ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কর্মশালায় অভিমত

বিদ্যুত উৎপাদন খরচ কমেছে, দাম বাড়ানোর প্রয়োজন নেই

প্রকাশিত: ১১:৩০, ১৩ অক্টোবর ২০১৯

বিদ্যুত উৎপাদন খরচ কমেছে, দাম বাড়ানোর প্রয়োজন নেই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সকল কেন্দ্র উৎপাদন করতে না পারলেও বিদ্যুতের গড় উৎপাদন খরচ কমেছে। এতে অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতায়ও বিদু্যুত খাতে কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। শনিবার দিনব্যাপী এক কর্মশালা উদ্বোধন করার সময় বিদ্যুত বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমদ কায়-কাউস এ কথা জানিয়েছেন। কর্মশালার প্রবন্ধে বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) পক্ষ থেকে জানানো হয়, এর আগে বিদ্যুত উৎপাদন খরচ ছিল ইউনিট প্রতি ৬ টাকা ১৬ পয়সা এখন যার পরিমাণ ৫ টাকা ৬৪ পয়সা। দেশের ডিজেলচালিত বিদ্যুত কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রাখায় গড় বিদ্যুত উৎপাদন খরচ কমেছে। বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকায় দাম বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা নেই বলে মনে করা হয়। কর্মশালায় বিদ্যুত সচিব বলেন, অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়। কিন্তু চাহিদার অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতা সৃষ্টি হওয়াতে আমাদের ধন্যবাদ দেয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। সচিব বলেন, আমরা ডিজেলচালিত কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রাখাতে ক্যাপাসিটি চার্জে কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। তিনি বলেন, ভবিষ্যত চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। দিনব্যাপী কর্মশালাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিপিএমআই) এবং বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এতে বিদ্যুত বিভাগের সিনিয়র কর্মকর্তারা ছাড়াও বিদ্যুত উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ কোম্পানির প্রতিনিধিরা অংশ নেন। ওয়ার্কশপে বিদ্যুত উৎপাদন, সঞ্চালন এবং বিতরণে কিভাবে অঞ্চল ভিত্তিক উন্নয়ন করা যায় তা নিয়ে চারটি গ্রুপে আলোচনা হয়। ওয়ার্কশপের সমাপনীতে বলা হয়, বিদ্যুত উৎপাদনের সঙ্গে সঞ্চালন এবং বিতরণ ব্যবস্থার আরও আধুনিকায়ন করতে হবে। সেমিনারের একটি প্রবন্ধে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, ২০০৯ সালে সরকার দায়িত্ব নেয়ার সময় দেশে তীব্র লোডশেডিং হতো। তখন সারাদেশে বিদ্যুতের জন্য হাহাকার ছিল। বিদ্যুত নিয়ে সারাদেশে আন্দোলন সংগ্রাম হতো। তখন ২৪ ঘণ্টাও কোন কোন এলাকাতে বিদ্যুত থাকত না। সেই পরিস্থিতি আমরা অতিক্রম করে এসেছি। এখন আমাদের অতিরিক্ত বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের জেনারেল ম্যানেজার কাউসার আমির আলি অপর এক প্রবন্ধে বলেন, ভবিষ্যত উৎপাদন পরিকল্পনার আলোকে আমাদের অঞ্চলভিত্তিক চাহিদা পূরণের সক্ষমতা তৈরি হবে। আমাদের বেইজ লোড বিদ্যুত কেন্দ্র ভবিষ্যতে উৎপাদনে আসছে। এজন্য আমাদের সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে হবে। বিশেষ করে তিনি সঞ্চালন এবং বিতরণে আরও অটোমেশনের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নে এখন থেকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। নতুন যেসব নগরায়ণ করা হচ্ছে সেখানে বিদ্যুত বিতরণ ব্যবস্থা তৈরি করার জন্য যথেষ্ট জমির সংস্থান করতে হবে।
×