স্টাফ রিপোর্টার ॥ অস্ত্র ও মাদক মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে র্যাব-১ কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রেফতারকৃত তার সহযোগী আরমানকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব হেফাজতে নিয়েছে। র্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক এবং র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে তাকে র্যাব-১-এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি জানান, সম্রাটের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে করা মামলা দুটি তদন্ত করবে র্যাব। সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক র্যাব-১ কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। তার সহযোগী গ্রেফতারকৃত আরমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে।
র্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান ভূঁঞা জানান, সম্রাটের বিরুদ্ধে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দায়ের করা দুটি মামলার তদন্তভার পেয়েছে র্যাব-১। বুধবার রাতে মামলা দুটি তদন্ত করার আদেশ পাওয়া যায়। তিনি জানান, মামলা দুটি তদন্তের আদেশ পাওয়ার পর সম্রাটকে বিকেলে ডিবি কার্যালয় থেকে র্যাব-১ এর কার্যালয়ে আনা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ৭ অক্টোবর অস্ত্র আইনের মামলায় সম্রাটকে গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। একই দিনে মাদক আইনের মামলায় সম্রাটকে গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন একই থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মাহফুজুল হক ভূঞা। ওই দিন সন্ধ্যায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরা শুনানির জন্য ৯ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। ওদিনই শারীরিক অসুস্থতার কারণে সম্রাটকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। পরে সম্রাটকে আদালতে হাজির করা সম্ভব হচ্ছে না বলে আদালতকে চিঠি দেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল কবির চৌধুরী। সম্রাট অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত না করায় ঢাকার মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী এ বিষয় শুনানির জন্য ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। পরে ১৫ অক্টোবর শুনানি শেষে মাদক ও অস্ত্র মামলায় তাকে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। নতুন করে র্যাব-১ সম্রাটের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা দুটির তদন্তভার পাওয়ায় তাকে ডিবি কার্যালয়ে থেকে র্যাব-১ এর কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাবপাড়ায় ক্যাসিনো ব্যবসা চালানোর অভিযোগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে অভিযান শুরু করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় ওই দিনই গ্রেফতার করা হয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে। এর দুদিন পর গুলশান থেকে যুবলীগ নেতা জিকে শামীমকে গ্রেফতার করে র্যাব। অভিযানের প্রথম দিন থেকেই আলোচনায় আসে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের নাম। গত ২৩ সেপ্টেম্বর অন্যদের সঙ্গে সম্রাটেরও দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়। গত ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিলার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: