ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাঙলা নাট্যদলের ‘মেঘ’ গঙ্গা যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসবে

প্রকাশিত: ০৯:৩৮, ১৩ অক্টোবর ২০১৯

বাঙলা নাট্যদলের ‘মেঘ’ গঙ্গা যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা, সঙ্গীতশালা এবং মহিলা সমিতি মিলনায়তনে একযোগে চলছে ‘গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব’। গত ১১ অক্টোবর শুরু হওয়া এ উৎসবের আজ তৃতীয় দিন। উৎসবে আগামী ১৫ অক্টোবর ‘মেঘ’ নাটক মঞ্চায়ন করবে বাঙলা নাট্যদল। ঢাকার বিভিন্ন মঞ্চে নিয়মিত মঞ্চস্থ হওয়া নাটকটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। নিয়মিত মঞ্চায়নের ধারাবাহিকতায় আগামী ১৫ জুন মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে নাটকটির বিশেষ মঞ্চায়ন হবে। বাংলা নাট্যদলের ১৫তম প্রযোজনা ‘মেঘ’ নাটকটি রচনা করেছেন উৎপল দত্ত। নির্দেশনা দিয়েছেন বাংলা নাট্যদলের সাধারণ সম্পাদক হ ম সহিদুজ্জামান। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন আবিদ আহমেদ, সুবর্ণা মীর, হ ম সহিদুজ্জামান সেলিম বহুরূপী, সৈয়দ গোলাম মুর্তুজা, জামিল উদ্দিন খান লোটাস, নাসির আহমেদ দুর্জয়, লিটন খান, আফসানা আক্তার যুথি। নাটকের জন্য মঞ্চ নির্মাণ করেছেন আবিদ আহমেদ এবং শব্দ ও আলোক পরিকল্পনায় নাসির আহমেদ দুর্জয় এবং প্রক্ষেপণে রয়েছেন মিজান রহমান। ‘মেঘ’ নাটকের গল্পে দেখা যায় সমরেশ স্যানাল কলকাতা শহরের একজন নামকরা সাহিত্যিক। সদ্য সিজোফ্রেনিয়া থেকে সেড়ে উঠেছে। তার সাহিত্যের লেখনীর মায়াজালে আবদ্ধ হয়ে প্রেমে পড়েন মাধুরী। তারা বিয়ে করেন। কিন্তু অসুস্থ সমরেশকে সুস্থতার জন্য নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে সংসারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেন মাধুরী। বন্ধুসম ডাক্তারের বারবার নিষেধ সত্ত্বেও জটিল ও মনস্তাত্ত্বিক রহস্যময় লেখার মাঝেই নিজেকে হারিয়ে ফেলে সমরেশ। অনিদ্রা ও মানসিক চাপে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। অন্যদিকে হঠাৎ উপস্থিত হয় সমরেশের কলেজ জীবনের প্রাক্তন প্রেমিকা সুজাতা। পুরনো প্রেম এবং তাদের একান্ত ঘনিষ্ঠতার অনেক চিহ্ন দেখিয়ে সমরেশকে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ দাবি করে বসে সুজাতা। উপায়ন্তর না দেখে সুজাতাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে ফেলে সমরেশ। প্রতিবেশী তারাপদ বাড়ুয্যের ছেলে প্রণব এসে উপস্থিত হয় সমরেশের বাড়ি। নিজের বোকামিতে সুজাতাকে হত্যার কথা প্রণবের কাছে অকপটে স্বীকার করে বসে সমরেশ। সুজাতাকে হত্যার প্রমাণ নিশ্চিহ্ন করতে প্রণবকেও হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় সমরেশ। অপরদিকে সুজাতাকে না পেয়ে পুলিশ অফিসার যতীন নন্দী এসে হাজির হয় সমরেশের বাড়ি। তীক্ষè বুদ্ধিসম্পন্ন পুলিশ অফিসারের কৌশলী প্রশ্নে এবং ছোটখাট ক্লুতে ধরা পড়ে ঘটনাটি আরও রহস্যময় করে তোলে সমরেশ। আর এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকের গল্প।
×