ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ নিয়ে দুই বইয়ের প্রকাশনা

প্রকাশিত: ১১:২৭, ১৬ অক্টোবর ২০১৯

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ নিয়ে দুই বইয়ের প্রকাশনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সমাজের অনেকের কাছেই তারা অপ্রিয়। কারও কাছে অপাঙ্ক্তেয়। আর দশটা সাধারণ মানুষের মতো সমান মর্যাদা জোটে না তাদের কপালে। সামান্য শারীরিক ত্রুটির কারণে ভ্রু কুচকে তাকায় অনেকে। অথচ নিজেদের কারণে নয় প্রকৃতির খেয়ালেই তাদের কিছুটা ভিন্নরূপে বেড়ে ওঠা। সমাজ কর্তৃক তারা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ হিসেবে পরিচিত। সেই সব অবহেলিত ও উপেক্ষিত মানুষদের নিয়ে প্রকাশিত হলো এক জোড়া গ্রন্থ। ‘হিজড়া শব্দকোষ’ ও ‘রূপান্তরিত মানুষের গল্প’ শিরোনামের বই দুটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হলো মঙ্গলবার। প্রথম গ্রন্থটির সম্পাদনা করেছেন প্রখ্যাত কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন এবং দ্বিতীয় বইটি লিখেছেন লাজিনা মুনা বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বই দুটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ফারিয়া লারা ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বই দুইটি নিয়ে কথা বলেন সেলিনা হোসেন। এরপরের আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় জাদুঘরের ট্রাস্টিবোর্ডের সভাপতি শামসুজ্জামান খান, ইউএনডিপির কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সুদীপ্ত মুখার্জী ও বন্ধু সমাজ কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সালেহ আহমেদ। বই নিয়ে আলোচনা করেন বন্ধু সমাজ কল্যাণ সংস্থার সামিউল আলম শাম্মি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোীগ অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রা। প্রকাশনা অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করে ইউএনডিপি, বাংলাদেশ। আর বই দুটি প্রকাশে আর্থিক সহায়তা করেছে বাংলাদেশের সুইডেন দূতাবাস ও সুইজারল্যান্ড দূতাবাস। সেলিনা হোসেন বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ বা রূপান্তরিত মানুষরা আমাদের সমাজে যেমন বঞ্চিত, সামাজিক আচরণেও বঞ্চিত। সমাজের চিন্তা ও চেতনার মাঝে আলো ছড়িয়ে দিতে এ বই দুইটি প্রকাশ করা হয়েছে। যাতে আমাদের সন্তানেরা তাদের অবহেলার দৃষ্টিতে না দেখে। তাদের যেন মানবিক মর্যাদায়, মনুষত্বের চেতনায় দেখে। নাছিমা বেগম বলেন, সরকার হিজড়া লিঙ্গের স্বীকৃতি দিয়েছে। যা তাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে পরিবর্তন এনেছে। তবে এটা যথেষ্ট নয়। তাদের প্রতি আমাদের আরও মানবিক হতে হবে। রাষ্ট্রের পাশাপাশি সামাজিকভাবেও তাদের পাশে থাকতে হবে। শামসুজ্জামান খান বলেন, সামাজিক অগ্রগতি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের যুক্ত করতে হবে। আজকে যে বই দুইটির মোড়ক উন্মোচিত হলো তা তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, বাংলা সাহিত্যে এই জনগোষ্ঠীকে এমন কোন বই নেই। এটা বাংলা সাহিত্যে নতুন জায়গা করে নেবে। শুক্রবার শুরু ‘পেইন্ট ইওর ড্রিম’ ॥ ফোকাস বাংলাদেশ-এর আয়োজনে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে চতুর্থ শিশু শিল্পীদের চিত্রকলা প্রদর্শনী ‘পেইন্ট ইওর ড্রিম’। রাজধানীর উত্তরার বাংলাদেশ ক্লাবে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, চীন, থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কাসহ ছয় দেশের ৪০০ শিশু চিত্রকর অংশগ্রহণ করছে। এছাড়া উৎসবের অংশ হিসেবে চিত্রাঙ্কন সংক্রান্ত এক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে ১৯ অক্টোবর। প্রদর্শনীতে তিনটি বয়সভিত্তিক গ্রুপে ৪০০ শিশু অংশ নেবে। শুক্রবার সকালে প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ী শিল্পীদের পুরস্কার প্রদান করবেন অতিরিক্ত সচিব খান মোহাম্মদ বিল্লাল। এছাড়া প্রদর্শনীর বিকেলের পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম এবং বিশিষ্ট ভাস্কর ও শিল্পী হামিদুজ্জামান খান।
×