‘বই পড়লে মন সজীব ও আলোকিত হয়’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বই পড়লে মন সজীব ও আলোকিত হয়, যার ফলে কঠিন জিনিসকেও হাসতে হাসতে মনের ভেতর নেয়া যায়। আমাদের শিক্ষক, অভিভাবক সকলের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত ছেলেমেয়েরা যাতে ভবিষ্যতে জিপিএ-৫ নির্ভর না হয়ে মানবিক, সাংস্কৃতিক, আলোকিত ও উচ্চমূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারে সেভাবে কাজ করা। শিক্ষার্থীরা বইপড়া ও সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে ভবিষ্যত বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও আলোকিত বাংলাদেশে রূপান্তরিত করতে পারে। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচী ও পুরস্কার বিতরণী আয়োজনে বক্তারা এসব কথা বলেন। শুক্রবার রাজধানীর বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের একাদশ শ্রেণীর বইপড়া কর্মসূচীর পুরস্কার বিজয়ী পাঠকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। এ অনুষ্ঠান ঢাকা মহানগরের সেরা ২১টি কলেজসহ কেন্দ্রভিত্তিক বইপড়া কর্মসূচীর মোট ৫৭৯ ছাত্রছাত্রীকে তাদের শিক্ষক ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর এমপি, আইএফআইসি ব্যাংকের ডিএমডি শাহ মোঃ মঈনউদ্দিন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও অবসরপ্রাপ্ত সচিব আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তোমরা যারা এই বইগুলো পড়েছ, তারা নিশ্চয়ই অনেক আনন্দের মধ্য দিয়ে সাহিত্যের গভীরতর রহস্য উদঘাটন করেছ। বই পড়ার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বই পড়লে মন সজীব ও আলোকিত হয়, যার ফলে কঠিন জিনিসকে তুমি হাসতে হাসতে মনের ভেতর নিতে পার। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে সাহিত্য ও উচ্চতর জীবনে ডুব দিয়ে ঐশ্বর্যময় ও রূপে নিজেকে ভরে তুলতে হবে, যাতে তোমাদের সুন্দরে- সুন্দর হয় আমাদের বাংলাদেশ। আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা অনেক কিছু হতে চায়। তাদের ভবিষ্যত লক্ষ্য নির্ধারণ করার স্বাধীনতা দিতে হবে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন। পুরস্কার প্রদান করা হয় আইএফআইসি ব্যাংকের সৌজন্যে।