ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীর সড়কে শৃঙ্খলা আসবে কবে?

প্রকাশিত: ১১:২৯, ১৮ অক্টোবর ২০১৯

রাজধানীর সড়কে শৃঙ্খলা আসবে কবে?

রাজন ভট্টাচার্য ॥ রাজধানীতে ট্রাফিক পুলিশের কড়া নজরদারির মধ্যেও পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিদিনই চলছে অভিযান। তবুও চালকদের আইন ভাঙ্গার প্রবণতা কমছে না। পুলিশ বলছে, প্রায় ১৫ লাখ তালিকাভুক্ত যানবাহন চলছে এই মহানগরীতে। অবৈধ ও ঢাকার বাইরে থেকে প্রবেশ করা পরিবহনের সঠিক কোন পরিসংখ্যান না থাকলেও তা পাঁচ লাখের বেশি। সব মিলিয়ে প্রায় ২০ লাখ গাড়ি চলাচল করে মেগাসিটি ঢাকায়। প্রতিদিনের পুলিশের অভিযানে চালকদের অন্তত ১৬ অপরাধে জরিমানা করা হচ্ছে। এছাড়া ট্রাফিক আইন ভঙ্গ, হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার, উল্টোপথে গাড়ি চালানো, চালকের মোবাইল ফোন ব্যবহার, ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা এই পাঁচ ধরনের অপরাধের মাত্রা সবেচেয়ে বেশি। সড়কে নানা অপরাধে প্রতিদিন গড়ে মামলা হচ্ছে কমপক্ষে ছয় হাজার। ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সারাদেশে যেভাবে মোটরগাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। মোটরগাড়ি চালানোর আইন-কানুন না জানা কিংবা আইন-কানুনকে তোয়াক্কা না করার প্রবণতাই সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ। পৃথিবীর অন্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও রয়েছে মোটরগাড়ির জন্য প্রযোজ্য বিশেষ আইন। যা অমান্য করলে জরিমানা কিংবা মামলা করা হচ্ছে। তবুও আশানুরূপ সচেতনতা বাড়ছেনা চালকদের মধ্যে। এর কারণ হলো চালকরা একেবারেই আইন সম্পর্কে সচেতন নয়। অনেকেই ইচ্ছে করে আইন ভঙ্গ করেন। পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে চালকদের সড়ক দুর্ঘটনা ও ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতনতার তাগিদ দিয়ে ঢাকা মহানগর ট্রাফিক দক্ষিণের উপ-পুলিশ কমিশনার জয়দেব চৌধুরী বলেন, চালকরা সচেতন হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে। তিনি বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক পুলিশ রাতদিন কাজ করে যাচ্ছে। চালকদের বিভিন্ন অপরাধে মামলা, জরিমানা করা হচ্ছে। কিন্তু রাস্তায় আশানুরূপ শৃঙ্খলা দেখছি না। তবে আগের চেয়ে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, এজন্য সবাই মিলে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের সুযোগ রয়েছে। যাত্রীদেরও পরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য রোধে সচেতন হতে হবে বলে মত দেন তিনি। ১৬ অপরাধে যে শাস্তি ॥ ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, ১৯৮৩ সালের ‘মোটরযান আইন’ অনুযায়ী এখনও ট্রাফিক আইন ভঙ্গের দায়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন ধারায় দেয়া হচ্ছে শাস্তি। কোন অপরাধে কি শাস্তির বিধান আছে তা জানেন না চালদের অনেকেই। আইন অনুযায়ী, নিষিদ্ধ হর্ন/হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করলে ১০০ টাকা জরিমানা, আদেশ অমান্য বাধা সৃষ্টি ও তথ্য প্রদানে অস্বীকৃতির জন্য জরিমানা ৪০০ টাকা, ওয়ানওয়ে সড়কে বিপরীত দিকে গাড়ি চালানোর জন্য জরিমানা ২০০ টাকা, অতিরিক্ত গতি বা নির্ধারিত গতির চেয়ে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোয় ৩০০ টাকা জরিমানা, অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া দুর্ঘটনা সংক্রান্ত সাধারণ অপরাধের ক্ষেত্রে জরিমানা ৫০০ টাকা, অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে জরিমানা এক হাজার টাকা, নিরাপত্তাহীন অবস্থায় গাড়ি চালানোয় ২৫০ থেকে এক হাজার টাকা জরিমানা, কালো বা অতিরিক্ত ধোঁয়া বের হওয়া মোটরযান ব্যবহারে ২০০ টাকা জরিমানা, মোটরযান আইনের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন অবস্থায় গাড়ি বিক্রয় বা ব্যবহার, গাড়ির পরিবর্তন করলে দুই হাজার টাকা জরিমানা, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট বা ফিটনেস সার্টিফিকেট অথবা রুট পারমিট ব্যতীত মোটরযান ব্যবহার করলে ১ হাজার ৫০০ টাকা, অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে আড়াই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনুমোদনবিহীন এজেন্ট বা ক্যানভাসার নিয়োগে ৫০০ টাকা, অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে এক হাজার টাকা, অতিরিক্ত মাল বা অনুমোদিত ওজন অতিক্রমপূর্বক গাড়ি চালানোয় এক হাজার টাকা জরিমানা, অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে জরিমানা দুই হাজার টাকা, বীমা ছাড়া গাড়ি চালানোয় জরিমানা ৭৫০ টাকা, অনুমতি ছাড়া গাড়ি চালানোয় জরিমানা ৭৫০ টাকা, প্রকাশ্যে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অপরাধে ৫০০ টাকা, গাড়ির ব্রেক কিংবা কোন যন্ত্র অথবা গাড়ির বডি কিংবা স্পিড গবর্নর সিল বা ট্যাক্সি মিটারের উপর অন্যায় হস্তক্ষেপ করায় জরিমানা ৫০০ টাকা, যে সকল অপরাধের জন্য মোটরযান আইনে সুনির্দিষ্ট কোন শাস্তির ব্যবস্থা নেই সেসব অপরাধের জন্য জরিমানা ২০০ টাকা, অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে ৪০০ টাকা জরিমানা করা হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ছয় হাজারের বেশি মামলা ॥ ট্রাফিক পুলিশের গত ১৫ দিনের অভিযানে গড়ে প্রতিদিন ছয় হাজারের বেশি মামলা হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর অভিযানের ফলাফল যোগ হয় এক অক্টোবর। এতে দেখা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ৩৪ লাখ ৫৩ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা, মামলা হয়েছে ৮ হাজার ১৫৭টি। এছাড়াও অভিযানকালে ৪১টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১০৪৭টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উল্লেখযোগ্য মামলার মধ্যে রয়েছে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করার দায়ে ২৭৭টি, হুটার ও বিকনলাইট ব্যবহার করার জন্য ৪টি, উল্টোপথে গাড়ি চালানোর কারণে ১ হাজার ২৩৭টি, বিভিন্ন স্টিকার ব্যবহার করার জন্য ১টি, মাইক্রোবাসে কালো গ্লাস লাগানোর জন্য ১৩টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। দুই অক্টোবরের অভিযানে ৫ হাজার ১১০টি মামলা ও ২২ লাখ ৯৬ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ৩০টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৬৮৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে। হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করার দায়ে ১৩৬টি, উল্টোপথে গাড়ি চালানোর কারণে ৬৫৯টি মামলা দেয়া হয়েছে। তিন অক্টোবরের অভিযানে ৬ হাজার ৯৪৫টি মামলা ও ৩০ লাখ ১১ হাজার ৮৫০ টাকা জরিমানা করা হয়। ৪৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৮১৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে। হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারে ১৭৬টি, হুটার ও উল্টোপথে গাড়ি চালানোর কারণে ৯০০টি মামলা হয়েছে। এছাড়া ট্রাফিক আইন অমান্য করার কারণে ২ হাজার ১৮২টি মামলা ও ১৫৪টি মোটরসাইকেল আটক করা হয়েছে। মোবাইল ফোন ব্যবহার করার অপরাধে চালকের বিরুদ্ধে ৪৫টি ভিডিও মামলা ও ১৬টি সরাসরি মামলা করা হয়েছে। ছয় অক্টোবরের অভিযানে ৫ হাজার ৭১২টি মামলা ও ২৪ লাখ ৫৬ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ২৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭৮১টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য মামলার মধ্যে রয়েছে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারে ১৬৮টি, উল্টোপথে গাড়ি চালানোর কারণে ৭০৪টি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার কারণে ১ হাজার ৭৯৫টি, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করার অপরাধে চালকের বিরুদ্ধে ৯টি ভিডিও মামলা ও ৬টি সরাসরি মামলা করা হয়েছে। নয় অক্টোবরের অভিযানে ৪ হাজার ৪০৭টি মামলা ও ১৮ লাখ ৯০ হাজার ৩৫০ টাকা জরিমানা, ৩২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৫৮৪টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে। হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারে ১৩৬টি, উল্টোপথে গাড়ি চালানোর কারণে ৪৫১টি, ট্রাফিক আইন অমান্য করায় ১ হাজার ৩৭৩টিসহ চালকের মোবাইল ফোন ব্যবহারের অপরাধে ৪টি সরাসরি মামলা করা হয়েছে। দশ অক্টোবরের অভিযানে ৫ হাজার ৭৩৪টি মামলা ও ২৪ লাখ ৬৬ হাজার ৩৫০ টাকা জরিমানাসহ ২৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭৭৮টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে। হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারে ১৭২টি, উল্টোপথে গাড়ি চালানোর কারণে ৬৭৫টি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার কারণে ১ হাজার ৯০৭টি সহ মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় চালকের বিরুদ্ধে ৪১ মামলা করা হয়েছে। ১২ অক্টোবরের অভিযানে ৪ হাজার ৬১৩টি মামলা ও ১৯ লাখ ৩২ হাজার ৫৫০ টাকা জরিমানাসহ ৮টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৫৩১টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে। হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারে ১৩০টি, উল্টোপথে গাড়ি চালানোর কারণে ৬০১টি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার কারণে ১ হাজার ৫৪৩টি মোবাইল ফোন ব্যবহারের অপরাধে পাঁচটি মামলা হয়েছে। ১৪ অক্টোবরের অভিযানে ২৮ লাখ ৬১ হাজার ৫৭৫ টাকা জরিমানা, ৬ হাজার ৬৫৪টি মামলাসহ ২৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৮২৭টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে। হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারে ১৭১টি, উল্টোপথে গাড়ি চালানোর কারণে ৯০৭টি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার কারণে ২ হাজার ১৩৫টি ও মোবাইল ফোন ব্যবহারে চালকের বিরুদ্ধে ২৮টি ভিডিও মামলা ও ১৪টি সরাসরি মামলা করা হয়েছে। ১৫ অক্টোবরের অভিযানে ৬ হাজার ৪৭০টি মামলা ও ২৭ লাখ ৭২ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা ও ৪১টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৮৪৩টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে। হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করার দায়ে ১৮৩টি, উল্টোপথে গাড়ি চালানোর কারণে ৭৮৬টি, ট্রাফিক আইন অমান্য করায় ২ হাজার ৯৬টিসহ মোবাইল ফোন ব্যবহার করার অপরাধে চালকের বিরুদ্ধে ৫৮টি ভিডিও মামলা ও ১৬টি সরাসরি মামলা করা হয়েছে। ১৬ অক্টোবরের অভিযানে ৬ হাজার ৫৩০টি মামলা ও ২৮ লাখ ৩০ হাজার ১৫০ টাকা জরিমানা, ৬২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৮৪৮টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে। হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারে ১৮টি, উল্টোপথে গাড়ি চালানোর কারণে ৭৮৩টি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার কারণে ২ হাজার ৭৪টিসহ মোবাইল ফোন ব্যবহারে চালকের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করা হয়েছে। ১৭ অক্টোবরের অভিযানে ৬ হাজার ২৫৪টি মামলা ও ২৭ লাখ ২৫ হাজার ৮৫০ টাকা জরিমানাসহ ৪৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৮০৪টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে। হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করার দায়ে ১৪৪টি, উল্টোপথে গাড়ি চালানোর কারণে ৭৮৭টি, ট্র্রাফিক আইন অমান্য করায় ১ হাজার ৯৪৬টি,গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় ৬০টি মামলা হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ সদস্য লিটন চৌধুরী বলেন, ট্রাফিক আইন ভঙ্গ কি কারণে হয় তা চালকদের বেশিরভাগই জানেন না। এছাড়া ইাইড্রোলিক হর্ন নিষিদ্ধ করা হলেও গাড়ির মালিকরাই তা ব্যবহার করছেন। উল্টোপথে গাড়ি চালানো, চালকের ফোন ব্যবহার, গাড়ি ও চালকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকা এসব অপরাধের সংখ্যাই বেশি। এজন্য তিনি চালকসহ পরিবহন মালিকদেরও দায়ী করে বলেন, সকলে সচেতন না হলে শুধু ট্রাফিক পুলিশের অভিযানে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব হবে না। সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, চালকদের ট্রাফিক আইন ও সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে এতদিন কার্যত কোন কাজ হয়নি। আমরা গত কয়েক বছর ধরে বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়েছি। সাধ্যমতো চালকদের সচেতন করতে মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নগুলো চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবুও শৃঙ্খলার ঘাটতি রয়েছে স্বীকার করে তিনি বলেন, পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা ফেরাতে ও সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে আগামী এক ডিসেম্বর থেকে চালকদের ডোপ টেস্ট শুরু হচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে তা চলবে। মাদকাসক্ত কোন চালক রাজধানীতে গাড়ি চালাতে পারবে না। পর্যায়ক্রমে সারাদেশের বাস চালকদের ডোপ টেস্টের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
×