উপজেলার এসআই আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ স্থানীয় একটি ধর্ষণ মামলার এক সহযোগী আসামীকে গ্রেফতারের জন্য শহরের পূর্ব লাভা এলাকায় অভিযানে নামে। এক পর্যায়ে শ্যামল (৪৫) নামে ওই আসামি পুলিশের ধাওয়া খেয়ে স্থানীয় আলহাজ্ব হায়েত আলীর (৬৫) বাড়িতে লুকালে পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে তল্লাশী চালায় এবং এক পর্যায়ে তাকে গ্রেফতার করে। কিন্তু তল্লাশীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই বাড়ির লোকজনদের সাথে পুলিশের বাদানুবাদ এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কিতে রূপ নেয়। ওই সুযোগে কৌশলে সটকে পড়ে আসামি শ্যামল। থানা পুলিশের দাবি, ওই বাড়ির লোকজনের ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন হাজির হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায় এবং এক পর্যায়ে তারা আসামিকে ছিনিয়ে নেয়। ওই ঘটনায় রাতে এসআই আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে গৃহকর্তা হায়েত আলীসহ ৩৫ জনকে স্ব-নামে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪০/৪৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় ৪ নারীসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে। অন্যদিকে হায়েত আলীর ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, নারী নির্যাতনের মামলায় পুলিশের ধাওয়া খাওয়া সহযোগী আসামি শ্যামল তাদের পরিচিত কেউ না। সে দৌড়ে ওই বাড়িতে গিয়ে লুকানোর কারণেই পুলিশ বাড়ির মহিলাসহ অন্যদের প্রতি অযাচিত দুর্ব্যবহার করায় তর্কাতর্কি ও বাদানুবাদ হয়েছে মাত্র। তাদের দাবি, সেখানে আসামি ছিনতাইয়ের কোন ঘটনা ঘটেনি। বরং ওই তুচ্ছ ঘটনার পর থানা পুলিশের লোকজন ওই বাড়িতে ব্যাপক তা-ব চালিয়েছে। এ ব্যাপারে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন শাহ বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলার সহযোগী আসামিকে গ্রেফতারের পর পুলিশের উপর হামলা এবং ওই আসামিকে পুলিশ হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। ওই মামলায় ৮জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
×