ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

লৌহজংয়ে ১০ জেলের কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ১২ অক্টোবর ২০১৯

লৌহজংয়ে ১০ জেলের কারাদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মানদীতে মা ইলিশ নিধনবিরোধী অভিযান চালিয়ে ১০ জন জেলেকে আটক করে ১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও মাছ ক্রয়ের ৮৮ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ৯ টি মাছ ট্রলার পদ্মা নদীতে ডুবিয়ে বিনষ্ট এবং ৩টি ট্রলার জব্দ করা হয়। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে এ অভিযান চলে। এসময় অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন উপজেলা কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ মোরাদ আলী, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (অ. দা.) মো. ইদ্রিস তালুকদার, দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা ইমরান হোসেন তালুকদার ও লৌহজং থানা পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সদস্যবৃন্দ। ইলিশ ধরা, ক্রয় ও বিক্রয়ের সঙ্গে যুক্ত সাজাপ্রাপ্তরা হলেন লৌহজং উপজেলার বড়নওপাড়া গ্রামের যোগেশ রাজবংশীর পুত্র লিঙ্কন রাজবংশী (১৮), একই গ্রামের কৃষ্ণ রাজবংশীর পুত্র টুটুল রাজবংশী (১৮), মৃত আবদুর রাজ্জাক মোল্লার পুত্র আনোয়ার হোসেন (২৬), মৃত হরিসাধন রাজবংশীর পুত্র জয়রাম রাজবংশী (৫০), মালির অংক গ্রামের মজিবর ঢালীর পুত্র স্বপন ঢালী (৩০), একই গ্রামের মৃত বারেক মোড়লের (দরগা) পুত্র স্বপন মোড়ল (৪৪), জব্বর মৃধার পুত্র নাহিদ মৃধা (৩৫), মজিবর সরদারের পুত্র আমির হোসেন (৩০), হাড়িদিয়া গ্রামের মৃত জবেদ আলী চৌকিদারের পুত্র আবদুল জলিল চৌকিদার (৪৮), সুন্দিসার গ্রামের সিকিম আলী গাজীর পুত্র সোহেল গাজী (৩০)। লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান জানান, মা ইলিশ রক্ষা অভিযান অব্যাহত থাকবে। যাতে করে লৌহজং উপজেলার পদ্মা নদী থেকে মা ইলিশ ধরতে, ক্রয়-বিক্রয় ও বহন করতে না পারে।
×