ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়ছে

প্রকাশিত: ১১:৫৮, ১৭ অক্টোবর ২০১৯

গাইবান্ধায় বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়ছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ১৬ অক্টোবর ॥ গাইবান্ধায় বিয়ে বিচ্ছেদ ইদানীং বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে নববিবাহিত তরুণ মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারগুলোর মধ্যে এই প্রবণতা বেশি। জেলার ডাকঘরগুলোতে তালাকের নোটিস প্রাপ্তির চিঠি বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন তালাক রেজিস্টার কাজীর প্রাপ্ত তথ্য থেকে এ জেলায় বিয়ে বিচ্ছেদের প্রবণতার বৃদ্ধির কথা জানা গেছে। এ বিষয়ে সরেজমিনে জানা যায়, বিশেষ করে নববিবাহিত তরুণ, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারগুলোর তরুণ নবদম্পতির মধ্যে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি বলে পরিলক্ষিত হয়। এছাড়া অধিকাংশ বিয়ে বিচ্ছেদের মূল কারণ হচ্ছে পরকীয়া। এখন প্রায় সব শ্রেণী পেশার মানুষ মোবাইল ব্যবহার করে আর এই মোবাইলের মাধ্যমেই সহজেই ফেসবুক এবং ইন্টারনেটে চ্যাটিং করার সুযোগ পায়। যে কারণে তারা পরকীয়াতে আসক্ত হয়ে পড়ছে এবং তাদের দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদ খুব বেশি বাড়ছে। যে সমস্ত দরিদ্র নিম্নবিত্ত পরিবার যারা ঢাকায় রিক্সা-ভ্যান চালানো, গার্মেন্টস বা বিভিন্ন পেশায় চাকরি করতে যায় তারা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার কারণেই এ ধরনের বিয়ে বিচ্ছেদের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। তদুপরি সাংসারিক জীবনযাত্রা ব্যয়বহুল হওয়ায় দরিদ্র এবং নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো আয় থেকে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করতে পারছে না। ফলে লাগাতার দাম্পত্য কলহ থেকেও বিয়ে বিচ্ছেদ বেড়ে যাচ্ছে। এছাড়া মদ, জুয়ায় আসক্তি ও পুরুষ-নারীদের শারীরিক অক্ষমতার কারণেও কোন কোন ক্ষেত্রে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটছে বলে জানা যায়। এ বিষয়ে সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের বিবাহ তালাক রেজিস্টার কাজী সাইফুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, সাধারণত গাইবান্ধার বাইরে যারা চাকরি করতে যায়, গার্মেন্টস, রাজমিস্ত্রি, রিক্সাচালকরা যে বিয়েগুলো করে এইসব বিবাহগুলো বিচ্ছেদের ঘটনা বেশি ঘটে। এরমধ্যে মেয়েদের চেয়ে ছেলেরাই বেশি তালাক দিয়ে থাকে। গাইবান্ধার দক্ষিণ ধানঘড়ার বিবাহ তালাক রেজিস্টার কাজী মোহাম্মদ আলীর সহকারী ও খোলাহাটি ইউনিয়নের কিশামত বালুয়া গ্রামের কাজী মিলন মিয়া জানান, বর্তমানে পরকীয়ার কারণে অনেক বিয়ে বেশি দিন টিকছে না। তাদের মধ্যে মেয়েদেও চেয়ে ছেলেরাই বেশি তালাকের ঘটনা ঘটাচ্ছে।
×