ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিএসএমএমইউতে ডায়াবেটিক পেশেন্ট এডুকেশন উদ্বোধন

প্রকাশিত: ১২:০৫, ১৩ অক্টোবর ২০১৯

বিএসএমএমইউতে ডায়াবেটিক পেশেন্ট এডুকেশন উদ্বোধন

শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ডায়াবেটিক রোগী ও রোগীদের পরিবারের সদস্যদের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম ‘ডায়াবেটিক পেশেন্ট এডুকেশন’ উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কনক কান্তি বড়ুয়া। এ সময় উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডাঃ সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ রফিকুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ফরিদ উদ্দিন, অধ্যাপক ডাঃ মুহাম্মদ আবুল হাসানাত, সহকারী অধ্যাপক ডাঃ শাহাজাদা সেলিম, সহকারী অধ্যাপক ডাঃ শারমিন জাহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ডায়াবেটিস ও হরমোন বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কনক কান্তি বড়ুয়া। রোগী ও তাদের স্বজনদের জন্য মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিক্ষা কার্যক্রমের সমন্বয়ক সহকারী অধ্যাপক ডাঃ শাহাজাদা সেলিম। প্রতি শনিবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত এই শিক্ষা কার্যক্রম চলবে। আগামীতে সাপ্তাহিক ও সরকারী ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত এই সেবা দেয়া হবে। অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, জনগণের কাছ থেকে স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ে কোন ধরনের ট্যাক্স না নিয়েই প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশের স্বাস্থ্যসেবাকে একটি মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। দেশের ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি। অধিক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে আরও এক কোটি। গর্ভবতী মায়েদের প্রতি চার জনে একজন ডায়াবেটিক রোগী। এত বিপুল সংখ্যক রোগীর যথাযথ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা শুধু সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়, এজন্য জনগণকে আরও সচেতন হতে হবে। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম রোগীদের রোগ প্রতিরোধে ও নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, ডায়াবেটিসের যথাযথ নিয়ন্ত্রণ এবং রোগীদের দীর্ঘস্থায়ী ঝুঁকি কমাতে ডায়াবেটিস শিক্ষার কার্যক্রমের গুরুত্ব অপরিসীম। এই শিক্ষা কার্যক্রম চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমকে আরও বেগবান করবে। ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী ও সর্বঘাতী রোগকে মোকাবেলা করতে রোগীদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা অবশ্যই দিতে হবে। যাদের এখনও ডায়াবেটিস হয়নি তাদের প্রয়োজনীয় শিক্ষাদান, সঠিক ও আদর্শিক জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস থেকে ৮০ শতাংশ মানুষকেই রক্ষা করা সম্ভব। এটাই হতে পারে রোগ প্রতিরোধের সর্বোত্তম পদ্ধতি। -বিজ্ঞপ্তি
×