ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ম্যাজিক লিডারশিপে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ : ড. হাছান

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ১৯ অক্টোবর ২০১৯

ম্যাজিক লিডারশিপে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ  : ড. হাছান

অনলাইন রিপোর্টার ॥ স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের জনসংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে। কমেছে আবাদি জমির পরিমাণ। এরপরেও বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কোনো ম্যাজিকের মাধ্যমে এটি সম্ভব হয়নি। সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ম্যাজিক লিডারশিপের কারণে। শনিবার চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ইন্টেন্সিফিকেশন অব লাইভস্টক অ্যান্ড ফিশারিজ ফর অ্যাচিভিং ফুড সেইফটি অ্যান্ড নিউট্রিশনাল সিকিউরিটি: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচ্যুনিটি শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাংলাদেশ আজ বিদেশে খাদ্য রপ্তানি করছে। উন্নয়নের অনেক সূচকে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে পাকিস্তানকে এবং কিছু কিছু সূচকে ভারতকেও অতিক্রম করেছে। আমাদের মাথাপিছু আয় পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে। কয়েক বছরের মধ্যে ভারতকেও ছাড়িয়ে যাবে। তিনি বলেন, স্বপ্ন ছাড়া কোনো দেশ বেশিদূর এগুতে পারে না। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং দিনবদলের সনদ ঘোষণার মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ গঠণের যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন তা আজ বাস্তবে পরিণত হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা উন্নয়নশীল দেশের কাতারে চলে এসেছি। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কয়েক বছর আগেও ঈদ-উল-আযহার সময় কোরবানি পশুর জন্য ভারতের দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো। এখন আমরা পশুতেও স্বয়ংসম্পূর্ণ। এটি সম্ভব হয়েছে গবেষণা এবং নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে। এর পেছনে অবদান রয়েছে সিভাসু’র মতো বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষকদের। তথ্যমন্ত্রী বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় কত বড় সেটার উপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও মর্যাদা নির্ভর করে না। সুনাম ও মর্যাদা নির্ভর করে গুণগত শিক্ষা ও গবেষণা কাজের উপর। পৃথিবীতে অনেক ছোট ছোট বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেগুলো শিক্ষা ও গবেষণায় খুবই ভালো। ‘সিভাসু কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাবো, আপনারা বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে মনযোগ না দিয়ে গুণগত শিক্ষা এবং গবেষণা কাজের প্রতি মনযোগ দিন। কারণ সংখ্যা বাড়লে মান কমে। মান ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।’ বলেন ড. হাছান মাহমুদ। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গুণগত শিক্ষা ও গবেষণা ছাড়া দেশের ধারাবাহিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জন এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে গবেষণার সুদূর প্রসারী ভূমিকা রয়েছে। সিভাসুকে গবেষণার উন্নত প্লাটফর্ম উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পেট্রোনাইজ করলে দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দা সরওয়ার জাহান। দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক এ বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া এবং ভারতের ৩০০ বিজ্ঞানী, গবেষক, উন্নয়ন সহযোগী ও দাতা সংস্থার প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনে মোট ৬টি টেকনিক্যাল সেশনে ৪টি মূল প্রবন্ধ এবং ৫২টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে। এ ছাড়াও বিষয় সংশ্লিষ্ট ৫২টি পোস্টার প্রদর্শন করা হবে।
×