ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শাহজালালে মানব পাচার রোধে কর্মকর্তাদের বন্ডসই নেয়া শুরু

প্রকাশিত: ১১:২২, ১৩ অক্টোবর ২০১৯

শাহজালালে মানব পাচার রোধে কর্মকর্তাদের বন্ডসই নেয়া শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে মানব পাচার রোধে বিশেষ কৌশল গ্রহণ করেছে বিভিন্ন সংস্থা। বিমানবন্দরে কর্মরত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বন্ডসই নেয়া শুরু করেছে এসব সংস্থা। সবার আগে শুরু করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। জানা গেছে, তিন পালায় কর্মরত প্রায় ২৪০ জন ইমিগ্রেশন পুলিশ- যারা সিলার এবং প্রটোকল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তাদের থেকে এসএস ইমিগ্রেশন বন্ডসই নিয়েছেন- এই মর্মে যে, কেউ আদম পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়লে চাকরি চলে যাবে, কেউ সুপারিশ করবে না, প্রচলিত আইনের আওতায়ও আনা হতে পারে। জানা গেছে, শাহজালাল বিমানবন্দরে কর্মরত ইমিগ্রেশন পুলিশের প্রতি পালায় ৮০ জন পুলিশ অফিসারের থেকে মানব পাচাররোধে বন্ডসই নেয়া হয়েছে। এখন আর দালাল কর্তৃক ভুয়া পাসপোর্ট, টিকেট, গলাকাটা পাসপোর্টে, ভিজিট ভিসায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইমিগ্রেশন পুলিশের সিলে আদম পাচার হবে না। এরপরও কোন কোন অসাধু ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্মকর্তার সিলে আদম পাচার হয়ে থাকলে সেই পুলিশ কর্মকর্তার চাকরি চলে যাবে। বন্ডসইয়ে এমন সতর্ক বার্তারই ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। মানব পাচাররোধে ইমিগ্রেশন পুলিশের বন্ডসই নেয়ার পর থেকে গত কয়েকদিনে অবৈধভাবে একজন আদমও পাচার হয়ে বিদেশে যেতে পারেনি। স্ব স্ব সিফটের ওসি ইমিগ্রেশন মানব পাচাররোধে বিমানবন্দরে নজরদারি করছেন, এসএস ইমিগ্রেশন তা তদারকি করছেন, মাঠ কর্মকর্তারা তা পালনে বদ্ধপরিকর। ফলে শাহজালাল বিমানবন্দরে এক ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে। সিএএবি, বিমান, বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের শতাধিক নিরাপত্তা কর্মী, কর্মকর্তা- যাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন তালিকা প্রকাশ করেছে- তারা হতাশায় ভুগছেন। তারা আবার মানবপাচার চালু করতে ইমিগ্রেশন পুলিশকে তোষামোদ করছেন। এ সম্পর্কে একাধিক কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, মানব পাচার রোধে তাদের কাছ থেকে বন্ডসই নেয়া হয়েছে। মানবপাচার করতে গিয়ে ধরা খেলে কেউ দায়িত্ব নেবে না। পর্যায়ক্রমে সব সংস্থার কাছ থেকেই এভাবে বন্ডসই নেয়া হবে।
×