নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ১৬ অক্টোবর ॥ বাউফল সদর ইউনিয়নের কায়না ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতালটি নির্মাণের দুই বছর পরও চালু হয়নি। ৩ কোটি ৯২ লাখ ৮২ হাজার টাকা ব্যয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর (এইচইডি) হাসপাতালটি নির্মাণ করে ।
জানা গেছে, বাউফল সদর ইউনিয়নের কায়না গ্রামে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি রুহুল আমিনের বাড়ির সামনে ২০১৪ সালে মা ও শিশু হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ’১৭ সালের এপ্রিল মাসে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ঢাকার খান এ্যান্ড সন্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তিন তলাবিশিষ্ট এই মা ও শিশু হাসপাতাল ও তিন তলাবিশিষ্ট একটি আবাসিক কোয়াটারের নির্মাণ কাজ করেন। কিন্তু এ হাসপাতালে এখন পর্যন্ত কোন ডাক্তারসহ জনবল নিয়োগ এবং যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়নি। ফলে হাসপাতালটি চালু করা যাচ্ছে না। বর্তমানে হাসপাতালটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এর অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সরেজমিন দেখা গেছে, বাউফল বগা সড়কের পাতারপোল নামক স্থান দিয়ে প্রায় ২-৩ কিলোমিটার দক্ষিণ দিকে সাবেক এমপি রুহুল আমিন হাওলাদারের বাড়ির সামনে এ হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়েছে। অথচ হাসপাতালে যাতায়াতের জন্য কোন রাস্তা নির্মাণ করা হয়নি। ওই এমপির বাড়ির সামনে একটি পুকুর পার দিয়ে ওই হাসপাতালে যেতে হয়।
মা ও শিশু হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, ভবনের বাইরে ও ভেতরে শেওলা ধরেছে। ভবনের রং উঠে যাচ্ছে। অধিকাংশ দরজা-জানালা নষ্ট হয়ে গেছে। বিদ্যুত সংযোগ থাকলেও হাসপাতালে বিশাল সোলার প্যানেলটি নষ্ট অবস্থায় পড়ে আছে। নিচতলায় একটি রুমে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের একজন মাঠ কর্মী কাজ করছেন। এ সুবাদে তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে হাসপাতালের কোয়ার্টারে দোতলায় বিনা ভাড়ায় থাকছেন। তিনি জানান, হাসপাতালটি দেখাশোনার জন্য তিনজন লোক রয়েছে। কিন্তু ওই সময় তাদের পাওয়া যায়নি। নিচতলার প্রত্যেকটি রুমের দরজা-জানালা খোলা ও অপরিচ্ছন্ন। ভেতরে অহেতুক বৈদ্যুতিক পাখা চলছে। টয়লেটগুলো নোংরা। দেখে মনে হয়েছে, বাইরে লোকজন টয়লেটগুলো ব্যবহার করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার এক ব্যকি বলেন, মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সেবার জন্য হাসপাতালটি নির্মাণ করা হলেও অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে হাসপাতালটি আর চালু হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। কেবল সরকারী টাকার অপচয় করা হয়েছে। তবে স্থানীয়রা হাসপাতালটি দ্রুত চালু করে মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: