ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ছাত্রদের প্রতি দায়িত্ববান হওয়ার আহ্বান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

বুয়েট প্রশাসন আরেকটু কেয়ারফুল হলে হত্যাকান্ড ঘটত না

প্রকাশিত: ১০:৪৫, ১২ অক্টোবর ২০১৯

 বুয়েট প্রশাসন আরেকটু কেয়ারফুল হলে হত্যাকান্ড ঘটত না

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আপনারা জানেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন না ডাকলে পুলিশ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে না। এ বিষয়ে বুয়েট প্রশাসন আরেকটু কেয়ারফুল থাকলে হয়ত আবরার হত্যাকাণ্ড ঘটত না। ভবিষ্যতে প্রশাসন ছাত্রদের প্রতি আরও নজর দেবে, দায়িত্ববান হবে বলে আশা করি। শুক্রবার দুপুর বারোটায় তেজগাঁওয়ের বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইলের নবনির্মিত প্রধান ফটক উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রায় সবাইকে আমরা শনাক্ত করেছি এবং ধরেছি। এ পর্যন্ত ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন থানায় জবানবন্দী দিয়েছে। আমি আগেও বলেছি, আজও বলছি, অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এ মামলার চার্জশীট দেয়া হবে। আশা করছি তদন্ত সংস্থা দ্রুত মামলার তদন্ত সম্পন্ন করবে। আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, এ ধরনের মেধাবী ছাত্র, যারা আমাদের ভবিষ্যত, যে প্রজন্মকে নিয়ে আমরা অহঙ্কার করি, এ ধরনের ঘটনায় যাতে তারা হারিয়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এমন অনেক ঘটনাই ঘটেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমরা সনি হত্যাও দেখেছি। কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডটি সবার হৃদয়ে দাগ কেটেছে। আমি আশা করব আমাদের ছাত্র সমাজ এ ধরনের ঘটনা আর দেখবে না। এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য তারাও সজাগ থাকবে। আবরার হত্যার মূল কারণ কি জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এ খুনের পেছনে কারণটা কি এটা আমাদের দেখতে হচ্ছে। যারা ধরা পড়ছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তদন্ত চলছে, এর পেছনে মোটিভটা কি জানার চেষ্টা চলছে। এমনই একজন আরেকজনকে হত্যা করবে এটা যেমন বিশ্বাসযোগ্য নয়। এর পেছনে নিশ্চয়ই কোন কারণ আছে। সবই আমরা খতিয়ে দেখছি। তিনি জানান, আমরা মনে করি যারা পড়াশোনা করতে এসেছে, তারা সবাই মেধাবী। সেই মেধাবীরাই এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। এর ভেতরে নিশ্চই কোন কারণ রয়েছে। সে কারণগুলো উদ্ঘাটন করে নিখুঁত ও তথ্যসমৃদ্ধ চার্জশীট দিতে চাই। গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় চকবাজার থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন আবরারের বাবা। ইতোমধ্যে ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৪ জন রিমান্ডে রয়েছে। জবানবন্দী দিয়েছেন ইফতি মোশাররফ সকাল নামে এক ছাত্র।
×